আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

রাজ্জাকের পদত্যাগ: বোধোদয়, না প্রেসক্রিপশন?

জুয়েল রাজ  

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তাঁর নিজের ভাষ্যমতে যিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সরাসরি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। হঠাৎ করে জামায়াতে ইসলামীর সংস্কার ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার ভুল স্বীকার করার প্রস্তাব এনে তিনি পদত্যাগ করলেন। এর আগে কোথাও কোনদিন এই ব্যাপারে কোন শব্দ উচ্চারণ করেছেন বলে কোন ইতিহাস নাই। এমনকি মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার চলাকালীন সময়েও কোথাও ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন নাই জামায়াত ইসলামের সংস্কারের কথা।

তিনি যদি জানতেন জামায়াতের ভূমিকা ভুল ছিল, তাহলে দীর্ঘ ৩০ বছর তিনি এই ভুল বহন করেছেন। অন্তত যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ না হউক, এই দেশবিরোধী রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ করা এবং চর্চা করার জন্য হলেও নৈতিকভাবে তাঁর নিজের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ব্যারিস্টার রাজ্জাক তা করেন নি। জামায়াতে ইসলামীর কাঁধে দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজে ধোয়া তুলসীপাতা সাজার ভান ধরেছেন। আর এখানেই প্রশ্নটা আসে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বোধহয় ঘটেছে, নাকি অন্য কোন প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তিনি পদত্যাগ করেছেন।

একটু পিছনে ফিরে দেখলে ১১ মে ২০১৭ সালে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায়, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির এক বছর পরে, তাঁর মৃত্যুদিবসে দীর্ঘ আবেগঘন একটা লেখা লিখেছিলেন। যার অংশ বিশেষ যদি দেখি, তিনি লিখেছেন- “আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাসায় এক নৈশভোজে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদও আমাকে এই কথাটা বলেন। আইনজীবী উইথড্র না করার ব্যাপারে আমি তখন তাকে তিনটি যুক্তি দিয়েছিলাম; এক: আমাদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সকল যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, সারবত্তাহীন এবং যে আইনে বিচার হচ্ছে তা আমাদের দেশীয় আইনের মাপকাঠি এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের অনেক নিচে তা প্রমাণ করা। দুই: আমাদের মক্কেলরা চান যে, আমরা এই বিচারকার্য পরিচালনা করি। তিন: বিচারকার্য যেন তড়িঘড়ি করে শেষ করা না হয়। আমার এই কথাগুলো শুনে মওদুদ ভাই বলেছিলেন: “আমরা যদি ভাবাবেগ নিয়ে চিন্তা করি তাহলে এই মামলা থেকে উইড্র করা উচিত। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলে এই মামলা থেকে প্রত্যাহার করা ঠিক হবে না।”তার মানে দাঁড়ায় ব্যারিস্টার রাজ্জাক ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বাস করতেন জামায়াত ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ছিল!

একই লেখায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন - “আন্দোলন সংগ্রামে জামায়াতের ভূমিকা নিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার সাথে আমার মতের মিল ছিল। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে আমি তার সাথে দ্বিমত পোষণ করতাম। যেসকল বিষয় নিয়ে দ্বিমত ছিল, সেগুলো নিয়ে তার সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে কখনই সমস্যাবোধ করিনি। তিনি ভিন্নমতকে বুঝতে ও সমন্বয় করতে চেষ্টা করতেন। তিনি ছিলেন মহিলাদের সম্পূর্ণভাবে মুখ ঢাকার (নেকাবের) পক্ষে। আমি নেকাবের বিপক্ষে নই, কিন্তু আমি মনে করি মুখ খোলা রেখে হিজাবও সম্পূর্ণ ইসলামসম্মত”।

এখানেও কোথাও ঘুর্ণাক্ষরে উল্লেখ করেন নি কখনো কোন নেতার সাথে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত ইসলামের ভূমিকা নিয়ে তার দ্বিমতের কথা।

আব্দুল কাদের মোল্লার ব্যাপারে লিখেন- “আব্দুল কাদের মোল্লা ভাইয়ের শাহাদাতের ৫ দিন পর আমি মাত্র ২ সপ্তাহের জন্য ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর লন্ডনের পথে ঢাকা ত্যাগ করি। আজ পর্যন্ত আমার আর দেশে ফেরা হয় নি। আমি বিলাতে নির্বাসিত জীবন যাপন করছি। কিন্তু আমার কাছে সবচেয়ে বেদনাদায়ক হল যে, বিচারপতি জনাব ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত ২য় ট্রাইব্যুনাল, সুপ্রিম কোর্টে আপিল এবং সর্বশেষ রিভিউ শুনানিতে নিজামী ভাইয়ের কৌঁসুলী হিসাবে দায়িত্ব পালনের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি”। এবং রাষ্ট্রের সংবিধান এবং আদালত কর্তৃক প্রমাণিত অপরাধীদের তিনি প্রত্যেক জায়গায় শহীদ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

শুধুমাত্র এক জায়গায় তিনি লিখেছিলেন, “এটা সত্য যে, নিজামী ভাই পাকিস্তানের অখণ্ডতায় বিশ্বাসী ছিলেন। সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালে দালাল আইনে অভিযোগ আনা যেত। কিন্তু দালাল আইনের অধীনে তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয় নি”।

মতিউর রহমান নিজামী পাকিস্তানি বাহিনীর সাহায্যকারী হিসাবে আল বদর বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেই এই সত্যটা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছেন হয়তো।

২০১৭ সালে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের লেখা একটু পর্যালোচনা করলেই বুঝা যায়, দীর্ঘ ৩০ বছর নয়, অতি সম্প্রতি তিনি বোল পাল্টিয়েছেন। এবং সেটি বোধোদয় থেকে নয়। অন্য কোন প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়নে তিনি এই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার পর বিবিসিকে দেয়া তাৎক্ষণিক ফেইসবুক লাইভে দেয়া সাক্ষাতকারটি অনেকেই দেখেছেন হয়তো। তিনি উল্লেখ করেছেন, আটলান্টিকের দুই পাড়ে তিনি জামায়াতে ইসলামীর কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং সেটাই সত্যি। ব্রিটেনে নির্বাসিত জীবনেও তিনি তার সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথেই পালন করেছেন। তার সেই কূটনৈতিক তৎপরতা আসলে কি ছিল। জামায়াতের সংস্কার নাকি অপরাধী দল এবং এর নেতাদের রক্ষা করা? ব্যারিস্টার রাজ্জাকের

দীর্ঘ ৩০ বছরের চাওয়া, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির কলঙ্ক মোচনের সুযোগ যখন রাষ্ট্র করে দিলো, যুদ্ধাপরাধের দায়ে যখন আন্তর্জাতিক আদালত ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালিত হচ্ছিল তার মানে ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেবের যে চাওয়া ছিল পরিশুদ্ধ জামায়াত ইসলাম পক্ষান্তরে সেই চাওয়াই আদালত বাস্তবায়ন করেছে। তাহলে তো সেময় রাজ্জাক সাহেবের উচিত ছিল আদালত এবং রাষ্ট্রকে সাধুবাদ জানানো। রাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলা।

সেদিন ব্যারিস্টার রাজ্জাক কিন্তু জামায়াতের প্রমাণিত অপরাধী নেতাদের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়েছেন, দেশে বিদেশে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন তাদের বাঁচানোর জন্য। চিহ্নিত দণ্ডপ্রাপ্ত, যাদের ব্যারিস্টার রাজ্জাক নিজেও নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন নি, সেই সব ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত আসামীদের সব আলোচনা লেখনীতে শহীদ বলেই সম্বোধন করেছেন। তার মানে তিনি তাদের অপরাধী বলে স্বীকার করেন না।

বিবিসির সাথে আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেছেন, জামায়াতে ইসলামী কার্যত বাংলাদেশে আন অফিশিয়ালি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল। তার ভাষ্যমতে সারাদেশে জামায়াতের সব অফিস তালাবদ্ধ, দলীয় কোন কর্মসূচী করার ও সুযোগ নেই। তাঁদের কোন নির্বাচনী প্রতীক নেই, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নেই। জামায়াত ইসলামের রাজনীতি আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার হয়তোবা। যে কোন দিন আদালত সেই ঘোষণা দিয়ে দিতে পারে।

ঠিক তখনই ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেবের মনে হলো, ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধানের আলোকে একটি ইসলামী আন্দোলন গড়া তোলার। যদিও আপাতত তিনি কোন রাজনৈতিক দল করবেন না বলেই বলেছেন। জামায়াত ইসলাম থেকে থেকে পদত্যাগ করেছেন কিন্তু রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন বলেন নি।

মূলত তিনি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে শুরু করে ইসলামী রাষ্ট্র সমূহ সব জায়গায় জামায়াতকে রক্ষা করতে, দলের নেতাদের রক্ষা করতে তিনি দৌড়ঝাঁপ করেছেন। কিন্তু বিশেষ করে তুরস্ক, মিশর, তিউনিসিয়ায় কথা রাজ্জাক সাহেব উল্লেখ করেছেন। একটি কট্টর ধর্মীয় বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছেন হয়তো তিনি। আর বাংলাদেশ এর উর্বর ভূমি। কিন্তু জামায়াত ইসলামের নামে সেই বিপ্লব সংগঠিত করা সম্ভব নয়। শুধু বোতলের মোড়ক টা বদল হবে। ভিতরে জামায়াত তাদের নীতি থেকে এক চুল পরিমাণ সরে আসবে না। ধর্ম নিরপেক্ষতা রেখে একটি দেশে কিভাবে ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থা প্রচলন সম্ভব সেটি আমার বোধগম্য নয়।

ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব আগে নিজে থেকে শুরু করুন , দীর্ঘ ৩০ বছর যে ভুল রাজনীতি করেছেন, বাংলাদেশের বিরোধী শক্তির সাথে পথচলার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। কিন্তু সেই কাজটা আপনি খুব সূক্ষ্ম ভাবে এড়িয়ে গিয়ে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেই দায় মুক্তি নিতে চাইছেন। ব্যারিস্টার রাজ্জাক মুক্তিযুদ্ধের প্রতি দায় বদ্ধতা থেকে নয়, আরব বসন্তের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাংলাদেশে বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন হয়তো। কারণ

যুক্তরাষ্ট্রে ‘বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী স্মৃতি পরিষদ’র চেয়ারম্যান আলহাজ নজমুল ইসলাম চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেছেন ‘একাত্তরে ব্যারিস্টার রাজ্জাক চট্টগ্রামে বিহারীদের কিলার মিশনের সদস্য ছিলেন।’ বার্তা সংস্থা এনাকে তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রভাবশালী সদস্য ও আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ‘সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা গ্রামের সন্তান আব্দুর রাজ্জাক বিয়ানীবাজার পঞ্চখন্ড -হরগোবিন্দ হাইস্কুলের ছাত্র ছিল এবং তার ডাক নাম হচ্ছে ‘খাজুর।’ সে আমার জুনিয়র ছিল। একাত্তরে সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল এবং দেওয়ানহাটের ডালিম হোটেলে বিহারীদের পরিচালিত ‘কিলার মিশন’র সদস্য হিসেবে অনেক কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল সে।’ আলহাজ নজমুল বলেন, ‘একাত্তরের ১৭ ডিসেম্বর অপরাহ্ণে চট্টগ্রাম নিউ মার্কেটের সামনে আমাকে দেখেই সে দৌড়ে পলায়ন করে। কারণ আমি তাকে চিনে ফেলেছিলাম। তার বহু বছর পর জেনেছি যে সেই রাজ্জাক নাকি পালিয়ে লন্ডনে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়েছে।’ নজমুল চৌধুরী আরও বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আমি আদালতে দাঁড়িয়ে এ বক্তব্য দেব।’ ব্যারিস্টার রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চট্টগ্রামে মানবতা বিরোধী অসংখ্য অপরাধের তথ্য উদঘাটিত হবে বলেও নজমুল ইসলাম উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, আলহাজ নজমুল ইসলাম বিয়ানীবাজারের সন্তান এবং দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন। কয়েক বছর আগেও তিনি নিউইয়র্কে প্রকাশ্য সমাবেশে জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাক প্রসঙ্গে একই বক্তব্য দিয়েছিলেন।

তাই শুধু ক্ষমা চাইলেই ৩০ লক্ষ শহীদ আর ৪ লক্ষ মা বোনের প্রাণ জুড়িয়ে যাবে না। আপনি নিজে ক্ষমা চেয়ে যাত্রা শুরু করেন।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ