রণেশ মৈত্র

গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, বিনা চিকিৎসায়, আধা-চিকিৎসায়, কু-চিকিৎসায় দেশে যখন মৃত্যুর

পনের বছর বয়স তখন আমার। ভর্তি হয়েছি অষ্টম শ্রেণীতে পাবনা গোপাল চন্দ্র ইন্সটিটিউশনে ১৯৪৮ সালে। ঐ বছরেই মার্চে ভাষা আন্দোলনের সুরু।

বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার ফি ধার্যের পর থেকে ক্রমান্বয়ে পরীক্ষার সংখ্যা কমতে থাকে। দিন দিন তা কমতে কমতে বর্তমানে তা এক তৃতীয়াংশ হ্রাস

নতুন ও ভয়াবহ ভাইরাস হিসেবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বহুমুখী দুর্বলতা জনসমক্ষে নয় শুধু গোটা দুনিয়ার

আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ এ জন্ম নিয়ে ২০২০ সালের ২৩ জুন একাত্তরে পদার্পণ করেছে। উত্থান, পতন, সাফল্য-ব্যর্থতা সবই রয়েছে আওয়ামী লীগের এই সুদীর্ঘপথ

পাবনা শহরে যে বাসায় আমরা বাস করি সেই বাসায় আরও একটি ফ্যামিলি বাস করেন। সেই ফ্যামিলির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির আয়ের উৎস ছিল একটি পথি

বাংলাদেশ জাতীয় পরিষদের পরবর্তী নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অপরদিকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন যা ব্যাপকভাবে

শরীরটা খারাপ ছিলো। শুয়ে ছিলাম। ঘুমিয়েও পড়েছিলাম। তাই কামাল লোহানী তার ভালোবাসা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার এক ঘণ্টা পরে নানা চ্যানেলে

প্রাণঘাতী করোনা আক্রমণ বাংলাদেশে সুরু হলো মার্চের প্রথম দিকে। চীন থেকে শুরু করে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ তার অনেক আগে থেকেই ঐ ভাইরাসের

গোটা বিশ্বকে আলোড়িত করলো ২৫ মে ২০২০। সেদিন অবাক হয়ে শত শত কোটি মানুষ দেখলেন শত সহস্র বছরব্যাপী মার্কিন দেশে সযত্নে লালিত বর্ণবাদ কী ভয়াবহ

অত্যাসন্ন আমাদের বাজেট অধিবেশন। এবার অধিবেশন হবে সংক্ষিপ্ততম। সাংসদরাও একযোগে বসবেন না বা বসতে পারবেন না। এমন একটি অধিবেশনকে “জরুরি

মার্চে যেদিন বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেল, সেদিনই যেন জাতির জীবনে অনিশ্চয়তার এক অবিশ্বাস্য দিগন্ত খুলে গেল।

তিন মাস আগে শুরুর দিকে করোনা নিয়ে যেমনটি ধারণা করা গিয়েছিল আজ জুন মাসের শুরুতে এসে তেমনটি ভাবনার সামান্যতম অবকাশ নেই। আজ তিন সপ্তাহ হলো

সেই বাংলা ভাই এর ঘটনার আগে কদাপি “ধর্মীয় মৌলবাদ” শব্দ দুটির সাথে পরিচয়ই ঘটেনি। জানতাম না শব্দ দুটিকে-জানতাম না তার অর্থ ও কার্যকলাপ

চারিদিকে নিঝুম, নিস্তব্ধ, হিমশীতল। সর্বত্র গতিহীনতা। করোনার করুণায় দেশই নয় শুধু পৃথিবীটাই যেন স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কারও সাথে কারও দেখা

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রমণের তিনমান পেরুতে চলেছে। ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে- আজও তা অব্যাহত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিদিনকার

একটি অতি পুরাতন প্রবাদ “সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ!” ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি কিন্তু এর মাহাত্ম্য এতদিনেও ঠিকমত বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

কাউকেই ছাড়ছে না করোনা। ব্রিটেনের রানী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, সৌদি আরবের রাজ পরিবার, বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা, গণতন্ত্রের সূতিকাগার ফ্রান্স,

মহান মে দিবস-২০২০। শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিক দিন-সংগ্রামের দিন-বিপ্লবী চেতনা বিকাশের মহান দিন। আন্তর্জাতিক সংহতি প্রকাশের দিন

করোনা তার সর্বোচ্চ ভয়াবহতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানব প্রজাতিকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে আজ থেকে তিন মাসেরও বেশি আগে। এই সময়কালে, রোগটি ছড়িয়ে

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এই নিবন্ধটি লিখতে বসে এবারের মার্চের আনন্দ বর্জিত ইতিহাসমণ্ডিত দিনগুলি কীভাবে যে হারিয়ে গেল-তা স্মরণে আসছিল।

বাংলাদেশ ইদানীং বলতে শুরু করেছে করোনার সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। খবরটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ভারতের একাধিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, সামাজিক

১৪২৭ সালের পহেলা বৈশাখ পেরিয়ে এলাম-কিন্তু এ বৈশাখ, এই নতুন বছরের প্রথম দিনটি কেমন যেন অচেনা বলেই মনে হলো। আসলেই, এমন একটি পহেলা বৈশাখ, জীবন

উত্তর থেকে এবার দক্ষিণে। কুড়িগ্রাম থেকে এবার যশোরে। জেলা হেড কোয়ার্টার থেকে এবার উপজেলায়-যশোরের মনিরামপুরে। জেলা প্রশাসক থেকে উপজেলা

করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বব্যাপী একটি ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। চীনদেশ থেকে শুরু হয়ে এশিয়া মহাদেশ পেরিয়ে আজ করোনা ছড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ায়, সুদূর

কুড়িগ্রামের সদ্য প্রত্যাহৃত ডিসি সুলতানা কামালের নাম এতদিন বাংলাদেশে অপরিচিত থাকলেও দু তিন সপ্তাহ যাবত তিন সারা দেশে পরিচিত হতে

সারা পৃথিবীই বেশ কিছুদিন হলো এক মারাত্মক ভাইরাসে আক্রান্ত। যত উন্নত দেশ, সেখানেই তত বেশি মৃত, আক্রান্ত তার বহু গুণ বেশি। নাম করোনা ভাইরাস

১৭ মার্চ চলে গেলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন। আর জন্ম শতবার্ষিকী চলবে ২০২১ এর ১৬ মার্চ পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের

এবার সম্রাজ্ঞী পাপিয়া, যুব মহিলা লীগ। প্রকাশ্যে বহু সর্বনাশ করে, লুঠ করে, দুর্নীতি করে, যুবক-যুবতিদের চরিত্র হনন করে, টাকার কুমীর সেজে, সবার

ভাষা-আন্দোলন, ভাষা-শহীদ, ভাষা-সংগ্রামীদের তত্ত্ব-তালাশ যতটুকুই করা হোক না কেন, বিধাতা যেন তাঁতে মধ্যে সারা বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে

১৯৪৮ ও ১৯৫২র ভাষা আন্দোলনের বহুমাত্রিক অর্জন আমাদের জানা। তবুও নতুন নতুন প্রজন্মের আগমনের কারণে এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যর্থতার

ভারত উত্তাল। ভারত অগ্নিগর্ভ। উগ্র হিন্দুত্ববাদী, ঘোর সাম্প্রদায়িক বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি এন.আর.সি ও সি এ

বিগত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কাউন্সিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ফলাফলও সরকারি ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। যা ঘটার তাই

২৩ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি হেগ থেকে কি খবর আসে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে

১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবর্ষের সুরুতে এই ক্ষণজন্মা দেশ নেতার শুভ জন্মলগ্নের ক্ষণগণনা শুরু হলো। ৭ মার্চ তাঁর জন্মদিন, শত প্রদীপে

অস্ট্রেলিয়া আমার অন্যতম প্রিয় একটি দেশ। বলা চলে আমাদের সেকেন্ড হোম। ২০০০ সালে সেখানে প্রথমবার যাওয়ার সুযোগ হয়। কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের

মাত্র তো বছর খানেক হলো-অথবা তারও কিছু কম। এর মধ্যেই এমন কি ঘটে গেল যে “পাবনা এক্সপ্রেস” নামক গত বছর চালু হওয়া ট্রেনটির নাম বদল করা

পাবনাবাসী তাঁকে মর্যাদার সাথে স্মরণ করেছিল। এমনতর স্মরণ সমাবেশ পাবনার আর কোন ডি.সি এ যাবতকাল পান নি। কারণ এ নয় যে তিনি ১৯৭১ সালে পাবনার

১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর আমাদের সুমহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির জীবনের ভয়াবহ কষ্ট, বর্বর পাকিস্তানি হানাদার দখলদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার এবং

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় লাল কালিতে পাঁচ কলামব্যাপী শিরোনাম দেখে আঁতকে না উঠে পারি না। শিরোনামে অত্যধিক গুরুত্ব সহকারে

অন্তত: দুটি বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে সম্প্রতি শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকার সম্পর্কে নানা গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দেশের সচেতন

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, এবং তার সাথে ২০১৯ সাল নামক বছরটিও সমাপ্ত হয়েছে। বহু ঘটন-অঘটন পটীয়সী এই বছরটির শেষে অধুনা নিষ্ক্রিয় বলে অনুমিত, দেখলাম

আমি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িনি। আমার পাঠ্যজীবন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজেই শেষ হয় বিগত শতকের পঞ্চাশের দশকে। এডওয়ার্ড কলেজ বিপুল ঐতিহ্যবাহী একটি

সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ অধুনা বিশ্বের সর্বাধিক উদ্বেগের বিষয়। গোটা পৃথিবীতে এমন একটি দেশও নেই তা এশিয়ার হোক, আফ্রিকার হোক, ইউরোপের-আমেরিকার

সর্বাধিক গৌরবের দিন সর্বাধিক আনন্দের দিন নিমিষেই পরিণত হলো গভীর বেদনার , গভীর ক্ষোভের এবং জোরালো প্রতিবাদের একটি দিনে । বিস্ময়ে, বিক্ষোভে,

সমগ্র বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ তার বিশাল গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে নিশ্চিতই পশ্চাৎ মুখী যাত্রা

নিজের সাংবাদিকতা জীবনের দিকে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি, ঐ জীবন আমি শুরু করেছিলাম ১৯৫১ সালে অর্থাৎ আজ থেকে ৬৮ বছর আগে। আজ ও ঐ জীবন অব্যাহত। পাওয়া

গত ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ জাতীয় দৈনিক “জনকণ্ঠ” তার লাল কালিতে মুদ্রিত ব্যানার হেডিং এ লিখেছে “প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড হচ্ছে।” বিষয়টির

গত ২ ডিসেম্বর, বাঙালির বিজয়ের মাসে, দৈনিক সমকালে “আলতাফ মাহমুদ সংগীত বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বেহাতের আশংকা” শীর্ষক শেষের পৃষ্ঠায় দুই কলাম

গত ২৭ নভেম্বর ২০১৯, পূর্বনির্ধারিত মত ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমান গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে

বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান এই উপমহাদেশের তিনটির প্রধান রাষ্ট্র। পরস্পর পরস্পরের অত্যন্ত নিকট প্রতিবেশী। শ্রীলঙ্কা যেন কিছুটা দূরত্ব বজায়

বাংলাদেশে সরকার কোথায়, জনগণ কোথায়, ব্যবসায়ী কোথায়, আইন কোথায় তার নিশানা পাওয়া ভার। এমন গড্ডালিকা প্রবাহের দেশ, স্বেচ্ছাচারীদের দেশ,

ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বারংবার। ১৯ নভেম্বর, নতুন বছর এসেই গেল। তাকে স্বাগত জানানোর নানাবিধ প্রস্তুতি দেশ জুড়ে। চলছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা

করিমপুরে আমাদের (ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন) যুব শিবিরটি ক্রমান্বয়েই নতুন নতুন কর্মীতে ভরে উঠতে থাকে। এটি যদিও পাবনা জেলার

গত ১২ নভেম্বর শেষ রাতের দিকে, মানুষ যখন গভীরভাবে নিদ্রামগ্ন, তখন, রাত প্রায় পৌনে তিনটার দিকে, সাম্প্রতিককালের ভয়াবহতম রেল দুর্ঘটনা ঘটে গেল

আমি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির কথা বলছি। একাত্তরের নয়মাসের পাবনার কথা বলছি আনন্দ-বেদনার শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তগুলির কথা বলছি। মানুষের, বাঙালি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ সালে। ২০২০ সালে তাঁর জন্মের শতবর্ষ পূরণ হবে। সেই ২০২০ সাল বাঙালি জাতির

সালটা ১৯৭৫। বাঙালি জাতির এক এক করে হারানোর এবং শোকের বছর। ঘটে গেল ১৫ আগস্টের ভয়াবহ হত্যালীলা। আজ আমরা যারা গ্রামে গঞ্জে, শহরে-নগরে-বন্দরে

ধনিক শ্রেণির স্বার্থে চোখ ধাঁধানো অনেক কিছু ঘটলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আজও উদ্বেগজনক। সকল দেশপ্রেমিকও চিন্তাশীল নাগরিকই এ প্রশ্নে

দেশের প্রাচীনতম পৌরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো পাবনা পৌরসভা। প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পেরিয়েছে অনেকদিন। তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা থেকে এক লাফে

সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে বাংলাদেশে এক লড়াই শুরু হয়েছে। যেন একটা যুদ্ধ। এর শুরু করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি

গত ১২ অক্টোবর ঢাকা থেকে কলকাতা এসেছি মাসখানেকের জন্য। কলকাতা এলাম প্রায় ১১ বছর পর। বয়সটা তো অনেক ভারী হয়ে গেল। বাঁচবো হয়তো ১০০ বছর বাকী আছে

যদিও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পরে, ১৯৫৩ সালে পাবনা শহরে বসে সাংবাদিকতা শুরু করি এবং আজও ঐ জগতের সাথে সংশ্লিষ্ট আছি-তবু গোটা

যে মাসটি আমরা অতিক্রম করে এলাম অর্থাৎ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ এবং যে মাসটি আমরা অতিক্রম করছি অক্টোবর তা ভয়ংকর। এই সময়কালে যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি

ভবিষ্যতের খবর তো জানিনা। ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা নই বলে তো বলে ও পারবো না। বর্তমানটা তো দেখছি ভালভাবেই- তার বিভীষিকা মনকে অনেকাংশেই উদ্বেগাকুল

আজ থেকে অন্তত চার মাস আগে শিপ্রা দেবী নামক একজন বন্ধু (ফেসবুক ফ্রেন্ড) হঠাৎ ভিডিও কল করলেন। মাত্র অল্প দিন কয়েক আগে তাঁর সাথে তাঁরই উৎসাহে ঐ

পৈত্রিক বাসস্থান পাবনা জেলার সাবেক সাঁথিয়া থানার ভুলবাড়িয়া নামক অজ পাড়াগাঁয়ে হলেও আমার জন্ম হয়েছিল রাজশাহী জেলার ন’হাটাতে আমার দিদি

৩ অক্টোবর; প্রায় দুই দশক আগে পাবনা হারিয়েছে তার হাল আমলের শ্রেষ্ঠ ও কর্মঠ সাংবাদিক মীর্জাকে। মীর্জা শামসুল ইসলাম দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ

আকস্মিকভাবেই অভিযানটি শুরু হলো। দুর্নীতি বিরোধী অভিযান দিয়েই শুরু কিন্তু তাতেই থেকে থাকে নি। সীমাবদ্ধ থাকেনি দুর্নীতি টেন্ডারবাজির

কুমকুম আমাদের দ্বিতীয় কন্যা। জন্মেছিল পাবনাতে ১৯৬৯ এর অগ্নিঝরা এক মুহূর্তে। সেপ্টেম্বর মাসে। বড্ড ঠাণ্ডা মেয়েটি। সুমধুর গানের গলা। অনেক

অতীত ও অনেক সময় বিভিন্ন দেশের আন্ত:সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৪৭ এর আগে যখন ভারতবর্ষ অবিভক্ত ছিল, ব্রিটিশ আমলের

সাতাশি বছরের জীবনে ভালো অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে, সুযোগ হয়েছে বহু খারাপ, অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক কিছু দেখারও। কিন্তু মাত্রাহীন

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ষাটের দশক একটি অবিস্মরণীয় স্থান দখল করে নিয়েছে। এ দশকের মুখায়িত অবদান, তার উদ্দামতা, তার ব্যাপকতা এত

ষাটের দশক। কঠিন সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পূর্ববাংলা নিষ্পিষ্ট। স্বৈরাচারী সামরিক শাসক, তৎকালে ’লৌহমানব’ বলে পরিচিত পাকিস্তানি জেনারেল

কক্সবাজার উখিয়া যেমনও অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকা, যেমনও দেশি-বিদেশি পর্যটকের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্র এবং পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত

মাত্র দিন কয়েক আগে তাঁর সরকারী বাসভবনে একটি হিন্দু ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে আমন্ত্রিত হিন্দু নেতাদেরকে বলেছেন, “বাংলাদেশে কেউই সংখ্যালঘু

বিগত ২২  আগস্টের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নেয়া দ্বিতীয় বারের উদ্যোগও গত বছরের প্রথম উদ্যোগের মতই ব্যর্থতায় পর্যবসিত

আমরা সবাই জানি, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইউবের আমলে কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে মাত্র ১৭ দিনের যুদ্ধ ছিল। অনেক

বাংলাদেশে সেই পাকিস্তান আমল থেকেই, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতন অব্যাহত গতিতে চলে আসছে। অসংখ্য হত্যা, ধর্ষণ, মন্দির ও প্রতিমা

প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচারে ও ভয়াবহ সাম্প্রতিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছিল দু’তিন লাখ।

গত ২৩ আগস্ট, ২০১৯ রাত নয়টার দিকে চোখে পড়ল চরম দুঃসংবাদটি। বাংলাদেশের তথা উপমহাদেশের বাম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম

সে আজ প্রায় ৬২ বছরেরও বেশি আগের কথা। ১৯৫৩ সালের। বয়সে আমি তখন তরুণ। সবে ভাষা আন্দোলনের পালা শেষ করে প্রচণ্ড আশাবাদকে হৃদয়ে ধারণ করে পূর্ব

কাশ্মির পরিস্থিতি আজ বিশ্ববাসীকে ভাবিত করে তুলেছে। পরিস্থিতি নিয়ে এই দুর্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে ভারতের বিজিপি নেতা

দীর্ঘকাল পর সমাবর্তন উৎসবের আয়োজন হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বঙ্গবন্ধু তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত

সারা জীবনে দেখা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য ঘটনা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাস ব্যাপী ঐ মুক্তিযুদ্ধের নানা

২০১৯ সালের পবিত্র ঈদ-উল-আযহা অত্যাসন্ন। এই উপলক্ষে লক্ষ-লক্ষ বাঙালি নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে নিজ নিজ চাকরীস্থল, ব্যবসাকেন্দ্র,

আসলে অন্য একটা বিষয় নিয়ে লিখছিলাম। বেশ কিছুটা অগ্রসরও হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎই হাতে এলো দৈনিক পত্রিকাগুলি। তাতে ১০ জানুয়ারির সংখ্যায় লাল

সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলির জন্যে মহা আনন্দের ব্যাপার হলেও ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রক্তস্রোতে পবিত্র হয়ে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী

ক্ষমা করো বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে ক্ষমা করো। কোটি কোটি বাঙালির সক্রিয় সমর্থনে ও দেশ-বিদেশের দুর্লভ সহযোগিতায় যে স্বপ্নের বাংলাদেশটি তোমার

আমাদের জাতীয় সংসদে একটি বিরোধী দল আছে। যদিও সংসদীয় কার্যকলাপে, সংসদ অধিবেশনগুলির আলাপ-আলোচনায়, তর্ক-বিতর্কে, মাঠে-ময়দানের আন্দোলন

বয়সটা আমার ৮৮ ছুঁই ছুঁই । বাংলাদেশের নয় শুধু, সমগ্র পৃথিবীরই সকল মহাদেশের সকল দেশেরই সর্বোচ্চ গড় আয়ু যা তা আমার বর্তমান

সুদীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের বিশাল প্রতিবেশী দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। শুধু এশিয়ার নয়, সমগ্র পৃথিবীর বৃহত্তম

ভবিষ্যতের খবর তো জানি না-ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা নই বলে তা বলতেও পারবো না। বর্তমানটা তো দেখছি ভালভাবেই তার বিভীষিকা মনকে অনেকাংশেই উদ্বেগকুল করে

অবশেষে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্তভাবে জানা গেল। সকল জল্পনা কল্পনারও অবসান হলো। বহু ভাষী, বহুজাতিক, বহু আদর্শিক, বহু ধর্মে

আমরা সবাই জানি, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুবের আমলে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে মাত্র ১৭ দিনের যুদ্ধ ছিল। অনেক

ভাঙাচোরা একটি বাড়িতে বাস করি ত্রিশ বছরেরও অধিককাল যাবত। বাড়িটি পাবনা শহরের বেলতলা রোডে অবস্থিত। অর্পিত সম্পত্তি তালিকায় (ক) তফসিলভূক্ত

ফেনীর সোনাগাজির এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা আমাদের মাতৃতুল্যা কিশোরী, ঐ মাদ্রাসারই ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পিশাচের মত ধর্ষণ

২০১৯-২০২০ সালের বাজেট আসন্ন জুন অধিবেশনে পাশ করা হবে এবং জুলাই থেকে তা কার্যকরী হওয়ার কথা। এ কথা ভাবাই যায়, খসড়া বাজেট প্রণয়ন কাজ ইতিমধ্যেই

আজও, এই প্রায় ৬০টি বছর পরেও, কতই না গর্বিত বোধ করি, যখন সেই ১৯৬১ সালে যে বিশাল বাঙালির সাহিত্য সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হানা পাকিস্তানী সামরিক

এডভোকেট হরিসাধন দেবব্রহ্ম নামক দরিদ্রজনদের বিশ্বস্ত বন্ধুকে কিছুদিন হলো আমরা হারিয়েছি। তিনি হলেন চট্টগ্রামর সন্তান, যোগ্য সন্তান

মনটা গত ৪ মে, শনিবার থেকে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। একে তো ‘ফণী’ নিয়ে দেশজুড়ে আতংক নানা শঙ্কায়, ভোগান্তিতে জনজীবন বিধ্বস্ত, জাতি উৎকণ্ঠা

“নিরাপদ সড়ক চাই” দাবীতে শিক্ষার্থীরা গড়ে তুললো তাদের দুই সতীর্থের আকস্মিক ও নির্মম হত্যার প্রতিবাদে। আকস্মিকভাবে গড়ে ওঠা

প্রতি বছরের মত এবারেও এসে শুভ নববর্ষ পহেলা বৈশাখ - যা সমগ্র বাঙ্গালি জাতির জীবনে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ও আনন্দময় দিন। বাঙ্গালি ধর্মপ্রাণ

একজন প্রথম শ্রেণির রাজনীতিবিদ এক আলোচনা সভায় দু:খ প্রকাশ করে বলেছিলেন, অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে যে রাজনীতিক বলে আর পরিচয় দিতে ইচ্ছে করে না।

পৃথিবীটা ভালবাসার জায়গা। এ বিশ্ব মানুষে মানুষে বৈষম্য দূর করার ও সার্বিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার জায়গা। শান্তির জায়গা। মানুষে মানুষে প্রেম,

বাংলাদেশের রাজনীতি কোনদিন স্বচ্ছ, নীতি ও আদর্শভিত্তিক হবে তা বুঝে ওঠা অত্যন্ত দুরূহ। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবত অর্জিত অভিজ্ঞতায় দেশের

গত ১৫ মার্চ বাঙালি জাতি যখন গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি

জীবনে বেঁচে থাকাটাই যেন এক যুদ্ধ বাস্তবে তা এক মহাযুদ্ধ। বলা নেই কওয়া নেই রোগ বিরোগ নেই। দিব্যি ঢলে পড়তে হচ্ছে মৃত্যুর হিমশীতল কোলে। সবাই

গত ১৩ অক্টোবর রাতে পাবনা প্রেসক্লাবে একজন তরুণ সহকর্মী হঠাৎ জানালে, রাজশাহীর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে একটি স্যুভেনার প্রকাশিত

সারা জীবনে দেখা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য ঘটনা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাস ব্যাপী ঐ মুক্তিযুদ্ধের নানা

প্রায় দু’সপ্তাহ হলো কাশ্মীর পুনরায় মৃত্যুকূপ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হলো। বিগত ১০ ফেব্রুয়ারি যে মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল জম্মুর

১৯৪৮ ও ১৯৫২ র ভাষা আন্দোলনের বহুমাত্রিক অর্জন আমাদের জানা। তবুও নতুন নতুন প্রজন্মের আগমনের কারণে এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যর্থতার

ফকীর আবদুর রাজ্জাক ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব একটা পরিচিত না হলেও, সাংবাদিকতায় যশোরের সম্ভবত: জ্যেষ্ঠতম। তাঁর রিপোর্টিং অতীতে

পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে কি না জানি না তবে বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী সাংসদদের ভোটে ৫০ জন নারী নির্বাচিত হন সাংসদ হিসেবে। আসন ৫০ টি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারংবার বলছেন, দুর্নীতির সাথে ‘নো কম্প্রোমাইজ’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তাঁর কথার পুনরুক্তি করে বলছেন “দুর্নীতির

আসলে অন্য একটা বিষয় নিয়ে লিখছিলাম। বেশ কিছুটা অগ্রসরও হয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ হাতে এলো দৈনিক পত্রিকাগুলি। তাতে ১০ জানুয়ারির

বিগত ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, পুরাতন বছর সমাপ্তির একদিন আগে এবং নতুন বছর শুরুর দু’দিন আগে অনুষ্ঠিত হলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন কোন না কোন ভাবে সমাপ্ত হলো। নির্বাচনের আগের রাতেই গোপনে ব্যালট পেপার কেটে বাক্স বোঝাই, বিরোধী দলীয় পোলিং

নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের মধ্য নির্বাচনের (২০১৮) যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ। এখান অপেক্ষা একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। নি:সন্দেহে

অতঃপর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নির্বাচন শেষ হলো। সমাপ্তি ঘটলো বহুজনের নির্ঘুম দিবারাত্রির। ভোটের দু’দিন আগে থেকে মানুষ তিনদিনের

সকল সন্দেহ, সকল সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নির্বাচনী ঢোল বেশ জোরে সোরেই বাজতে শুরু করেছে অবশেষে। গত ১০ নভেম্বর সাংবাদিক

এবারের নির্বাচন এতটাই অত্যাসন্ন যে, বর্তমান নিবন্ধটি লিখে শেষ করা, দূরে পাঠিয়ে তাকে টাইপ করিয়ে আনা অত:পর পত্রিকায় পাঠানো,

কমবেশি ৪৮টি বছর ধরেই আমাদের দেশে মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার প্রসঙ্গে নানাবিধ দুঃখজনক প্রচারণা অব্যাহত আছে আজ প্রায় ৪৮টি বছর ধরেই।

গত ২৮ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল মন্ত্রীসভার একটি বড় ধরণের রদবদল হয়ে গেল। টেলিভিশনে দেখলাম দীর্ঘ সময় ধরে এখানকার শাসকদল লিবারেল পার্টির

দুটি মেয়ের অস্বাভাবিক হত্যাজনিত মৃত্যুর সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ করছি। তার একটি সুবর্না-অপরটি মুক্তি। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে পাবনা জেলাতে,

১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ-মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলী তার ইতিহাস-তার প্রেক্ষাপট-সবই বাঙালি জাতির জন্য সীমাহীন গৌরবের। তা সত্বেও আজ ঐ

বাংলাদেশের দক্ষিণমূখী যাত্রা কোন নতুন কথা নয়। এর আনুষ্ঠানিক শুরু ১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫ এর মর্মান্তিক হত্যালীলার পর। বাংলাদেশের

পাবনা তখন দুটি মহকুমা সমবায়ে গঠিত প্রাচীন একটি জেলা শহর। মহকুমা দুটির একটি হলো পাবনা সদর অপরটি সিরাজগঞ্জ। আয়তন এবং জনসংখ্যার দিক থেকে

বাংলাদেশের প্রগতি এবং ধারাবাহিক উন্নয়ন অগ্রগতির স্বার্থে পথের বঙ্গবন্ধু সূচনা করেছিলেন ব্যাপক জন সমর্থনের সুযোগের সদ্ব্যবহার করে, আজ এ

বাঙালি জাতি পাকিস্তানী স্বৈরশাসকদের নির্মম অত্যাচার, অকথ্য নির্যাতন সীমাহীন বৈষম্য ও সম্পদ লন্ঠনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রবল প্রতিরোধ

বাগ্মিতায়, শব্দচয়নে, দিক-নির্দেশনায়, পরিস্থিতির বর্ণনায় এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও উদ্দীপ্ত করার যে মহাকাব্য রচনা করেছিলেন ৭ মার্চ, এ

বিগত ২০ ফেব্রুয়ারি, সকালে সিডনি ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে স্থাপন ও উদ্বোধন করা হলো বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তি। উদ্বোধন করলেন

লেখাটি যখন ঢাকায় সংবাদ মাধ্যমের হাতে পৌঁছাবে, জানি না, তখন ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শেষ হয়ে আসবে। তবে ফেব্রুয়ারির গোটা মাসই তো একুশ বা একুশের মাস।

বাংলাদেশের সমগ্র জনসংখ্যা তখন ছিল সাড়ে চার কোটি এ তথ্য ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান সৃষ্টি পরবর্তী পূর্ব বাংলার। যে পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তানের

ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে আমেরিকার বিতর্কিত নির্বাচনে ২০১৬ সালের শেষ দিকে নির্বাচিত হয়ে মাত্র ২০ জানুয়ারী, ২০১৭ শপথ

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি এসেই গেল। কিন্তু এবারের এই ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসীদের কাছে কেমন যেন ঝাপসা, কালো ধোঁয়া

এই বিষয়ে আমার প্রথম দফার লেখার এক জায়গায় উল্লেখ করেছি, সর্বত্র এই বৈষম্য বাংলাদেশে বিরাজিত। কি সামাজিক, কি পারিবারিক, কি অর্থনৈতিক, কি

শিরোনামে বর্ণিত বিষয় নিয়ে এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মৌল ধারণার (Concept) পটভূমিকে মাথায় রেখে আজও যে লেখালেখি করতে হয় এর

দিন গেলে আপনা-আপনি সন্ধ্যা নেমে আসে-পৌঁছে দেয় অন্ধকার রাতের আগমনী বার্তা। আবার রাত গেলে ভোর হয়-সুর্যোদয় ঘটে। আমরা পেয়ে যাই রাতের অন্ধকার

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে চিনতাম যেভাবে, তেমনটি তিনি আর নেই বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তিনি মুখ খুললেন বটে কিন্তু মুহূর্তেই আবার মুখে

অবশেষে ঘটন-অঘটন পটীয়সী ৩৬৬ দিনের বৃহত্তর বছর ২০১৬ কে বিদায় জানিয়ে ২০১৭ সালের গ্রীষ্মকালে অতি আপনজনদের সাথে নিয়ে নববর্ষের স্বাগত

নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। নির্বাচনটি সুষ্ঠু অবাধ, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় জাতি স্বস্তির

ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টির পাবনা জেলার কার্যক্রম মূলত: পাবনা সদর ও ঈশ্বরদী থানা এলাকার মধ্যেই সীমিত ছিল পাবনা সদর মহকুমায়। যথেষ্ট সংখ্যক

পূর্ববর্তী অধ্যায়ে দীর্ঘ চার মাস পরে সহধর্মিণী পূরবী চারটি সন্তান নিয়ে নিরাপদে প্রায় দ’সপ্তাহ ধরে প্রধানত: পায়ে হেঁটে আবার কখনও বা

মুক্তিযুদ্ধে পাবনা বলতে মুক্তিযুদ্ধের পাবনার মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান বলে যদি আমরা মনে করি , আমার বিবেচনায় তা ভুল হবে। হ্যাঁ,

জেলা প্রশাসক নূরুল কাদের খান যখন আমাদের দু‘জনকে কলকাতা রওনা হতে বলেন, তখন পুরাতন টেকনিক্যাল স্কুলের দোতলায় স্থাপিত হয়েছিল পাবনার

সারা বাংলাদেশেরে মতই পাবনার অকুতোভয় তরুণেরা বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক সাড়া দিয়ে ঐ কর্মসূচীকে সফল করে তুলেছিলেন।

সেদিন ওরা ভুল করে নি। ওরা স্বাধীনতার শত্রুরা, মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় বিরোধীরা। তারা সশস্ত্র বেসামরিক বাহিনী তৈরি করেছিল-মুক্তিযুদ্ধ শুরু

বছরের শেষে পুনরায় এসে গেল বিজয়ের মাস- বাঙালি জীবনে সর্বসেরা অর্জনের মাস। আমরা যদি আমাদের মাটি, মানুষ ও সংগ্রামের দীর্ঘ স্মৃতিতে অসংখ্য

সম্প্রতি নতুন করে মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্মম নির্যাতন সুরু হয়েছে। এই নির্যাতন অতীতেও বেশ কয়েকবার ঘটেছে।

শিরোনামে বর্ণিত আইন দুটির কথা যখনই ভাবি, তখনই দৃষ্টি যতদূর যায় ততদূরই যেন দেখতে পাই একাত্তরের মত দৃশ্য। হাজারে-হাজারে হিন্দুরা ভিটে মাটি

ঘটনার পর ঘটনা ঘটে চলেছে। মন্দিরের পর মন্দির আক্রমণ - মূর্তির পর মূর্তি ভাংচুর, ফেইসবুকে দেবী মূর্তিকে ঘিরে একরে পর এক কুৎসিত, নোংরা

আগে কোনদিন জানতাম না গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এত বেশী সংখ্যক হতদরিদ্র আদিবাসী বাস করেন। একদিকে ৬ সেপ্টেম্বরের সরকারী বর্বর হামলা অপরদিকে

বড় ধরণের সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটে গেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের নানা হিন্দু পল্লীতে। অকস্মাৎ, একটি মিথ্যে অজুহাতেই এমনটি ঘটলো প্রকাশ্যে

ঘটনা নতুন কিছু নয়। বারংবার ঘটছে। এবারও ঘটেছে এবং নাসিরনগরেই এবারের শুরু যেমন নয়-তেমনই সেখানে এবারের শেষও নয়। যেন অনিঃশেষ যেন কদাপি শেষ

“বাঙালি” নিয়ে যে সিরিজটি লিখতে বসেছি-তা সম্ভবত: সিডনীতে থাকা পর্যন্ত প্রকৃত প্রস্তাবে শেষ করতে পারব না। কারণ অন্য কিছু না। এ নিয়ে লিখতে

আত্মপরিচয়ের সংকট বাঙালিদের জীবনে কবে কাটবে বিশেষ করে জানি না তবে এটুকু জানি যে আজ পর্যন্ত তা কাটেনি। এটা কাটানোর জন্যে অপরিহার্য যে

এ দুঃখ রাখি কোথায়? এ বেদনা প্রকাশের ভাষাই বা কি? গত ৩০ অক্টোবর, ২০১৬’র কথা বলছি। রয়েছি বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল

বিগত ২২ ও ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী, বহু ঐতিহ্যের অধিকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের

বঙ্গবন্ধুকে ডাকতাম মুজিব ভাই বলে। তাঁর সাথে প্রথম পরিচয় ১৯৫৩ সালে পাবনাতে। তিনি আওয়ামী মুসলিম লীগ সভাপতি জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান

ভোরে উঠে নিত্যদিনের অভ্যাসমতই কম্পিউটার রুমে ঢুকে ইন্টারনেটে স্বদেশের সেদিনকার কয়েকটি পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা এবং ফেসবুকের খানিকটা

ছোটবেলায় শুনতাম “সব সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ”। তখন পাকিস্তান আমলে শুরু বা তার কিছু কাল আগে। তবে পাকিস্তান হওয়ার পর কথাটি আরও জোরে সোরে

আমার মাতৃভূমি পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভুলবাড়িয়া গ্রামে। সেখান থেকে বাবা পরিবার পরিজনসহ চলে আসেন পাবনা শহরে। সেই

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর একদিকে কলকাতার পত্র-পত্রিকা আসা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঢাকা থেকে নতুনভাবে সংবাদপত্রের প্রকাশনা শুরু হলেও

পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্যাতন কতটা নিষ্ঠুর কতটা বর্বর কতটা অমানবিক ও নির্মম হতে পারে, বাঙালি জগতিই সম্ভবত: তা সর্বাপেক্ষা বেশী জানে।

কৃষ্ণা রাণী সরকারকে অভিনন্দন। উষ্ণ অভিনন্দন ‘কৃষ্ণা বাহিনী’ আখ্যায় আখ্যায়িত বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব ১৬ মহিলা। ফুটবল দলের প্রতিটি সদস্যের

বিশ্বাস করুন বর্তমান আইনমন্ত্রীর মুখে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত কোন কথা শুনলে আমি সত্যি সত্যি আঁতকে উঠে ভাবি, ওদের বৈধভাবে কাজ

দেখতে দেখতে আরও একটি বছর পেরিয়ে এলাম। দুর্গোৎসব এসেই গেল প্রায়। বিদেশের মাটিতে বসেই এবার চতুর্থবারের মত দূর্গোৎসবের সকল কর্মসূচী

অতীতে তিনবার সিডনী এসেছি কিন্তু কোনবারই সেপ্টেম্বর ৪ তারিখে এমন আয়োজন দেখিনি। উপলক্ষ ফাদার্স ডে। অস্ট্রেলিয়া জুড়ে দিনটি

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিত্যদিন এমনই দাঁড়াচ্ছে যাকে অবশ্যই বহু পুরাতন একটি প্রবাদ-বাক্যকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ

একগুচ্ছ তারকার নাম। ওরা পাঁচজন-ওরা অনেক। ওরা একসূত্রে গাঁথা। জীবন পরিক্রমায় হঠাৎই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ওরা। পাঁচজনের সবাই ছিল প্রাণবন্ত

শিরোনামে বর্ণিত প্রশ্নটি বড়ই নাজুক। বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ, র‌্যাব প্রভৃতি বাহিনী থেকে শুরু করে মন্ত্রীসভার সদস্যরা নিত্যদিনকার ভাষণে

আমরা বহুদিন ধরে জেনে আসছি আগস্ট মাস শোকের মাস-কান্নার মাস-অশ্রুপাতের মাস। কারণটি সবারই জানা। ১৯৭৫ এর আগস্টের ১৫ তারিখে ভোররাতে স্বাধীন

এই নিবন্ধের শিরোনামটি দেখলে মনে হবে লেখক (এক্ষেত্রে আমি) ধর্ম ও ধর্ম-বিশ্বাস-প্রভৃতি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান গরিমার দাবিদার। তাই অত্যন্ত

দীর্ঘ ৪১ টি বছর ধরে বাঙালি শোক প্রকাশ করে চলেছে-কেঁদে বুক ভাসিয়েছে এই লড়াকু-অসীম সাহসিকতার গৌরবে গৌরবদীপ্ত জাতি চরম অসহায়তার মধ্যে। ১৯৭৫

আজ এই বিষয় নিয়ে লিখবো তা ভাবতে পারি নি। বাবুল আখতারের চাকুরী নিয়ে আদৌ যে কোনদিন লিখতেই হবে ঘুর্নাক্ষরেও তা কদাপি কল্পনা করতে পারি নি।

এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। মন্ত্রীসভার সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সদ্য পাওয়া খবরে জানা গেল, জয়পুরহাট

ভয়াবহ জঙ্গি উত্থানে, তাদের বর্বরোচিত একের পর এক হামলা ও হুমকিতে, একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর ফলে বাংলাদেশ বহুমুখী এবং বহুমাত্রিক