আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারণের ‘লিটমাস টেস্ট’

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

দল হিসাবে আওয়ামী লীগের এখনকার নীতি ও কর্মকাণ্ড কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বা আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে? এই কথাটা একটু ভেবে দেখার দরকার আছে।

যারা রাজনীতি, ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদিতে পণ্ডিত আছেন তাঁরা যদি এটা নিয়ে একটু সিরিয়াস স্টাডি কিছু করতেন তাইলে আমাদের সকলেরই একটু উপকার হতো। মুশকিল হয়েছে যে এইরকম কাজ যারা করতে পারেন, যাদের এই বিষয়ে একাডেমিক শিক্ষা রয়েছে, পদ্ধতি জানেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই আজকাল পারটিজান হয়ে গেছেন দেখতে পাই। না, মতাদর্শগতভাবে একটা দলের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকা এক জিনিস। সে তো সকলেরই থাকবে। কিন্তু পারটিজান হয়ে গেলে যেটা অসুবিধা সেটা হচ্ছে যে এরা তখন আর অবজেকটিভলি স্টাডিটা করতে পারেন না। দলকে জাস্টিফাই করা আর ডিফেন্ড করা তখন ওদের জন্যে জরুরি হয়ে যায়।

এই যে আমি বলছি 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে' এই কথাটার মধ্যেও একটা ভ্রান্তি আছে। পক্ষ-বিপক্ষ আসলে মুক্তিযুদ্ধ ধরে তো হবে না। এইটা হবে স্বাধীনতার পক্ষে কী বিপক্ষে সেটা ধরে। তাইলে আমরা যে সবসময় 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে' বলি সেটা কী? সেটা কোথা থেকে এসেছে? এটা হচ্ছে জিয়াউর রহমানের চালু করা নীতিমালা থেকে সৃষ্ট একটা কথা। ভেঙে বলছি।

'স্বাধীনতা সংগ্রাম' আর 'মুক্তিযুদ্ধ' এই দুইটা কথার মধ্যে একটা ফারাক আছে। এমনিতে দৈনন্দিন কথাবার্তায় বা আলাপ আলোচনায় আমরা দুইটাকে সমার্থক করে দেখি বটে, কিন্তু দুইটা আসলে এক কথা না। আর আমাদের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে তো এই দুইটা কথার পার্থক্যটা চিহ্নিত করে জেনে রাখা খুবই জরুরি। স্বাধীনতা সংগ্রাম বা ইংরেজিতে struggle for national liberation এটা হচ্ছে স্বাধীনতার জন্যে আমাদের পুরো যে রাজনৈতিক সংগ্রাম, সেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকেই যদি ধরেন, সেখান থেকে শুরু করে চূড়ান্ত যুদ্ধ পর্যন্ত এর পুরোটা। আর মুক্তিযুদ্ধ বা war for national indipendence হচ্ছে কেবল যুদ্ধটা।

পার্থক্যটা তো বুঝতে পরেছেন?


আমাদের সংবিধান যখন লেখা হয় তখন আমাদের ফাউন্ডিং ফাদার যারা ছিলেন তাঁরা ঠিকঠাক মতো চিন্তা ভবনা করেই আমাদের সংবিধান প্রস্তাবনায় প্রথম বাক্যতে লিখেছিলেন "আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি" ইত্যাদি। এই কথাটার অর্থ কী? অর্থ হচ্ছে যে আমাদের যে ঐতিহাসিক মুক্তির সংগ্রাম তারই চূড়ান্ত পর্বে ২৬ মার্চ তারিখে আমরা স্বাধীনতা ঘোষণ করেছি এবং অর্জন করেছি।

অন্যভাবে বললে, দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা ২৬ মার্চ স্বাধীন হয়েছি। ১৯৭১ সনের ২৬ মার্চ যদি আমরা স্বাধীন হই, তাইলে এর পরে যে যুদ্ধটা হয়েছে সেটা কার কার মধ্যে যুদ্ধ? সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ। আমাদের যুদ্ধটা কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ না। স্বাধীন বাংলাদেশ যুদ্ধ করেছে দখলদার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, বিজয় হয়েছে ১৬ ডিসেম্বরে। এটা মনে রাখবেন।

১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তো নানা ইয়ে-ফিয়ে পার হয়ে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসলেন। তিনি সংবিধান সংশোধন করলেন। প্রথমেই কী সংশোধন করলেন? ঐ যে প্রস্তাবনা বা Preamble রয়েছে সেখানে struggle for national liberation অংশে বসিয়ে দিলেন war for national independence আর বাংলায় 'জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম' সেটা পাল্টে বসালেন 'জাতীয় স্বাধীনতার জন্যে ঐতিহাসিক যুদ্ধ'। সেই সাথে চার মূলনীতি থেকে তুলে দিলেন ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটিও।

তাইলে এই সংশোধনীর অর্থটা কী দাঁড়ালো? অর্থ দাঁড়ালো এই যে, আমাদের স্বাধীনতাটা এসেছে কেবল যুদ্ধের মাধ্যমে, যুদ্ধটাই স্বাধীনতার ঐতিহাসিক কারণ এবং আমাদের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ব্যাপারটার সাথে স্বাধীনতার কোন সম্পর্ক নাই। এই সংশোধনীর সাথে ধর্মনিরপেক্ষতা তুলে দেওয়ার সম্পর্ক কী?

সংক্ষেপে বললে, যেই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পর্যন্ত এসেছি সেটার ভিত্তি ছিল অসাম্প্রদায়িকতা- বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙলার হিন্দু বাঙলার বৌদ্ধ বাঙলার খৃস্টান বাঙলার মুসলমান আমরা সবাই বাঙালি। পাকিস্তানের যে মৌলিক চেতনা- মুসলমানদের জন্যে রাষ্ট্র, তার বিপরীতে আমরা সংগ্রাম করেছি বাঙালির জন্যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে। এই সত্যতা থেকে জিয়াউর রহমান সরে এসে আমাদের দেশটাকে সেই পরাজিত আদর্শ- মুসলমানের জন্যে রাষ্ট্র- সেটাতে ফিরিয়ে নিতে চাইলেন।

এজন্যেই জিয়াউর রহমানের জন্যে 'ঐতিহাসিক মুক্তির সংগ্রাম'এর পরিবর্তে 'ঐতিহাসিক স্বাধীনতার যুদ্ধ' কথাটা নিয়ে আসা জরুরি ছিল। এ কারণেই জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে আমরা বলি যে এই লোক দেশটাকে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। এই কারণটারই বহিঃপ্রকাশ ছিল রাজাকারদের পুনর্বাসন, ওদের বিচার বন্ধ করা, বাংলাদেশ বেতারকে রেডিও বাংলাদেশ করা ইত্যাদি।


জিয়াউর রহমান কেবল নিজের খেয়ালখুশির কারণে এটা করেছে বা একা একা এরকম করেছে সেটা ভাবলে ভুল করবেন। জিয়াউর রহমান সহ আমাদের দেশের অনেক লোকই ছিলেন যারা মনে করতেন মুক্তিযুদ্ধের ফলে একটা পাকিস্তান নতুন দেশ হয়েছে বটে, কিন্তু এই দেশটাও পাকিস্তানের মতোই মুসলমানদেরই একটা দেশ মাত্র।

তারা ধর্মনিরপেক্ষতা পছন্দ করেন না এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ সমর্থন করেন না। এরা সবাই যে সেই অর্থে রাজাকার এমনটা ভাবার কারণ নাই। এদের কথা অনেকটা এরকম যে, পাকিস্তানের সাথে থাকায় আমাদের প্রতি ইনসাফ হচ্ছিল না, বনিবনা হচ্ছিল না, ওরা আমদের উপর অত্যাচার করতো, ফলে আমরা যুদ্ধ করে আলাদা দেশ বানিয়েছি বটে, কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির তত্ত্ব মানে দ্বিজাতিতত্ব ঠিক আছে। এখন একটা পাকিস্তান ভেঙে দুইটা পাকিস্তান হয়েছে মাত্র। এদের কথা অনুযায়ী এইদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা চলতে পারে না, কেননা এটা মুসলিম কান্ট্রি- মুসলমানদের দেশ। এখানে শরিয়া আইন না চলুক, অন্তত মুসলিম মেজরিটির প্রাধান্য মেনে চলতে হবে।

এবং এই যুক্তিতেই এরা জাতির পিতা হিসাবে বঙ্গবন্ধুকে খারিজ করে দিতে চায়। কেননা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম চিল অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের জন্যে আর এরা তো বঙ্গবন্ধুর সেই সংগ্রামকেই অস্বীকার করতে চায়। এদের কথা হচ্ছে একদিন হঠাৎ যুদ্ধ শুরু হয়েছে, যুদ্ধে পাকিস্তান ভেঙে দুই টুকরা হয়ে গেছে, টুকরা দুইটা হলেও পাকিস্তানেরই তো টুকরা। এরা দেখবেন রাজনৈতিক সংগ্রামটাকে উপেক্ষা করবেই, কেননা রাজনৈতিক সংগ্রাম তুললেই অসাম্প্রদায়িকতা চলে আসে।

কিন্তু এটা তো ভ্রান্ত যুক্তি। গায়ের জোরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। রাষ্ট্র ব্যাপারটাই তো রাজনৈতিক-যুদ্ধ এগুলো রাজনীতিরই অংশ মাত্র। কোন যুদ্ধই বিশুদ্ধ সামরিক সংঘর্ষ নয়। সকল যুদ্ধই একেটা রাজনৈতিক ঘটনা বা একটা বড় রাজনৈতিক ঘটনার একটা অংশ মাত্র। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সেও আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামেরই একটা অংশ মাত্র। গুরুত্বপূর্ণ অংশ, চূড়ান্ত ধাপে এসেই তবে না যুদ্ধটা হয়, সেই অর্থে আপনি যদি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশও বলেন তাও বলতে পারেন, কিন্তু যুদ্ধ হচ্ছে সংগ্রামের অংশ মাত্র, রাজনৈতিক সংগ্রামের অংশ।

সুতরাং স্বাধীনতা কেবল যুদ্ধে আসেনি। স্বাধীনতা কোথাও কেবল যুদ্ধে আসেনা। সংগ্রামে আসে, রাজনৈতিক সংগ্রামে। রাজনীতি ছাড়া যুদ্ধ, সে কখনো স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না, সে হয় কেবল তস্করবৃত্তি।


সেজন্যে কথাটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, প্রত্যয়টা হচ্ছে স্বাধীনতার চেতনা। আমরা এমনিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষ বললেও যেটা আসলে বুঝাতে চাই সে হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর বিপক্ষের শক্তি। মানে হচ্ছে আপনার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিটা কি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে রাজনৈতিক আদর্শ ছিল তার সাথে মিলছে কিনা। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের যে মৌল ভিত্তি, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের বিপরীতে সেক্যুলার রাষ্ট্র, সেটার পক্ষে যদি হয় আপনার অবস্থান, তাইলে আপনি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। আর আপনি যদি চান পাকিস্তান রাষ্ট্রের নীতিতে আমাদের রাষ্ট্রও হবে মুসলমানের দেশ, তাইলে আপনি স্বাধীনতার বিপক্ষে।

এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রশ্নেও কথা কিন্তু এইটাই। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থানের সুরটা শুনেছিলেন বাঙলার বাতাসে। সেই সুর তিনি তুলে নিয়েছিলেন নিজের কণ্ঠে। আমাদেরকে বলেছিলেন যা, আমরা বাঙালি- বাঙলার হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃস্টান সবাই আমরা বাঙালি- আর বাঙালি হবে একটি জাতী যার নিজের রাষ্ট্র থাকবে। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র হচ্ছে বাঙালির রাষ্ট্র- মুসলমানের রাষ্ট্র নয়, ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র নয়। এই কারণেই বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা। আপনি যদি এই কথাটা না মানেন, বাঙালির রাষ্ট্র আর মুসলমানের রাষ্ট্র এই দুইয়ের পার্থক্য যদি মিলিয়ে ফেলেন, তাইলে কিন্তু আপনি বঙ্গবন্ধুকেই অস্বীকার করলেন। আমরা যদি একটা মুসলিম জাতিতে পরিণত হই বা মুসলিম পরিচয় যদি আমাদের জাতির মূল পরিচয় হয় তাইলে, মাফ করবেন, আপনি বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানলেন না।

এর ভিত্তিতেই আমি স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষ নির্ণয় করি এবং, আমার সবিনয় নিবেদন এই যে, এইটাই হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষ নির্ধারণের একমাত্র লিটমাস টেস্ট। যুদ্ধে আমার বিপক্ষে যে ছিল সে তো অবশ্যই আমার স্বাধীনতার শত্রু। কিন্তু কেবল যুদ্ধে অংশগ্রহণ দিয়ে তো আমরা স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে নির্ধারণ করি না। নির্ধারণ করি আদর্শিক অবস্থান দিয়ে। জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি কেন বলি? এই কারণেই বলি। যুদ্ধে তো জিয়া আমাদের পক্ষেই ছিলেন।

যে প্রশ্নটা দিয়ে শুরু করেছিলাম, আজকের আওয়ামী লীগ কি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি? এই প্রশ্নের উত্তর উপরের টেস্টে ফেলে নির্ধারণ করেন। আপনার নিজের বিচারে কি মনে হয় সে আপনিই নির্ধারণ করেন। আমার মতামত জানতে চান? আমাকে অনেক বন্ধুরাই প্রশ্ন করে, আপনি বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে দিওয়ানার মতো কথা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপনার পোস্ট পড়ে চোখে জল আসে, আপনি আওয়ামী লীগ করেন না কেন? উত্তর দিতে হবে?


শোনেন, একটি রাজনৈতিক দল তার মুল আদর্শ চিরজীবন ধারণ করবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই- আইনেও নেই, রাজনীতির নিয়মেও নেই, নৈতিকতায়ও নেই। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে একটি রাজনৈতিক দল তার নীতিগত অবস্থান পাল্টাতেই পারে। একটা উদাহরণ দিই। আমেরিকার আজকের যে রিপাবলিকান পার্টি রয়েছে, একসময় এই দলটিই ছিল একটু বামের দিকের, লিবারেল, অর্থনৈতিক সংস্কার, দাসপ্রথা বিরোধী, লিবার্টির পক্ষের দল। সময়ের সাথে সাথে রিপাবলিকান পার্টির অবস্থান পাল্টেছে।

এখন রিপাবলিকান পার্টি হচ্ছ পুরা উল্টা নীতির কট্টরপন্থী দল। আজকে থেকে শ'খানেক বছর আগে, থিওডর রুজভেল্টের সময় বা তার কিছু পরেও, রিপাবলিকান পার্টির যে নীতি ছিল আদর্শ ছিল তার অনেকটাই আজকে আপনি পাবেন ডেমোক্রেটদের মধ্যে। এইরকম উদাহরণ আপনি আরও পেতে পারেন যেখানে একটি রাজনৈতিক দল তার ঐতিহাসিক ভূমিকা পাল্টে নিয়া নীতি গ্রহণ করেছে।

সুতরাং আওয়ামী লীগ যদি বঙ্গবন্ধুর সময়কার নীতিমালা ত্যাগ করে বা সংশোধন করে বা ভিন্ন নীতি গ্রহণ করে, সে আওয়ামী লীগের ইচ্ছা। কিন্তু আপনি কি স্বাধীনতার মুল ভিত্তি ধর্মনিরপেক্ষতা ত্যাগ করেছেন? বাঙালি জাতীয়তাবাদ ত্যাগ করেছেন? আপনিও কি মনে করেন যে আমার প্রিয় মাতৃভূমি একটা 'মুসলিম কান্ট্রি' হবে?

ভাবুন। ভেবে সিদ্ধান্ত নিন।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ