সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ জুন, ২০২১ ১৩:০৫

সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ৫৫.০৮ শতাংশ

একদিনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৩ জনের করোনাভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। শতকরা হিসাব করলে আক্রান্তের হার দাঁড়ায় ৫৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। ফলে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।

সোমবার (৭ জুন) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ওই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৯৮৯ জনে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, দেশের ৬২তম জেলা হিসেবে ২৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর সাতক্ষীরা এখন হটস্পট হয়ে উঠেছে। ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ বৃদ্ধির যে শঙ্কা ছিল, সেটিই এখন সত্যি হয়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ২৩১ জন।

এদিকে শহরের ন্যাশনাল হাসপাতাল, সংগ্রাম হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল ও বুশরা হাসপাতাল করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা বন্ধ করে দিয়েছে। শহরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে সোমবার সাতজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন। সিবি হসপিটালে ভর্তি ছিলেন আক্রান্ত তিনজন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও সাতজন। তবে জেলা স্বাস্থ্য ভিাগের অনুসন্ধানে সেখানে সোমবার কমপক্ষে ২২জন রোগী ভর্তি ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া নজরদারী সত্বেও সীমান্ত গলিয়ে ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দেশে ফিরছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি গত ২৮ এপ্রিল থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫৪ কিলোমিটার সীমান্ত থেকে দু’জন পাচারকারীসহ ৩৫ জনকে আটক করেছে।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়াত বলেন, জেলায় আশঙ্কাজনকভাবে করোনাভাইরাসের রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে আট শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং আট শয্যার হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ), কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি)।

তিনি আরও জানান, একইভাবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রয়েছে ৪০ শয্যার করোনা ইউনিট। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা চালুর কাজ চলছে। বড় ২৮টি ও ছোট ৭৪টি সিলিন্ডার রয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে রোগীদের পাইপ সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে কোনো হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা নেই। নেই ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।

এদিকে প্রশাসন ও পুলিশের কড়া নজরদারিতে সাতক্ষীরায় অতিবাহিত হয়েছে তৃতীয় দিনের মতো লকডাউন। সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে প্রশাসনের চেষ্টা চালাচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত