জুড়ি সংবাদদাতা

১০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২১:৩৪

জুড়ির ‘গরীবের ক্লিনিক’-এ তিনশত স্বাভাবিক প্রসব

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিক। গরীবের ক্লিনিক বলে স্থানীয়ভাবে পরিচিত হয়ে ওঠা এ কমিউনিটি ক্লিনিকটি মাতৃত্ব সেবায় এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩২মিনিটে এক প্রসূতি মহিলার স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের মাধ্যমে ক্লিনিকটি ৩শ’ সফল স্বাভাবিক প্রসব প্রদানের সাফল্য অর্জন করেছে। আর এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রাইভেট সিএসবিএ লিপা খানম।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বেলাগাঁও গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২২) এর কন্যা সন্তান জন্মলাভ করেন। এতে লিপা বেগমকে সহযোগিতা করেন সিএইচভি জামিরুন বেগম এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সিএইচসিপি হানিফুল ইসলাম।

লিপা খানম বলেন, বেশীর ভাগ প্রসব রাতের বেলায় সম্পন্ন হয়। তাই প্রসবের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোর প্রয়োজন পরে। কিন্তু রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়, তাই ক্লিনিকে সোলার প্যানেল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
সিএইচসিপি হানিফুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারী এ পর্যন্ত ৩০১ জন প্রসূতির সুস্থভাবে সন্তান প্রসব সম্পন্ন হয়েছে এই ক্লিনিকে। তারমধ্যে পারিবারিক সিদ্ধান্তহীনতার কারণে দুটি মৃত শিশুর জন্ম হয়।

তিনি প্রত্যেক গর্ভবতীর পরিবারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য গর্ভবতী মাকে যথাসময়ে কমিউনিটি নিয়ে আসা উচিত এবং গর্ভকালীন সময়ে কমপক্ষে চারবার এএনসি সেবা নেয়া উচিত।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য সম্পর্কে অবহিত হলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ. কামরুল হাসান বলেন, ৩শ’ স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের মাইলফলক স্পর্শ করায় ক্লিনিকের সবাইকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ধন্যবাদ। এভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত