আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:১৫

ভারতে জানুয়ারিতে করোনার টিকা শুরুর পরিকল্পনা

জানুয়ারিতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) -এর টিকাদান শুরু করতে চাইছে ভারত। বছরের প্রথমে শুরু করে আগস্ট নাগাদ ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এমনটি জানিয়েছে।

ভারতে প্রায় এক কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

তবে কবে থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে তার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি ভারত। প্রথম পর্যায়ে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। টিকা নিতে চাইলে সবাইকেই ফটো আইডি দিয়ে আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

শুরুতে ভারতের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত এক কোটি কর্মী টিকা পাবেন। এরপর পাবেন পুলিশ, সেনা ও পৌর সংস্থার যেসব কর্মীরা ফ্রন্টলাইনে কাজ করছেন। তারপরে পাবেন ৫০ বছরের কমবয়সী যাদের শরীরে নানাবিধ রোগ রয়েছে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে’ একাধিক প্রতিষ্ঠানের তৈরি করোনা টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান এজন্য আবেদন করেছে এবং আরো ছয়টি কোম্পানি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্যায়ে রয়েছে। যৌথভাবে ভারতীয় সেরাম ইনস্টিটিউট ও ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের ‘কোভ্যাক্সিন’ জরুরি অনুমোদন পেতে আবেদন করেছে।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলা অন্য ছয়টি টিকা হলো,

১. আহমেদাবাদভিত্তিক কোম্পানি জায়দুস-কাদিলার তৈরি ‘জায়কোভ-ডি’
২. যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সঙ্গে যৌথভাবে হায়দরাবাদ ভিত্তিক বায়োলজিক্যাল ই কোম্পানির টিকা।
৩. যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের সিয়াটলভিত্তিক এইচডিটি বায়োটেক করপোরেশনের সঙ্গে ভারতের পুনে ভিত্তিক কোম্পানি জেনোভার যৌথভাবে তৈরি টিকা ‘এইচজিসিও১৯’। এটি ভারতের প্রথম এমআরএনএ টিকা, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি জেনেটিক কোড ব্যবহার করা হয়েছে।
৪. ভারত বায়োটেকের একটি নাকে ব্যবহারযোগ্য টিকা।
৫. ভারতের ডা. রেড্ডি’স ল্যাব ও রাশিয়ার গামালেয়া ন্যাশনাল সেন্টারের যৌথভাবে তৈরি স্পুটনিক-ভি।
৬. সেরাম ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় টিকা, যেটি তারা যুক্তরাষ্ট্রের টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে তৈরি করছে।

এই আটটি ছাড়াও বিশ্বের বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে টিকার ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে ভারত। দেশটির দুই লাখ ২৩ হাজার নার্সের এক লাখ ৫৪ হাজার টিকাদান কার্যক্রমে যুক্ত হবেন। বর্তমানে ভারতজুড়ে ২৯ হাজার কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে, এগুলোও টিকা সরবরাহ ও সংরক্ষণে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত