আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

মাননীয় সরকার, সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চাইনা!

আতাহার টিটো  

বলা হচ্ছে এবং শুনছি, বাঘ, হরিণ, ডলফিন, গাছপালার চাইতে উন্নয়ন বড়!

বলি, উন্নয়নটা কিসের? মঙ্গল, নাকি ধ্বংসের? ভাববার আছে নিশ্চয়! বাঘ, হরিণ, ডলফিন, গাছপালার প্রাণ তুচ্ছ করে দেখা, এটা কি মনুষ্যত্ব? এটাই কি মানবতা? এটাই কি সর্বপ্রাণ প্রেম? সত্যই কি নিজেকে মানুষ হিসেবে দাবী করবার সুযোগ আছে?! হায়, মনুষ্যত্ব, মানুষ হবার আছে নিশ্চয়; প্রাণে প্রাণ মেলাবার মত মনুষ্যত্ব থাকা চাই!

বলি, বাঘ, হরিণ, ডলফিন, গাছপালা সেগুলোও যে জীবন, যেমন আপনার এবং আমার.... খাটো করে দেখবার এতটুকু সুযোগ নেই। প্রতিটি প্রাণের'ই অধিকার, এক আকাশের নীচে শান্তিতে সর্বোচ্চ অধিকারে বাঁচবার.... পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ.... সেই মানুষেরই উপর অর্পিত প্রকৃতি ও সর্বপ্রাণ রক্ষার দায়িত্ব। শুধুমাত্র মানুষ নামটি ধারণ করলেই মানুষ হওয়া যায়না, অবশ্যই তা সমাজে প্রমাণ করার আছে। ন্যুনতম মানুষ যদি হই, প্রতিটি প্রাণ মূল্যায়ন করবার, ভালবাসবার এবং আদর করবার আছে নিশ্চয়.... মানুষ-মানবতা-প্রকৃতি-সর্বপ্রাণ'ই মুখ্য....

অবশ্যই আমরা বিদ্যুৎ এবং উন্নয়ন চাই। জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস না করে, জীবনের মৃত্যু না ঘটিয়ে....। কোনভাবেই সুন্দরবন বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প হতে পারেনা। মনে রাখবার আছে, প্রকৃতি বাঁচলে সর্বপ্রাণ বাঁচবে। নিঃশ্বাস বাধাগ্রস্ত করে উন্নয়ন নয়; উন্নয়ন হতে হবে সর্বপ্রাণের মঙ্গলের। জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং নিঃশ্বাস নিয়ে অন্তত বাঁচতে, সুন্দরবন বাঁচানো খুবই যুক্তিসঙ্গত.... সুন্দরবন'ই জীবন।

বাংলাদেশ সংবিধানের (অনুচ্ছেদ ১৮ক) এ পরিবেশ রক্ষায় রাষ্ট্রের উপর অত্যাবশ্যকীয়ভাবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। (অনুচ্ছেদ ১৮ক) বলা হয়েছে- "রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন"। বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ করা রাষ্ট্রের পক্ষে সরকারের দায়িত্ব।

পক্ষান্তরে দেখা যায়, (অনুচ্ছেদ ১৮ক) উপেক্ষা করে জীব বৈচিত্র্যের ক্ষতি করে সুন্দরবন সংলগ্ন রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়েছে। যার ক্ষতিকারক দিক- "কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাইঅক্সাইড ও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে, যার ফলে পরিবেশ আইন ১৯৯৭ এ বেধে দেয়া পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার সীমার প্রতি ঘনমিটারে ৩০ মাইক্রোগ্রাম তুলনায় এইসব বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা অনেক বেশি হবে প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রামের বেশি, যার ফলে এসিড বৃষ্টি, শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি সহ গাছপালা জীবজন্তুর জীবন বিপন্ন হবে"। অবশ্যই নিঃশ্বাস বাধাগ্রস্ত করে এবং জীবন বিপন্ন করে বিদ্যুৎ নয়।

এছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের সকল দেশ যেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা সৌর, পানি ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, সেখানে আমাদের দেশ উন্নত বিশ্বের ছুঁড়ে ফেলে দেয়া বাতিল প্রযুক্তি গ্রহণ করে ভারতীয় কোম্পানির ক্ষতিকারক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করছে। অবশ্যই তা বুঝিয়ে দেয়, কাউকে খুশি করতেই দাসত্বের অনুন্নত উন্নয়ন!

অপরদিকে, ভারতের বিশাল অংশ জুড়ে আছে সুন্দরবন, কিন্তু তারা তাদের সুন্দরবন সংলগ্ন কোন এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করেনি এবং করবেওনা কখনও। কারণ, বাধার প্রাচীর তুলে দাঁড়িয়ে আছে ভারতের আইন। ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইন ২০১০ অনুসারে নগর, জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকা অর্থাৎ ভারতের জীব-বৈচিত্র্য সম্পন্ন কোন অঞ্চলের ২৫ কি:মি: সীমার মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এড়িয়ে চলতে হবে।

সেখানে বাংলাদেশের সাথে ভারতের গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকা স্বত্বেও, ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি ভারতেরই পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ইআইএ গাইড লাইন ২০১০ আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ না দেখিয়ে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই সুন্দরবন সংলগ্ন পরিবেশ দূষণকারী রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করবার জন্যেই মরিয়া; যা কিনা ভারত তার নিজের অংশে কখনও তা করার কথা চিন্তাও করতে পারেনা। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের কাছ থেকে এমন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম মোটেই আমাদের কাম্য নয়।
সূত্র: http://envfor.nic.in/sites/default/files/TGM_Thermal%20Power%20Plants_010910_NK.pdf

পণ্ডিত কানা অহংকারে
সাধু কানা অন্য-বিচারে,
মাতুব্বর কানা চোগলখোরে
আন্দাজে এক খুঁটি গেড়ে,
জানেনা সীমানা কার
এসব দেখি কানার হাট বাজার....
- ফকির লালন সাঁই

সেই তো কানা, মস্তিষ্ক আর অন্তর কপাট মারা যার, তারে কি যায় বোঝানো আর....?! চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া, সব যায়গাতে খুঁটি গাড়া, সীমানা কি আমার? হায়, বুঝাই কেমনে, যেথায় মাতুব্বর কানা চোগলখোরে!

নানাভাবে ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা স্বত্বেও আমাদের নীতিনির্ধারকগণ, ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি কে সুযোগ করে দিয়েছেন জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসে; এবং জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের বাংলাদেশের সংবিধান (অনুচ্ছেদ ১৮ক) আমলে না নিয়ে অর্পিত দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ দিয়ে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে চলেছেন এবং অন্য একটি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। সত্যই যা প্রতিটি নাগরিক কে দারুণভাবে ভাবিয়ে তুলছে। আমাদের সার্বভৌমত্ব আমাদেরই রক্ষা করবার আছে অবশ্যই তা বুক টান টান করে শিরদাঁড়া উঁচিয়ে, নতজানু হয়ে নয়।

ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র, অবশ্যই তাকে বন্ধু হিসেবেই পেতে চাই। কোলকাতার অনেক বন্ধু আছেন যাঁরা বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে আমাদের এই সুন্দরবন রক্ষার ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে সুন্দরবন বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন, মনে প্রাণে সুন্দরবন কে ভালবেসে। তাঁরা খুব ভালো করেই জানেন, খুলনা এবং কোলকাতার দূরত্ব খুব বেশি নয়, এবং দুই বাংলার গা ঘেঁষেই জুড়ে আছে সুন্দরবন। সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই প্রভাব অবশ্যই কোলকাতার উপরেও পড়বে!

তবে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের কাছ থেকে সর্বদা সহযোগিতার চাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি বেশি, যা পরিলক্ষিত হয় শোষণ, আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব মনোভাব দ্বারা। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, ফেলানির কাঁটাতারে ঝুলে থাকা, আমাদের অডিও ও চলচ্চিত্র তাদের বাজারে প্রবেশাধিকার না দেয়া, এবং ক্যাবল টেলিভিশন চুক্তি হওয়া স্বত্বেও বাংলাদেশের ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচার না করা, যা মোটেই বন্ধুত্বের প্রকাশ নয়। পক্ষান্তরে দেখা যায় বন্ধুকে খুশি করতেই বাংলাদেশে ভারতীয় সকল ক্যাবল টেলিভিশন সম্প্রচার করা হচ্ছে অবাধে, যা প্রমাণ করে দাসত্বের!

বলি, "দাম দিয়ে কেনা বাংলা, কারো দয়ায় পাওয়া নয়"। সাধারণ মানুষের প্রধান হাতিয়ার "প্রতিবাদ"। বুক টান টান করে শিরদাঁড়া উঁচিয়ে প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সেই প্রতিবাদের ভাষা অন্তত চালু রাখা চাই। নিশ্চয় শিরদাঁড়া নুইয়ে সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায়না! মনে রাখবার আছে, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ দিয়ে একটি বিদ্যুৎ কারখানা তৈরি করা সম্ভব, কিন্তু পৃথিবীর সমগ্র মানুষ একত্রে এনে একটি সুন্দরবন তৈরি করা সম্ভব নয়। মনে রাখবার আছে, ঐ কয়লাবনে হবে মৃত্যুচাষ, সর্বপ্রাণের সর্বনাশ.... কয়লাচিতায় সুন্দরবন পুড়িয়ে, সর্বপ্রাণ মরতে দিতে পারিনা!

দারুণভাবে আশাকরি, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে বন্ধুত্বের প্রমাণ দেখাতে, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় ফড়িয়া বেনিয়া ব্যবসায়িক চিন্তা বাদ দিয়ে, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে, সুন্দরবন সহ সর্বপ্রাণ বাঁচাবে। সাথে সাথে আমাদের নীতিনির্ধারকগণের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, অবশ্যই তাঁরা দেশপ্রেম, নতজানু সার্বভৌমত্ব ও ঘুমন্ত বিবেক কে জাগ্রত করে, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় ধ্বংসাত্মক রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে সুন্দরবন সহ দেশ এবং সর্বপ্রাণ বাঁচাবেন!

"শিল্প যদি সামাজিক দায়বদ্ধতার জন্যে না হয়, তবে তা দিয়ে ঘর সাজানোই শ্রেয়"। একজন মানুষ হিসেবে, মনুষ্যত্ব ও শিল্পের দায়বদ্ধতার যায়গায়, পরিচ্ছন্ন- মানবতাসম্পন্ন- প্রেমময়- সুন্দর একটি সমাজ গড়ার লক্ষ্যে, মানুষে মানুষে পারস্পরিক টান, মানবতা এবং সর্বপ্রাণে প্রেম ভালোবাসা জাগানো আমার কর্তব্য এবং সমাজের প্রতিটি অন্যায় ও মানবতা-হরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আমার দায়িত্ব।

পরিশেষে এটুকুই বলতে চাই, বুক টান টান করে শিরদাঁড়া উঁচিয়ে, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার আছে। দেশ, বর্ণমালা ও সর্বপ্রাণ ভালবাসবার এবং আদর করবার আছে। কামনা করি, সঙ্গীতের আলোয় আলোকিত হোক পৃথিবী, সমগ্রবিশ্ব রূপান্তরিত হোক একটি প্রেমময় পরিবারে। মানুষে মানুষে পারস্পরিক আত্মার টান-সর্বপ্রাণে ভালবাসা-সত্য ও সুন্দরের প্রাণশক্তি জাগুক প্রাণে, সুন্দরবনের মায়া ছড়িয়ে যাক জীবন থেকে জীবনে, সর্বপ্রাণে!

সুন্দরবন'ই জীবন! জীব বৈচিত্র্যের সুন্দরবন ধ্বংস করে ক্ষতিকর রামপাল কয়লাতাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চাইনা। সর্বপ্রাণের মঙ্গল হোক!

আতাহার টিটো, সঙ্গীত শিল্পী

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ