সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ১৬:১৩

অভিযুক্ত নারী নিপীড়কদের মনোনয়ন দেবেন না

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারী নিপীড়ক হিসেবে অভিযুক্তদের মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ। নির্বাচনে এমন অভিযোগে অভিযুক্তদের মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি নিয়ে নারী অধিকার কর্মীদের সরব হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

ইমতিয়াজ মাহমুদ লিখেছেন, এখন তিনটা জোট হয়েছে, আওয়ামী লীগের জোট, ড. কামাল হোসেনের জোট আর সিপিবির জোট। এর বাইরে তো আর খুব একটা কেউ নেই, এরশাদও সম্ভবত শেষমেশ আওয়ামী লীগের সাথেই এসে জুটবে। এই তিন জোটের কাছে কি আমরা একটা দাবি তুলতে পারি যে যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে যেন নমিনেশন দেওয়া না হয়।

নারী সংগঠনগুলি আর নারীবাদী বা নারী অধিকার কর্মী বা এইরকম যারা আছেন, আপনারা ভেবে দেখতে পারেন, বলছেন ইমতিয়াজ মাহমুদ।

ফেসবুকে তিনি লিখেন,

এখন তিনটা জোট হয়েছে, আওয়ামী লীগের জোট, ড. কামাল হোসেনের জোট আর সিপিবির জোট। এর বাইরে তো আর খুব একটা কেউ নেই, এরশাদও সম্ভবত শেষমেশ আওয়ামী লীগের সাথেই এসে জুটবে। এই তিন জোটের কাছে কি আমরা একটা দাবি তুলতে পারি যে যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে যেন নমিনেশন দেওয়া না হয়।

ওরা হয়তো শুনবে না সেই দাবি। না শোনার পক্ষে যুক্তিও আছে কিছু। কেউ বলতেই পারেন যে কেবল মাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে নমিনেশনবঞ্চিত করাটা ঠিক হবে কিনা। কিন্তু এর বিপরীতেও যুক্তি আছে। যেমন ঋণ খেলাপিদেরকে তো ব্যাংকের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই অযোগ্য করা হয়। ব্যাংক তো আর আদালত থেকে সবসময় ডিক্রি নিয়ে আসে না। আর নমিনেশন না দেওয়া তো সেই অর্থে নির্বাচনের অযোগ্য করে দেওয়া নয়। নমিনেশন না দেওয়া মানে হচ্ছে দলের পছন্দের প্রার্থী না হওয়া। একটা রাজনৈতিক দল বা জোট তো ওদের নীতিতে এইরকম একটা শর্ত রাখতেই পারে।

এতে করে লাভ হবে কি? এতে করে লাভ যেটুকু হবে সেটা হচ্ছে যে একটু সচেতনতা বাড়বে। নারী নির্যাতন বা নিপীড়ন করাকে সামাজিকভাবে আরেকটু নিন্দনীয় মন্দ কাজ হিসাবে দেখা হবে। এমনিতে তো নারী নির্যাতন বা নিপীড়নকে আমাদের সমাজে নৈতিকভাবে খুব বেশি মন্দ কাজ হিসাবে দেখা হয় না। সেখানে যদি একটু পরিবর্তন আসে।

নারী সংগঠনগুলি আর নারীবাদী বা নারী অধিকার কর্মী বা এইরকম যারা আছেন, আপনারা ভেবে দেখতে পারেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত