আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

আলোর সন্ধানে আমরা কতটা আন্তরিক

ফকির ইলিয়াস  

আমরা কি আসলেই আলোকিত হতে চাইছি? আমরা কি চাইছি আমাদের চারপাশের অন্ধকার দূর হোক। এতে কতটা আন্তরিক আমরা। তা নিয়ে অনেক কথা চলতে পারে। বাংলাদেশে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই সময়ে একজন আলোচিত মানুষ। তিনি একটি মহান কাজ করেছেন। তাহলো এক কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশ, মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের শিকড়ের সন্ধান বিষয়ে সজাগ করে তুলেছেন।

মুহম্মদ জাফর ইকবালের এই কাজটি অনেকেই পছন্দ করেননি। অনেকে পছন্দ করছেন না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে একটি তাত্ত্বিক পরাজয় হয়েছিল সেই তমদ্দুনপন্থীদের। যারা দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রবক্তা ছিল- এরা হেরে গিয়েছিল একাত্তরে। এর পরের ঘটনা ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। তা কি এখন বাংলাদেশে থেমে গেছে? না- যায়নি। আর যায়নি বলেই দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ‘হত্যা তালিকা’ পাঠাচ্ছে খুনি জঙ্গিরা। একটা বিষয় খুব স্পষ্ট- বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা এখন খুব প্রবল। এটা যারা করছে, এরা করছে খুব পরিকল্পিতভাবে। একটা ঘটনা ঘটেছে খুব সাম্প্রতিক।

জঙ্গি সংগঠন আইএসের সন্দেহভাজন দুই সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, আটক হওয়া দুজনই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে। কয়েকদিনের অভিযানের পর উত্তরা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় থেকে সন্দেহেভাজন আইএস-এর দুই সদস্য আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের হাজির করা হয় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে। সে সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন সেট, মাওলানা কাশেম ওমরের লিখিত অনুবাদ আদনাউ ও তাওহিদি ও গণতন্ত্র নামের একটি বই জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পরে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করে খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য আইএস-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করত এই যুবক। এদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম বেগ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীনের জেএমবি আঞ্চলিক সমন্বয়কের পদে রয়েছেন। আর সাকিব বিন কামাল ইরাক ও সিরিয়ার যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানান যুগ্ম কমিশনার।

আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশে কোকাকোলা প্রতিষ্ঠানের আইটির প্রধান ও সাকিব বিন কামাল মোহাম্মপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক। তাহলে দেখা যাচ্ছে ওরা বসে নেই। তারা তাদের কাজ চালাচ্ছে। কেউ হয়তো বলবেন- আইটি সেক্টরে থেকে আবার দেশকে, প্রজন্মকে ধ্বংস করবে কিভাবে?

এরই উত্তর আমরা খুঁজেছি, এবারের নিউইয়র্ক বইমেলার একটি সেমিনারে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন’ নামে এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ড. রামকুমার মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, চিকিৎসক হুমায়ুন কবির, ও সমাজচিন্তক সউদ আহমদ চৌধুরী। রামকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তার কথা বললেও নিজ ঘরেই এর চর্চা করি না। তিনি বলেন, ভারতের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে আমি একদিন ফোন দিলাম। তার কাজের লোক ফোন ধরলেন। বললাম- আমার নামটা লিখে রাখুন। তিনি জবাব দিলেন, তিনি নিরক্ষর। অবাক হলাম আমি। এমন বিশিষ্ট ব্যক্তি তার নিজ গৃহপরিচারককে স্বাক্ষরজ্ঞানটুকু দিতে পারলেন না? অধ্যাপক রামকুমার মুখোপাধ্যায় বললেন- মুক্তচিন্তা আপেক্ষিক বিষয়। এর নামে তো আমরা সংঘাতের পথে নামতে পারি না। রামেন্দু মজুমদার বললেন- বাংলাদেশে এখন কে কতটা ধার্মিক সেই মহড়া দেখাচ্ছে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল। ব্লগারদের তালিকা করে হত্যা করা হচ্ছে। এর সুবিচার হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, সরকার যেন কাউকে খুশি করার উৎসবে মেতেছে। এর জন্যই কি আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম? হুমায়ূন কবির বলেন, প্রকৃত মুক্তচিন্তার ধ্রুপদী অবস্থান স্পষ্ট নয়।

মানবকল্যাণে বরং এর আপেক্ষিকতার দিকেই নজর দেয়া উচিত। একজনের জন্য যা কল্যাণকর অন্যজনের জন্য তা অকল্যাণকর হতে পারে। গোত্রে গোত্রে গড়ে ওঠা মানব সভ্যতার ইতিহাস আসলে গুচ্ছ সভ্যতার সম্মিলিত ইতিহাস। বিশ্বায়নের সুযোগে মানুষের সব মূল্যবোধকে এক করে দেখার প্রয়াস মুক্তচিন্তার পরিপূরক নয়। তবে সুস্থ সমাজের প্রগতি ও অগ্রগতির জন্য মুক্ত চিন্তা-চেতনার বিকাশ অপরিহার্য। ধর্মান্ধতা মুক্তচিন্তার প্রকাশের প্রধান অন্তরায়। এই সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে কথা বলার সময় মুক্তচিন্তা ও মূল্যবোধের আপেক্ষিকতার বিষয়টা মনে রাখলে শান্তির পথ সুগম হবে। আর শান্তিই সব কল্যাণের অন্যতম লক্ষ্য। সউদ আহমদ চৌধুরী বলেন, বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন নানা কারণেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমরা যা পারিনি- এর সৃজনশীলতার পথ খুঁজতে হবে। এগোতে হবে শান্তিময় বিশ্বের পথে। আলোচনা ও প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন কবি তমিজ উদদীন লোদী, কবি শামস আল মমীন, নাট্যজন মুজিব বিন হক, সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, ড. সাজেদ কামাল প্রমুখ।

এই আলোচনা থেকে যে বিষয়টি খুব উজ্জ্বল হয়েছে, তা হলো বাংলাদেশে কেন গোটা বিশ্বেই আলোকিত মানুষের প্রধান অন্তরায় হলো রাষ্ট্রতন্ত্রের অসহযোগিতা। কখনো রাষ্ট্রও চায়, মানুষ আঁধারের বাসিন্দা হয়েই থাকুক। এরা যদি খুব আলোকিত হয়, তাহলে হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হয়তো হাসিল করা যাবে না।

এবারের নিউইয়র্ক বইমেলায় প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সে কথাটিই আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। তিনি বলেছেন, ছোট মন নিয়ে বড় জাতি গঠন করা যায় না। বড় জাতি তৈরি করতে হলে মনকে বড় করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নত জীবনযাপনে বই মানুষকে সহায়তা করে। বইয়ের বিকল্প পৃথিবীতে আর কিছুই নেই।

এবারের নিউইয়র্ক বইমেলায় অতিথি হয়ে এসেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সাক্ষী সাংবাদিক লেয়ার লেভিন। তাকে সম্মাননা জানান অভিবাসী বাঙালি সমাজ। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে গিয়েছিলেন লেয়ার লেভিন। তার ক্যামেরায় বন্দি করেছিলেন দুর্লভ অনেক চিত্র। যে চিত্র দিয়ে পরে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ তৈরি করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মুক্তির গান।’ লেয়ার লেভিনের কাছ থেকেই সেই দুর্লভ চিত্রগুলো সংগ্রহ করেছিলেন তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ। লেভিন নিজেও জানালেন সেই কথা। তাকে বাংলাদেশের পক্ষে উত্তরীয় পরিয়ে দেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান। সম্মাননা অনুষ্ঠানে লেয়ার লেভিন আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমি এই চিত্র দিয়ে ‘জয় বাংলা’ চলচ্চিত্র তৈরির চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা তা করতে পারিনি। তারেক মাসুদ এবং ক্যাথরিন মাসুদ আমার কাছে এলে আমি তাদের তা নিঃশর্তে তুলে দিই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ অনেক সুন্দর দেশ। বাংলাদেশের মানুষ ও তাদের সংস্কৃতিও সুন্দর। এই দেশের প্রজন্ম একাত্তরের ইতিহাস জেনে আলোকিত হোক তা আমি চাই। তিনি বলেন, আমি যখন চিত্রগ্রহণ করছিলাম, সেই সময় আমাকে আমেরিকান স্পাই বলে গ্রেপ্তার করা হয়, আমেরিকায় পাঠিয়েও দেয়া হয়। আমি খুব ঝুঁকি নিয়েই কাজটি করেছিলাম। আজ বাংলাদেশের মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দেশকে ভালোবাসতে হবে।

অনুষ্ঠানের বাইরে মি. লেয়ার লেভিনকে আমি যখন প্রশ্ন করছিলাম, তখন তিনি সে সময়ও একই কথা বলছিলেন। বলছিলেন, মানুষকে আলোকিত করে গড়ে তুলতে হলে সব সংকীর্ণতা ভুলে সত্য ইতিহাস চর্চা করতে হবে। এটা খুবই আনন্দের কথা, ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা এ বছর বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদ্য প্রকাশিত ওই তালিকায় ৫৯তম অবস্থানে আছেন তিনি। ওই তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারী জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। এরপরেই আছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। মাইক্রোসফটের মালিক বিল গেইটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেইটস আছেন তিন নম্বরে। শীর্ষ দশে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিনা লগার্দ আছে ৬ নম্বরে। তার পরেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আছেন ১০ নম্বরে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চাইলে অনেক কিছুই পারেন, তা আবারো প্রমাণিত হলো। এই দেশের মানুষ চান, তিনি সেই শক্তি এবং সাধ্যটুকু কাজে লাগান। বাংলাদেশে সমাজ বিবর্তনের একটি অন্যতম অন্তরায় হচ্ছে সাইবার ক্রাইম। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি পর্যবেক্ষণ আমাদের শিহরিত করছে। সাইবার অপরাধের মামলাগুলোর তদন্তকারীদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই মামলাগুলোর বিচারক কে এম শামসুল ইসলাম। বাংলাদেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনালের এই বিচারক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সাইবার অপরাধের অভিযোগে করা শত শত মামলা বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় রয়েছে। তবে সেগুলো তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। তিনি বলেছেন- তদন্ত কর্মকর্তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারা মামলাগুলো অনেক সময় বোঝেনও না।

সাইবার অপরাধের বিচারে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার। ঢাকায় স্থাপিত এই ট্রাইব্যুনালের আওতায় পুরো বাংলাদেশ। অন্যগুলোর মতো সাইবার অপরাধের মামলাগুলোও পুলিশ তদন্ত করে থাকে। বিচারক কে এম শামসুল ইসলাম বলেন, এসব মামলার ইলেকট্রনিক এভিডেন্সই যথেষ্ট। এতে এত সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে আসার দরকার নেই। সাইবার নিরাপত্তা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নিরাপদ সাইবার জগত, এটাই হোক আজকের শপথ’ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন এই বিচারক।

খুবই দরকারি কথা বলেছেন মাননীয় বিচারক। আবার ফিরে আসি মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিষয়ে। এই অধ্যাপক, বাংলাদেশের প্রজন্মকে সাইবার সভ্যতার আলো ছড়িয়ে প্রকৃত বিচক্ষণ, ধ্যানী করে গড়ে তুলতে চাইছেন। অধ্যাপক জাফরকে সে কারণেই অনেক দুষ্ট রাজনীতিক, অনেক ভণ্ড সমাজ সংস্কারক, অনেক সুবিধাবাদী সহ্য করতে পারছে না। মুখে বড় বড় কথা বললেও তাদের মূল লক্ষ্য ভিন্ন। একটি জাতিকে সত্যের পথে দাঁড়াতে হলে নিজ মৌলিক ইতিহাসকে সম্মান করতে হবে। সূস্থভাবে যারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে সমাজ, প্রজন্ম, সভ্যতা ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চাইছে এরা প্রকৃতপক্ষেই ধারণ করছে মধ্যযুগীয় ধ্যাণ। সৃজনশীল সভ্যতার বিপক্ষে যারা- তাদের শনাক্ত করার কাজটি এই প্রজন্মকে করতে হবে সাহসের সঙ্গে।

ফকির ইলিয়াস, কবি ও কলাম লেখক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ