নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:০২

তবুও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মুক্তাদির

সিলেট-১ আসন

সিলেট-১ আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবুও আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় তিনি নগরীর কিন ব্রিজ সংলগ্ন সারদা হল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

মুক্তাদির অভিযোগ করে বলেন, 'বীরেশচন্দ্র সেন্টারে আমাদের পোলিং এজেন্ট ঢুকতে দেয় নাই। আম্বরখানা মডেল স্কুলে বিভিন্ন অজুহাতে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। শাহজালাল জামেয়ায় ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণ স্থগিত ছিল, এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পশ্চিম পীর মহল্লার গৌছ উদ্দিন স্কুলে দেড় ঘন্টা ধরে দখল করে ভোট দখলের উৎসব চলছে। আধাঘন্টা আগে বালুচর সেন্টার দখল হয়ে গেছে। এখন এটা নৌকার অধীন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'মঙ্গলগাওতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিজিবির সহযোগিতায় আমাদের এজেন্টদের পিটিয়ে বের করে দিয়েছেন। এই হচ্ছে মোটামোটি চিত্র। আম্বরখানা গার্লস স্কুলে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে, একজন শিক্ষককে মেরে আহত করা হয়েছে।'

এই বিষয়গুলো নিয়ে কি আপনি রিটার্নিং অফিসারের কাছে যাবেন সাংবাদিকদের করা এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তাদির বলেন, 'অভিযোগ করে কী হবে? আমরা বারবার প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি এক ডজনের ওপরে। একটিরও কোন যদি প্রতিকার পাওয়া যেত তাহলে মনে করতাম খাতা-কলমের খরচের অন্তত সান্ত্বনা আছে।'

নির্বাচনে থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুক্তাদির বলেন, নির্বাচনে আছি। নির্বাচনে থাকবো। শেষ পর্যন্ত কি হয় দেখা যাক।

মানুষ গভীরভাবে পরিবর্তন প্রত্যাশা করে জানিয়ে তিনি বলেন, পুরুষ এবং মহিলারা ভোট দিতে চাচ্ছে। তুচ্ছ অজুহাতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে ভোটারদের।

এ আসনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ছোট ভাই ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবারের ভোটে সিলেট জেলায় নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা ৪৪, নিয়োজিত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৪ জন। সেনাবাহিনীর ১৪টি ইউনিট সিলেটে মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া বিজিবি ২৯.৫ প্লাটুন বিজিবিও নির্বাচনের মাঠে রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনে মোট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন ১৫ হাজার ২শত ৫৪ জন। মোট রিজার্ভ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে আছেন ১৫ হাজার ২৫ জন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটে মোট আসন সংখ্যা ৬টি। ৬ আসনে মোট প্রার্থী হচ্ছেন ৪৪ জন। জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২২ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৬৪ জন। মোট উপজেলা ১৩টি এবং সিটি করপোরেশন একটি।

প্রসঙ্গত, সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৪৪ হাজার ২১৯ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৬ হাজার ২ শত ৬৯ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫ শত ৭৫ জন নারী ভোটার।

এবার সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে প্রার্থী আছেন ১১১ জন। বিভাগে মোট ভোটার ৬৬ লাখ ২০ হাজার ৬০৬ জন। সিলেট বিভাগে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২৮০৫টি।
 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত