নিজস্ব প্রতিবেদক

০৭ জুন, ২০২০ ২০:৩৪

মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে অপমান করবেন না: ডা. ফেরদৌস খন্দকার

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে খ্যাতি পাওয়া বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান আলোচনাকে মিথ্যা ও অপপ্রচার বলে মন্তব্য করেছেন। ফেসবুকে কেউ কেউ তাকে বঙ্গবন্ধুর খুনির আত্মীয় বলে প্রচারণা চালাচ্ছে, তবে তিনি বলছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আত্মীয় না, তার কোন আত্মীয় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আত্মীয়ও না।

রোববার এনিয়ে একাধিকবার ফেসবুকে লিখেন নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার।

বিজ্ঞাপন

ডা. ফেরদৌস খন্দকার তার ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেন, প্রিয় বাংলাদেশ। দেশে এসেছিলাম নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা নিয়ে সবার পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে। তার জন্যে জীবনের ঝুঁকি নিতেও আমি পিছপা হইনি। যখন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আমি দেশে এসেছি, তখন একদল লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি খুনি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা কিংবা খুনি কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই। অথচ পুরো বিষয়টি কাল্পনিক।
তিনি বলেন, আমার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। কুমিল্লায় বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি। কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য জেলা। কুমিল্লায় বাড়ি হলেই কেউ খুনি মোশতাকের ভাতিজা কিংবা কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই হয়ে যায় না। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই দুই খুনির সাথে আমার পারিবারিক কিংবা আদর্শিক কোন সম্পর্ক নেই। বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি তাদেরকে চরম ঘৃণা করি। ফলে যারা এই খারাপ কথাগুলো ছড়াচ্ছেন, বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার; ভালো কাজে বাধা দেয়া। এটা অন্যায়। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রমাণের জন্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। যদি মনে করেন আমার সেবা আপনাদের দরকার, তাহলে পাশে থাকুন।

এরআগে অপর এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, জানিনা কেন আমাকে নিয়া এসব অপপ্রচার চলছে। আমি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আত্মীয় না, আমার কোন আত্মীয় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আত্মীয় না। আমি এমপি বা মিনিস্টার হতে আসিনি, আমি চেয়েছি বাংলাদেশের মানুষকে সেবা করতে। আমার শিক্ষা এবং মেধা মানুষের কাজে লাগাতে। সেটা যদি অপরাধ হয় আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে অপমান করবেন না। এটা আমার প্রাপ্য না।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করলে অনেক চিকিৎসক চেম্বার বন্ধ রাখেন। সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন ডা. ফেরদৌস। সেই দুঃসময়ে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। চেম্বার খোলা রেখে করোনা আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। এখন বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেশের মানুষের সেবা করতে তার দেশে আসার সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত