রাজু আহমেদ

পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষটিও গোটা দিনের মধ্যে দু'দণ্ড সময় বের করে তার প্রিয়জনদের খোঁজ নিতে পারে না—এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। যতদূরে থাকা

যে বলছে না, একটু শুনছে, তাঁর কষ্ট হচ্ছে অনেক কিন্তু তার হার নয়; জয় হচ্ছে। হয়তো পুণ্যও হচ্ছে। প্রতিক্রিয়া দেখালে দূরত্ব বাড়তে ছাড়া কমতো না।

যারা বিরত থাকতে পারত কিন্তু আপনার উপকার করেছিল, তাদের উপকার শোধ করতে পারবেন কিন্তু ঋণ শোধ হবে না। যারা দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল, বিপদের দিনে

পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসের ঘর পোক্ত না থাকলে সম্পর্কে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। গোয়েন্দাগিরি করে বিশ্বাসকে রক্ষা করা যায় না। আজকাল মানুষ

একটা গুমট সময় পার করছি! কেউ বেশি নীতি কথা বললে, কিছু ভালো কাজ করলে তাকেও সন্দেহ হতে শুরু করে! কেননা অতীতের প্রতিশ্রুতি যারা ভেঙেছে-সে

আমার জন্য আপনার মন খারাপ, এটা শুনে আমারও মন খারাপ হয়! আমার আরও বড় চাকুরি করা উচিত ছিল! আমি এখনো বেকার কেন? আমি প্রাইমারিতে চাকুরি করি! আমি

আমাদের জীবনে প্রতিশ্রুতি বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু পূরণের মানসিকতা কমে যাচ্ছে। আমরা কথায় কথায় কথা দিয়ে ফেলি! রাজনীতি, সামাজিকতা কিংবা ব্যক্তিগত

নিজের উন্নতির জন্য আমাদের যতটা প্রয়াস, পরের ক্ষতি শুনলে তার অধিক উল্লাস। নিজের ভালো না হলেও আমাদের ক্ষতি নাই কিন্তু পরের ভালো সহ্য করার

প্রত্যেক সফল পুরুষের গল্প খুঁজে খুঁজে জানুন। তাদের প্রত্যেকের সফলতার যে কোন ভাঁজে কোন এক বা একাধিক নারীর অবদান স্বীকৃতি পাবেনই; হোক সে

ড. মোহাম্মদ সাদিক স্যার, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সাবেক বিচারপতি অমুক, সাবেক আমলা তমুক, সাবেক পুলিশ-সেনা কর্মকর্তা, নায়ক-নায়িকার দল,

কাউকে খোঁচা দিয়ে আমরা কী পাই জানি না, কিন্তু যাকে খোঁচা দেই সে ব্যথা পায়। যে ব্যথায় কেউ কেউ কাঁদে, কারো কারো বুকের পাঁজর ভাঙে। কাউকে ব্যথা

একটা সময় বেকারত্ব থাকবে না, কিন্তু আঘাতগুলোর ক্ষত থেকে যাবে। জীবনের দুঃসহ সময়ে কে কেমন আচরণ করেছিল, কে পিঠ দেখিয়েছিল, কে দূরত্ব বাড়িয়েছিল