আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

জাফর ইকবাল স্যার, ভুল প্রেমের জন্য ক্ষমা চাইছি

জুয়েল রাজ  

বাংলাদেশ জন্মেরও ২৪ বছর আগে, ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ। বাংলা ও বাঙালির সকল রাজনৈতিক অর্জনে জড়িয়ে আছে ছাত্রলীগের নাম ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে ইতিহাসের অগ্নিগর্ভে জন্ম নিয়েছে ৫২, ‘৬২, ‘৬৯ এবং অবশেষে ‘৭১। ১৭ হাজার নেতাকর্মীর রক্ত মিশে আছে লাল সবুজের পতাকায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বের গৌরব আর অহংকারের এক নাম ছাত্রলীগ। সোনালী ইতিহাসের সেই ছাত্রলীগ আজ লজ্জিত করে বিব্রত করে।

আমার ব্যক্তিগত বর্ণাঢ্য কোন রাজনৈতিক ইতিহাস নেই। তবে স্কুল জীবন থেকেই জয়বাংলা শ্লোগানে আন্দোলিত হয়েছি বারবার। বিভিন্ন দিবসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তরঙ্গায়িত করেছে রক্ত কণিকা। সেই থেকেই পথচলা। আমার রাজনৈতিক পথচলা শুরু সিলেটের এক মফস্বল বালাগঞ্জ থেকে। ১৯৯৯ সালে সবে মাত্র কৈশোর পেরিয়ে সম্মান শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে বালাগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ ১৫ আগস্ট উপলক্ষে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করার উদ্বেগ নিলে এর সম্পাদনার দায়িত্ব পাই আমি। যদি ও ততদিনে আমি বালাগঞ্জের পাঠ চুকিয়ে স্থায়ীভাবে সিলেটবাসী। সেই সুবাদে সিলেটের স্বনামধন্য সব লেখকদের লেখনীতে সমৃদ্ধ করেছিলাম "সতীর্থ" নামক ম্যাগাজিনটি।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি হাবিবুর রহমান, কবি দিলওয়ার, মহীউদ্দিন শীরু, শুভেন্দু ঈমাম, তুষার কর, একে শেরাম, কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ার সহ সিলেটের প্রথিতযশা লেখক কবিদের লেখনীতে সমৃদ্ধ হয়েছিল সংখ্যাটি। এর সূত্র ধরেই কিছুটা দুঃসাহস করেই চলে হাজির হয়েছিলাম জাফর ইকবাল স্যারের অফিসে, ম্যাগজিনের জন্য একটা লেখা চাইতে। স্যারের সেটা মনে থাকার কথা না। ছাত্রলীগ থেকে ম্যাগাজিন প্রকাশ হবে স্যার বলেছিলেন ‘কোন রাজনৈতিক সংগঠন কে আমি লেখা দিইনা’।

খুব আহত হয়েছিলাম। বুঝে না বুঝে সদ্য কৈশোর পেরুনো আমি বোকার মতো স্যার কে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ছাত্র রাজনীতির মুখস্থ ইতিহাস বলতে শুরু করেছিলাম। মনে হলে নিজেরই এখন হাসি পায়। আজকে দীর্ঘদিন পরে সেই কথা মনে করে লজ্জিত হচ্ছি। জানিনা কি ভেবে স্যার রাজী হয়েছিলেন ‘একজন দুর্বল মানুষ’ গল্পটি তিনি আমাকে দিয়েছিলেন এবং ফিরে আসার সময় বলে ছিলেন গল্পটা তোমাকে দিলাম ছাপবে কি ছাপবে না সেটা তোমার উপর নির্ভর করে। কিছুটা অভিমানে কিছুটা স্যারের মতের প্রতি শ্রদ্ধায় গল্পটি আমি ছাপাই নাই ।

জাফর ইকবাল স্যারের কাছে আজকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সেদিনের মুখস্থ ইতিহাস বলার জন্য। আমার ভুল প্রেমের জন্য। স্যার আপনিই সঠিক ছিলেন। আমি ভুল বলেছিলাম। ছাত্র সংগঠনের নামে সব লুটেরা, অন্ধরা,আদর্শবিহীন রাজনীতি করছে। আজকের ছাত্রলীগ আর নিজের অবস্থানে নাই। ছাত্রলীগ যেন আজ আওয়ামী লীগের এক আপদের নাম। ব্লগার খুন হয়, শহীদ মিনার ভাঙ্গে, পতাকা পুড়ে, বিহার পুড়ে, মন্দির ভাঙে দেশান্তরী হয় মানুষ। শিক্ষা শান্তি প্রগতির সংগঠন ছাত্রলীগের ঘুম ভাঙ্গেনা। জাফর ইকবাল স্যারকে সিলেটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় সেই মিছিলে ও ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, সেই সময় ভিসি বিরোধী আন্দোলনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ও ছাত্রলীগই ঘটিয়েছে। নিজ দলের নেতা কর্মীদের ও রক্ত ঝরিয়েছে ছাত্রলীগ।

আওয়ামী লীগের গত সরকারের আমলে ছাত্র লীগের তাণ্ডবে অতীষ্ট হয়ে শেখ হাসিনা একবার ছাত্রলীগের সাথে নেই বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রলীগ শোধরায়নি।

জাতির এই যুগসন্ধিকালে ছাত্রলীগের সুযোগ ছিল দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়ার। সেই কাজটি ছাত্রলীগ করেনি। রাজাকার আলবদর ও তাঁদের ধূসরদের বিচার কাজে জনমত গঠনের কাজটি ছাত্রলীগ সাংগঠনিক ভাবে মাঠ পর্যায়ে করতে পারতো। এই বিশাল জনশক্তি আর কোন সংগঠনের বাংলাদেশে থাকার কথা না।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে, কিংবা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে, ধর্মান্ধদের প্রচার প্রচারণা রুখে দিতে গ্রামে গ্রামে ছাত্রলীগ তাঁদের কর্মী বাহিনী দিয়ে সভা সমাবেশ করে মানুষকে সাহস দিতে পারতো। সেসব না করে দলীয় পদ বাণিজ্য, নেতা তোষণ আর ভাই লীগ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। অনলাইনে অমুক ভাইয়ের পক্ষ থেকে তমুক কারণে শুভেচ্ছাতেই থমকে আছে তাঁদের রাজনীতি।

শোনে অবাক হয়েছি ছাত্রলীগের প্রবাসী কমিটি থেকে ও নাকি লিডার কিংবা ভাইয়ের নাম ভাঙিয়ে তদবির বাণিজ্য চলে। স্থানীয় মামলা মোকদ্দমায় প্রভাব বিস্তার করেন তাঁরা। পায়ে হেঁটে চলা ছাত্রলীগ আর নেই, এখন পাজারো জীপওয়ালা ছাত্রলীগ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সোনালী ইতিহাসের পৃষ্ঠা জুড়ে ছাত্রলীগের আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসকে আরও উজ্জ্বল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে না ছাত্রলীগ।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই সময়ের যুবলীগ। আর এখনকার আওয়ামী লীগের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। এই সমালোচনা গুলো আত্মসমালোচনা হিসাবে নেয়া উচিৎ বিরোধিতা হিসাবে নয়। ছাত্রলীগের কাছে আমাদের দাবী অনেক প্রত্যাশা অনেক।

গতকালের একটা সংবাদ আমাকে খুব ব্যথিত করেছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে দিনে দুপুরে একটি বাজারের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিনটি দোকানে প্রকাশ্যে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এসময় বাধা দিলে নিরীহ দোকান মালিকদের চোখ তুলে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। এই হল সংবাদের মূল অংশ। বর্তমান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোশারফ হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন ফরিদ পুরের দিকে না থাকাতে। তাকালে চোখ তোলে ফেলবেন। সেই একই হুমকি এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মুখে ও কার দোষ দিব বুঝতেছি না।

সম্প্রতি সিলেটে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে যা ঘটছে, অস্ত্রের মহড়া কিংবা জামায়াত শিবির থেকে সরাসরি ছাত্রলীগের কমিটিতে কাউকে স্থান দেয়া হয়েছে কিন্তু কেউ যেন দেখার নেই।

সিলেটের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী সিলেট জেলা ছাত্রলীগের নব গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অর্থ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন হোজায়েল আহমদ বাপ্পী। গত জোট সরকারের আমলে তিনি সিলেট মদন মোহন কলেজের ছাত্র ছিলেন। সেসময় তিনি কলেজ ছাত্র শিবিরের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিরোধীরা সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। বাপ্পী ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাংচুরে অংশ নেন বলে জানা গেছে। শহীদ মিনার ভাংচুর মামলায় তিনি জেলও খাটেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো চারটি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনকারীদের একজন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হোসাইন আহমদ চৌধুরী বলেন, বাপ্পী শিবিরের ক্যাডার ছিলো। তার বাবাও জামায়েতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

ছাত্রলীগকে বারবার কলঙ্কিত করেছে ছাত্রলীগে কিছু অনুপ্রবেশকারী সেই ইতিহাস ও আমাদের জানা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কারী ও তাদের সন্তানরা দলে দলে বিভিন্ন বাম সংগঠন ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনে প্রবেশ করেছিল। এই সব নেতাকর্মী জাতির জনক হত্যার পর আওয়ামী লীগে বা অঙ্গ সংগঠনে থাকেনি। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ছাত্রলীগের অন্তঃ-দলীয় কোন্দলে ছাত্রলীগ বহুবার বিভক্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে অনেক ছাত্রলীগের কর্মী।

যুদ্ধাপরাধী মুসলিম লীগের নেতা দবির উদ্দিন প্রধানের ছেলে শফিউল আলম প্রধান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন এবং কয়েকমাস যেতে না যেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে রাতের আঁধারে ব্রাশ ফায়ার করে সেভেন মার্ডারের কারণে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে জেলে যান। পঁচাত্তর পরবর্তী অনেক জেলবন্দী যুদ্ধাপরাধীদের জিয়া জেল মুক্তি দিলে শফিউল আলম প্রধানও সে সময় মুক্তি পান। প্রচলিত আছে পঁচাত্তরের ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কে এম ওবায়দুর রহমান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তীকালে মেজর জিয়া বিএনপি গঠন করলে তার মহাসচিব মনোনীত হন ওবায়দুর রহমান। তেমনি আ স ম আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজ সহ বহু ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রলীগ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন। ছাত্রলীগ কিন্তু থেমে থাকেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে তোলা ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। লুটেরাদের হাতে লুণ্ঠিত হওয়ার আগে লাগাম টেনে ধরতে হবে। বাংলাদেশের নেতা তৈরির কারখানা ছাত্রলীগ যদি টাকার কাছে, টেন্ডারের কাছে, তদবির বাণিজ্যের কাছে হেরে যায়, শিবিরের নেতাকে নেতৃত্বে নিয়ে আসে তাহলে সামনে কোন অন্ধকার ওত পেতে আছে আমরা জানি না।

প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন অন্য দল থেকে লোক এনে আওয়ামী লীগ চালাতে হবে না। কিন্তু কে শুনছে কার কথা। দেশে বিদেশে উৎসব শুরু হয়েছে নেতা আমদানির তাও জামায়াত বিএনপি থেকে। ৭৫ এর পরে দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বের কারণেই আজকের অবস্থানে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ। ত্যাগী নেতা কর্মীর রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশের রাজপথ। নেতৃত্বের ভুলে যেন ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের জন্ম না দেয়।ছাত্রলীগের ইতিহাস ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস গণ অভ্যুত্থানের ইতিহাস, ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ