আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বিএনপির সূর্যাস্ত কোনো নতুন দলের সূর্যোদয়ের পথ প্রশস্ত করবে কি?

আবদুল গাফফার চৌধুরী  

বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের চোরাগোপ্তা হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রয়েছে। বরিশালের উজিরপুরে এক বাস-কন্ডাক্টরকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। বাস ড্রাইভারও গুরুতর আহত। ঢাকায় পুলিশের গাড়িতে পেট্রলবামা ছোড়া হয়েছে। এটা আন্দোলন নয়। আন্দোলনের রাজনীতিও নয়। এটা তস্করবৃত্তি। চোরাগোপ্তা হত্যাকাণ্ড। তাও সাধারণ মানুষ হত্যা। এই হত্যাকাণ্ড গত বছরের ৫ জানুয়ারির আগের ব্যাপক সন্ত্রাসও নয় যে তা সরকারের গতি টলাতে পারবে। এটা সন্ত্রাসীরাও জানে। তাই এখানে ওখানে একজন দু’জন নিরীহ মানুষকে কাপুরুষের মতো হত্যা করে তারা পালায়।

বিএনপি-জামায়াত নিশ্চয়ই এতদিনে বুঝে ফেলেছে এই ছুঁচ ফোটানো সন্ত্রাস দ্বারা তারা হাতির মতো বিপুলাকায় সরকারের অনিষ্ট করতে পারবে না। তাই রাজনৈতিক হতাশা থেকে তারা অনিষ্ট করছে সাধারণ মানুষের। তাদের দু’একজনকে এখানে ওখানে হত্যা করে তারা দেশের মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করতে চায়। আতংক সৃষ্টি দ্বারা সৃষ্টি করতে চায় দেশময় অরাজকতা।


বিএনপি-জামায়াতের এই আশাও সফল হবে মনে হয় না। বরং জামায়াতের সন্ত্রাসী দুর্নাম এখন বিএনপি’র গায়েও লেপ্টে বসেছে। কেউ কেউ তাই দাবি তুলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপিকেও সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। আমি অবশ্য এই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করি না। বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা হলে তাদের সন্ত্রাসীরা নতুন নামে আবির্ভূত হবে।


তাহলে কি বিএনপিকে এই সন্ত্রাস অনির্দিষ্টকাল চালিয়ে যেতে দেয়া হবে? বিএনপি তো এখন আর বিরোধীদলীয় বৈধ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে চলছে না। চলছে অবৈধ সন্ত্রাস ও নিরীহ মানুষ হত্যায় অমার্জনীয় অপরাধ করার পথে। দেশের প্রচলিত আইনের দ্বারাই এই খুন, জখম, হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি’র বিচার হতে পারে। তাদের শাস্তিও হতে পারে। বিএনপি বা জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নয়, সন্ত্রাসী দল হিসেবে তাদের চিহ্নিত করে নিরীহ মানুষ হত্যার দায়েই দলটির শীর্ষ নেতাদের অভিযুক্ত করে বিচারের সম্মুখীন করা দরকার। তবে তারেক রহমানের বিচারের মতো বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রাখা বিচার নয়। সামারি ট্রায়ালে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বিচার ও শাস্তি হওয়া দরকার।


উজিরপুরের ওই নিরীহ বাস কন্ডাক্টর (হয়তো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি) কী দোষ করেছিল যে, তাকে বিএনপির সরকার হটানোর আন্দোলনে পুড়িয়ে মারতে হবে? শুধু তো একজনকে নয়, বিএনপির আন্দোলন মানেই ঘুমন্ত বাসযাত্রী, শিশুকোলে মা, নিরীহ পথচারীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু। রাজনীতির নামে এই নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের অধিকার কোনো দেশে কোনো রাজনৈতিক দলের আছে কি? এতগুলো নিরীহ মানুষের হত্যাকাণ্ডে খালেদা জিয়ার কণ্ঠে একটি শোকবাণীও নেই। একবার দুঃখ প্রকাশ নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশে লাঠির ঘায়ে একজন হাঙ্গামাকারী আহত হলেও তিনি আলুথালু বেশে ছুটে যান আহতকে দেখতে।


বিএনপির নেতানেত্রীরা বলতে পারেন এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য তারা দায়ী নন। কিন্তু তাদের ডাকা অবরোধ ও হরতালে এভাবে পুড়িয়ে মানুষ মারার দায়িত্ব তাদের নিতেই হবে। যদি হরতাল ও অবরোধ ডেকে তারা সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে সেই হরতাল ও অবরোধ তারা ডাকেন কেন? আন্দোলনের ডাক দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মানুষ হতাহত হলে তার একটা অর্থ বোঝা যায়। কিন্তু হরতালের মধ্যে বাস না চালিয়ে তাতে ঘুমিয়ে থাকলেও নিরীহ বাসযাত্রী ও চালককে পুড়িয়ে মারতে হবে এ কোন বর্বরতা? এই বর্বরতায় দুগ্ধপোষ্য শিশুকোলে মায়ের পর্যন্ত শোচনীয় মৃত্যু হয়েছে। অবশ্যই এই জঘন্য অপরাধের দায়ে বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।


ইংরেজ আমলে মহাত্ম গান্ধী অহিংস রাজনৈতিক আন্দোলনের ডাক দিতেন। কিন্তু আন্দোলন চলাকালে তাতে হিংসা ঢুকলেই তিনি তা বন্ধ করে দিতেন। তার আন্দোলনে গণসমর্থন থাকত। তা সত্ত্বেও গান্ধী তার বিখ্যাত চৌরাচেরির আন্দোলনেও জনতা হিংসার আশ্রয় নেয়ায় তিনি আন্দোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশে আন্দোলন ডেকে বিএনপি জনসমর্থন না পেয়ে দলের সশস্ত্র ক্যাডার ও ভাড়াটে গুণ্ডাদের হাতে অবাধ অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যার অধিকার তুলে দিয়ে নিজেরা ঘরে বসে ‘বিপন্ন গণতন্ত্রের’ জন্য মায়াকান্না কাঁদছেন। এই ভণ্ডামির কোনো তুলনা নেই। বুঝতে অসুবিধা হয় না, সন্ত্রাসীরা দলের নেতাদের নির্দেশেই দেশময় আতংক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে! এটা রাজনীতি নয়।... এই বর্বরতা কঠোর হাতে দমন করা দরকার।


খবরের কাগজে বাংলাদেশে বিএনপির সন্ত্রাসের রাজনীতির তাণ্ডবের ছবি দেখে লন্ডনের এক ব্রিটিশ সাংবাদিক আমাকে বলেছেন, ‘ইউরোপের কোনো গণতান্ত্রিক দলও এই ধরনের সন্ত্রাসী কাজে জড়িত হলে সরকার তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিত। হয়তো দলটি নিষিদ্ধ হয়ে যেত। গত শতকে ব্রিটেনে মোস্লের দলটি কোনো সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হয়নি; কেবল ফ্যাসিবাদে সমর্থন জানানোর জন্যই নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।


স্বাধীন ভারতের রণদীভের নেতৃত্বের আমলে কমিউনিস্ট পার্টি হিংসাত্মক পথ গ্রহণ করায় নেহেরুর আমলে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। হিংসার পথ ত্যাগ এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার পর কমিউনিস্ট পার্টির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এমনকি নেহেরুর আমলেই কেরালায় কমিউনিস্ট পার্টিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়। সংসদীয় পন্থায় পৃথিবীর কোথাও কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতায় আসা এটাই ছিল প্রথম।


বাংলাদেশে সামরিক ছাউনিতে জন্ম নেয়া একটি অগণতান্ত্রিক দলের চরিত্র থেকে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক দলের চরিত্র অর্জন করেছিল এবং নির্বাচনে জিতে একাধিকবার ক্ষমতাতেও বসেছে। অনেকে আশা করেছিলেন ভারতের বিজেপি যেমন অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক দলের চরিত্র বহুলাংশে অর্জন করেছিল এবং বাজপেয়ি দেশকে একটি গণতান্ত্রিক সরকার উপহার দিতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশে বিএনপিও তেমনি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক দলের চরিত্র ধরে রাখতে পারবে এবং দেশকে দ্বিদলীয় গণতন্ত্রের পথে ধরে রাখতে সাহায্য জোগাতে পারবে।


খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারের আমলে এই আশাটি ফলবতী হতেও চলেছিল। কিন্তু তারেক রহমান বালেগ হয়ে দলের নেতৃত্বে এসে জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসী দলগুলোর সঙ্গে আঁতাত গড়ে তোলার পর বিএনপির গণতান্ত্রিক চরিত্রে ধস নামে। দলের মুক্তিযোদ্ধা অংশ দলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দুর্গ হাওয়া ভবন গড়ে ওঠে। দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় হাওয়া ভবনের দৌরাত্ম্য। শুরু হয়েছিল মা-পুত্রের দ্বৈত এবং স্বৈরাচারী রাজত্ব।


এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে আওয়ামী লীগসহ দেশের গণতান্ত্রিক ছোট-বড় দলগুলোকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। বহু রাজনৈতিক চক্রান্ত ও বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছেছে, যে অবস্থাকে বলা চলে গণতন্ত্রের জন্য এক ক্রান্তিকাল। দেশে গণতন্ত্র টিকবে কি টিকবে না, তা নির্ভর করে নাজুক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এই ক্রান্তিকাল সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করতে পারে কিনা তার ওপর।


ভারতে ও বাংলাদেশে সেক্যুলারিজম ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেকটা একই ধরনের ক্রান্তিকাল পার হচ্ছে। বিরাট নির্বাচন বিজয়ের অধিকারী হয়ে বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে সরকার গঠনের পর অনেকে মনে করেন তিনি বাজপেয়ির গণতান্ত্রিক মধ্যপন্থায় হাঁটতে চান, কিন্তু পারছেন না। উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা, আরএসএস ও বজরং দলের চাপে তিনি কোণঠাসা হচ্ছেন বলে অনেকে আশংকা করছেন।


ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থায় একটু পার্থক্য এই যে, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক সরকার এখনও ক্ষমতাসীন। দেশটিতে এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি আরও শক্তিশালী হতো যদি খালেদা জিয়া বাজপেয়ি ও মোদির মতো বাংলাদেশের উগ্র ধর্মান্ধ দল জামায়াত ও তার সহযোগী দলগুলোর খপ্পর থেকে বের হয়ে এসে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে পা রাখতেন। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার ইচ্ছা থাকলেও তিনি তারেক রহমানের কাছে বন্দি। তারেক রহমান জামায়াতসহ সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে জোটবন্দি। খালেদা জিয়া মাতৃস্নেহে অন্ধ। তিনি পারছেন না এই অজগরের পাকচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে।


তিনি যদি তা না পারেন, তাহলে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিএনপি’র ভূমিকা আজ না হোক কাল শেষ হয়ে যেতে পারে এবং জামায়াতের সঙ্গেই বিএনপি চিরকালের জন্য একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে দেশবাসীর মনে চিহ্নিত হতে পারে। এটা বিএনপির অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীরও আশংকা। তা যদি হয় তাহলে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটি বড় শূন্যতা দেখা দেবে। তা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না। দেশে যাতে একদলীয় ব্যবস্থা কোনো কারণেই একটি স্থায়ী ব্যবস্থা না হয়ে ওঠে তার জন্য একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বিরোধী দল প্রয়োজন। বিএনপি যদি দেশের রাজনীতির সেই চাহিদা পূরণ না করে সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াতের সঙ্গে সহমরণে যেতে চায়, তাহলে কারও কিছু বলার নেই।


প্রশ্ন, বিএনপি যদি সুস্থ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে না ফেরে তাহলে বাংলাদেশে দ্বিদলীয় ব্যবস্থার সম্ভাব্য শূন্যস্থানটি পূর্ণ করবে কারা? কোনো বামদল? তার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ডানদলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি? এ দলটিও কি পারবে বর্তমানের দোদুল্যমান অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে নিজেকে শক্তিশালী বিরোধী দলের অবস্থানে পৌঁছাতে? বেগম রওশন এরশাদ তা চান। কিন্তু পারবেন কি? এ সম্পর্কে ভবিষ্যতে একটু বিশদ আলোচনার ইচ্ছা রইল।


আবদুল গাফফার চৌধুরী, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ