আজ মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

ব্লগ, ব্লগার এবং বাংলাদেশী মোল্লাতন্ত্র

আজম খান  

ব্লগ এবং ব্লগার শব্দটা এখন বাংলাদেশে সম্ভবত সবচাইতে আলোচিত শব্দ। অনেক কৌতুহল, আলাপ আলোচনার মধ্যে থাকাও স্বত্ত্বেও শব্দগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা অধিকাংশ মানুষের নেই। অন্ধকারের শক্তির প্রোপ্যাগান্ডার সবচাইতে সফলতম অস্ত্র হচ্ছে ব্লগার মানেই নাস্তিক। ব্লগ মানেই ধর্ম নিয়ে কুস্তাকুস্তি লড়াই। আসলে কি তাই?

ব্লগস্ফিয়ার বা অনলাইন জগতটা আসলে পুরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। মানুষের বৈচিত্রতা, মতের বৈচিত্রতা, চিন্তার অভিনবত্ব, যে কোন ইস্যুতে তুমুল তর্ক-বিতর্ক এর সবচাইতে বড় সৌন্দর্য।



এমন অসংখ্য পোষ্ট আছে যেখানে যে পরিমাণ তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মন্তব্য পাল্টা মন্তব্য পড়ে সেটা কোন কোন ক্ষেত্রে একটি বইয়েও থাকে না। সেখানে ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল প্রকারের মানুষ আছেন যারা যার যার চিন্তা চেতনা অনুসারে মতামত দেন। ধর্মের অপদিক এবং তার ব্যবহার নিয়ে যেমন লেখনী আসে, তেমনি কুরান-হাদিসের আলোকেও অনেক লেখা আসে। এটা আসলে অনেকটা ডাইরীর মত। যেখানে প্রত্যেকে তার সমসাময়িক বিষয়াদির উপরে মতামত ব্যক্ত করেন।



এই ব্লগ থেকে চমৎকার সব কাজ হয়েছে। প্রতি বছর শীতে অসম্ভব প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা কিছু তরুণ দেশের কোণায়-কোণায় গিয়ে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে। জরুরীভাবে জীবন বাচাতে রক্ত দরকার? ফেসবুকে পোষ্ট দিন। সাম্প্রদায়িক হামলায় বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এত সব চমৎকার বিষয়াদি থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণা হয়ে উঠেছে এটা বুঝি শুধু ধর্মকেন্দ্রিক। হ্যাঁ, কিছুটা তো অবশ্যই।



অধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করাটাই আমাদের ধর্ম। এর সবচাইতে বড় উদাহরণ হচ্ছে, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগ আন্দোলন। সে রায়টা ছিল আমাদের জাতির কফিনে পেরেক ঠুকে দেয়ার চেষ্টার মত। অন্যায় সেদিন চিরদিনের মত বাংলাদেশে জেঁকে বসে যেতো।



আমরা ব্লগারেরা মানি আমাদের উপরে আপনাদের অনেক ভরসা ছিল বলে কাতারে-কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শেয়ারবাজারে সর্বস্বান্ত হওয়া মুখগুলো আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়নি। যেমনি রাষ্ট্রের চলমান বৈষম্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারনে তৈরী হওয় দুর্নীতির কারণে ন্যায়বিচারের দাবীতে আসা মলিনমুখগুলো। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে এক সাথে সব পাওয়া সম্ভব নয়। প্রথমে ন্যায়ের নিশ্চয়তা প্রতিষ্ঠা করুন।



একটু পেছনে ফিরে দেখুন পঞ্চাশ, ষাট এমনকি সত্তরের দশকেও আমাদের সমাজ এতটা আকন্ঠ আত্মপ্রবঞ্চনা, অন্যায় এবং দুর্নীতিতে ডুবে ছিল না। স্বাধীনতার পরপর শিশু বাংলাদেশে যখন ৩০ লক্ষ মানুষ এবং তিন লক্ষ নারীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো না তখনই আসলে আমাদের পথ কি হবে তা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিলো। সুযোগসন্ধানী এবং দুর্নীতিবাজ ধুরন্ধরেরা বুঝে গেলো যে দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের হত্যার বিচার হয়নি সেখানে দুর্নীতির বিচার অসম্ভব। তাই আমাদের লক্ষ্যটা একেবারে সোজা। অন্যায়, অবিচারের শুরু ৪৩ বছরের যে পুরানো বৃক্ষ থেকে তা শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে চেয়েছি। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে ন্যায়বিচারের পথে ফিরিয়ে আনা। ট্রেন একবার লাইনে এনে দাঁড় করাতে না পারলে চালানোর চেষ্টা বৃথা।



এই আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় আতঙ্কিত হয়ে উঠে মৌলবাদী জামাত শিবির এবং তার সহযোগী খুনী মৌলবাদী গোষ্ঠী। প্রচারণা শুরু হলো শাহবাগে ইসলাম ধ্বংসের আয়োজন করছে নাস্তিকেরা। শাহবাগে লক্ষ মানুষ এসেছে। সেখানে ছিল সব বিশ্বাসের মানুষ। সেখানে শুধু একটাই গর্জন ছিলো “রাজাকারের ফাঁসি চাই”। কেউ বলতে পারবে না শাহবাগ থেকে একটিবারের জন্য কোন ধর্মকে হেয় করা হয়ে কিছু বলা হয়েছে। ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দার খুন হলেন কট্টর নাস্তিকতার অভিযোগে। সেটা হয়ে থাকলে সেটা একান্তই তার ব্যাপার। আস্তিকতা, নাস্তিকরা নিতান্তই যার যার ব্যক্তিগত বিশ্বাস।



শাহবাগে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভীড়ে কেউ কাউকে একটি বারের জন্য জিজ্ঞেস করেনি, ভাই আপনি কোন ধর্মের? ধার্মিক নাকি নিধার্মিক? কারণ সেখানে উদ্দেশ্য একটাই ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের যথোচিত সাজা নিশ্চিত করা এবং জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবীতে স্লোগান দেয়া। আমি শুধু জামাত শিবিরের কথা বলবো না আন্দোলনের সেই দিনগুলোতে সমাজের দুর্নীতিগ্রস্ত অংশগুলো যেভাবে কেঁপেছে তাতেই বোঝা যায় এর দাবী কতটা শক্তিশালী এবং ন্যায্য।



আহমেদ রাজিব হায়দার হত্যাকাণ্ডের পরে একের পর এক ৮ জন ব্লগার খুন হলেন। সাম্প্রতিক সময়ে মারা গেলেন অভিজিৎ রায় এবং ওয়াশিকুর বাবু। প্রতিটি খুনের পেছনে মোটিভ পাওয়া গেছে নাস্তিকতা। এখন কথা হচ্ছে ধর্ম বা আস্তিকতা তাহলে আসলে কি? মানুষের সহজাত ধর্ম আসলে সেটাই যাতে ন্যায়বিচার এবং সম-অধিকার অর্জিত হয়। নাস্তিকের সংখ্যা এই দেশে ০.০০১ ভাগ হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। অথচ তারাই হয়ে গেলো প্রধান সমস্যা। শফি হুজুর হাটহাজারিতে বসে ঘোষণা দিলেন “নাস্তিকদের কতল করা ওয়াজিব” (সুত্র দৈনিক প্রথম আলো) আর একদল ধর্মান্ধ ছুরি চাপাতি হাতে নেমে পড়লো।



অন্যদিকে, দেশে খাদ্যে ফরমালিন, কার্বাইডসহ নানা বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর কারণে বাংলাদেশের কোটি মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে নীরব গণহত্যা হচ্ছে। ভেজাল ঔষধ সেবনের কারণে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারী আমলাদের দৌরাত্ম্য। কেউ কেউ রসিকতা করে বলেন, ঘুষ না দিলে উনারা নিঃশ্বাসও নেন না। ক্ষমতা আর টাকার জোরের কারণে হেরে যাচ্ছে ন্যায় বিচার।



এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ব্লগ তো একটা ব্যক্তিগত বিষয়। আপনি কারো লেখা না পড়তে চাইলে কেউ তো জোর করে পড়াচ্ছে না। অনেকটা অন্যের ডায়েরিতে উঁকি দেবার মত ব্যাপার। সেখানে কিভাবে এই লেখাগুলো এত এত বড় সমস্যাকে উপেক্ষা করে অনুভূতিতে আঘাত পাবার বিষয়টি মৌলবাদীদের কাছে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো। ব্লগ ফেসবুকে কেউ ধর্মকে উদ্দেশ্য করে বলে থাকলে অনান্য গুরুত্বপুর্ণ বিষয়াদি উপেক্ষা করে তা চলে আসে আলোচনায়। অথচ, হিন্দু, খ্রিস্টানসহ অনান্য ধর্মের উপাস্যদের নিয়ে তারা ওয়াজে যেসমস্ত অশ্লীল মন্তব্য করেন সেগুলোকে তারা বলেন ভিন্ন ধর্মের যৌক্তিক সমালোচনা, বাক স্বাধীনতা, ইত্যাদি, ইত্যাদি।



মোল্লাতান্ত্রিক মানুষেরা রাঘব বোয়াল দুর্নীতিবাজদের উচ্ছিষ্টভোগী। সে কারণে তারা জানে শাহবাগে যে “ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করো” শ্লোগান দেয়া হচ্ছে তা সফল হলে ধর্মকে সামনে রেখে সুশাসন, ন্যায়বিচার, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র কাঠামোর মত বিষয়গুলো অতি সহজে আড়াল করে ফেলা যায়। ধর্ম নিয়ে কেন রাজনীতি হবে? রাজনীতি হবে শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, জানমানের নিরাপত্তা নিয়ে। উন্নত দেশের নির্বাচনের সময়গুলো খেয়াল করুন দেখবেন এর বাইরে কোন আলাপ নেই।



ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে সামনে দাঁড় করিয়ে মৌলিক অধিকারগুলো আড়ালের দায়িত্ব পালন করেন এই মৌলবাদীরা। অন্যদিকে দুর্নীতি এবং দেশটাকে সম্পত্তি জ্ঞান করারা জানেন এরাই তাদের টিকে থাকার মূল অস্ত্র। তাই ব্লগারেরা আজ সেইসব লাঠিয়ালদের দ্বারা আক্রান্ত। মৌলবাদী মোল্লারা সমাজের যাবতীয় দুর্নীতি, অরাজকতার, রাষ্ট্রীয় বৈষম্য, অনাচারের বিরুদ্ধে চাপাতি নিয়ে দৌড়ায় না। তারা দৌড়ায় তাদের পেছনে যারা এসবের প্রতিবাদ করেন কি-বোর্ডকে কলম হিসেবে ব্যাবহার করে।



বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক এবং ইদানীংকার রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে মোল্লাতন্ত্রের প্রভাব প্রমাণ করে তারা এর কালো দিকগুলোর সাথে তারা কতটা জড়িত। দুর্নীতি, কালো টাকা যদি হয় শেকড় তবে মোল্লাতন্ত্র তার উপরে দাঁড়িয়ে নিশ্বাস নেয়া বিশাল বটবৃক্ষ। প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গত কয়েক দশক ধরে মসজিদ, মাদ্রাসা দিচ্ছেন ধনকুবেররা। তারা স্কুল কলেজে তেমন একটা আগ্রহী নন। কারণটা আর কিছু নয়। পাপবোধ। এসব টাকা কোথা থেকে এসেছে? এগুলো মানুষকে ঠকিয়ে, ফাইল আটকিয়ে উপার্জিত অর্থের একটা অংশ। দুর্নীতিবাজরা নিজেদের কালো টাকাকে পরকালের জন্য জায়েজ করতে, নিজের অপকর্মকে ঢেকে দিতে অকাতরে অর্থ ব্যয় করছে ধর্মীয় খাতে। যেন আল্লাহ তাদের জাগতিক অপকর্মগুলো এর বিনিময়ে ক্ষমা করেন দেন।



ধর্ম কি আসলে তাই? ধর্ম হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা, অপরের মতামতকে সম্মান করা, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় লড়াই করা । অধর্ম হচ্ছে চোখ বুঝে অন্যায় সয়ে যাওয়া আর তার উচ্ছিষ্ট ভোগ করা।



আমরা ব্লগারেরা দ্বিধা, বিভক্ত, নৈরাজ্যময় দেশ চাই না। চাই একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম নিরপেক্ষ একটি দেশ। যেখানে সব মতের মানুষের পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থাকবে। প্রত্যেকের ন্যায়বিচার, মৌলিক অধিকার রাষ্ট্রের থেকে বুঝে নেবার সমান ক্ষমতা থাকবে। সুফিরা ঠিক এমন সুন্দরের চর্চা নিয়েই এদেশে এসেছিলেন। যার কারণে এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ স্বধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছিলেন। সেই সৌন্দর্যকে কালি দিয়ে ঢেকে দিতে চাইছে ধর্মান্ধ বর্বরেরা। যারা স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশকে আল কায়েদা, আইসিসের কায়দায় আফগানিস্তান, সিরিয়া বানাবে। ভিন্ন ধর্মের সকলকে হত্যা করবে, নারীদের ঠেলে দিবে মধ্যযুগীয় অন্ধকারে। তাদেরকে শুধুমাত্র সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হবে।



যেমনটা এখন সিরিয়া, ইরাকের মত দেশগুলোতে করা হচ্ছে। ব্লগারেরা জানেন, তাদের লক্ষ্যপূরণের জন্য চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। যেমনটা দিতে হয়েছে ইতিমধ্যে ৮ জন ব্লগারকে। এতে করেও থামিয়ে রাখা যাবে না। আরো অনেককে খুন করার জন্য খুঁজছে মধ্যযুগীয় পশুরা। বার্তা দিচ্ছে, চিঠি পাঠাচ্ছে, টুইট করছে হত্যার আগাম ঘোষণা দিয়ে।

এত কিছুর পরেও একজন ব্লগার, অনলাইন একটিভিস্ট এখন পর্যন্ত পিছু হটেননি। তারা জানেন, সত্য হচ্ছে আলোর মত। যতই আড়াল করে রাখার চেষ্টা করা হোক না কেন তা গলিঘুপচি পেরিয়ে ঠিক বেরিয়ে আসবে। সহযোদ্ধা ব্লগার হাসিব মাহমুদের মতো করে যদি বলি তবে “কলম চলবে, সে কলমে কালির বদলে রক্ত ভরে হলেও”।

আজম খান, ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও সংগঠক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৪ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ