আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

জাসদ এখন আর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলে না

শাহাব উদ্দিন চঞ্চল  

অতীতের ভিত্তির উপর বর্তমান দাঁড়িয়ে আছে আর বর্তমানই ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখায় ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে যোগায় উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা। সে জন্যই আমাদের ইতিহাসের আশ্রয় নিতে হয় - জানতে হয় অতীতকে। বাংলাদেশ ও  বাঙালি জাতির ইতিহাস বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায়  পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র তৈরিতে জাসদকে দায়ী করেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধারক-বাহকরা সদ্য স্বাধীন দেশকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়েছিল। এ দল থেকে মন্ত্রী বানানোর জন্য আওয়ামী লীগকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হতে পারে।  সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই বক্তব্যে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ব্যক্তিগত হউক আর দলের পক্ষ থেকে হউক এ বিষয়ে কি কারো সন্দেহ আছে? জোটের পক্ষে বিপক্ষের বিষয় না ইতিহাসের কথা কঠিন সত্য উচ্চারণ করেছেন। ছাত্রলীগের আগামী প্রজন্মকে উৎসাহ দিচ্ছেন ছাত্রদের অনুপ্রেরণার উৎস তাঁর এই বক্তব্য।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এই বক্তব্যের কারণে অনেক নেতাদের প্রতিক্রিয়া দেখলাম  প্রতিবাদও জানিয়ে  বিবৃতি দিচ্ছেন কেউ আবার প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ করছেন কিন্তু জাসদ করা যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল এটা বলছেন না। সদ্য স্বাধীন দেশে মাত্র এক বছরের মাথায় জাসদ সৃষ্টি করে হাজার হাজার ছাত্রের চরিত্র নষ্ট করে দেশে অরাজকতা তৈরি করার কথা এত সহজে ভুলে গেলেন কেমনে? রাজনৈতিক বাস্তবতা না বুঝে সে সময়কার দেশের চিত্র দেখে শুনে এবং বুঝেও সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র হাজার কয়েক লোক নিয়ে  বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগান দিয়ে যুব সমাজ, ছাত্র সমাজকে বিভ্রান্ত করে হঠাৎ করে  মাথায় ডুকিয়ে দিলেন Scientific socialismমের  দর্শন। অথচ এই যারা Scientific socialismমের  দর্শন নিয়ে বেশ জোরে সুরে কথা বলছিলেন তাদের অবস্থা এখন কি?

৪৪ বছর আগে জাসদ দলটির জন্ম হয় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু নেতাদের সমন্বয়ে। জাসদের সৃষ্টি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুটি সম্মেলনকে ঘিরে। ঢাকায় রেসকোর্স ও পল্টন ময়দানে ১৯৭২ সালের ২৩ জুলাই ছিল এক সাথে  দুটি সম্মেলন। রেসকোর্সের সম্মেলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদের সমর্থনপুষ্ট নূরে আলম সিদ্দিকী ও আবদুল কুদ্দুস মাখন। আর পল্টনের সম্মেলনের পেছনে ছিলেন সিরাজুল আলম খানের সমর্থনপুষ্ট আ স ম আবদুর রব, শাজাহান সিরাজ প্রমুখ। দুটি সম্মেলনের প্রধান অতিথি করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শেষ পর্যন্ত পল্টনের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু গেলেন না। তিনি যোগ দেন রেসকোর্সের সম্মেলনে। সম্মেলনের উদ্বোধন করে তিনি বললেন, গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শেষে ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে স্লোগান ওঠে- ‘এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, ত্যাগ কর সব বাদ কায়েম কর মুজিববাদ।’ বিশ্ব এলো নতুন বাদ মুজিববাদ মুজিববাদ। একই সময়ে পল্টনের সম্মেলনে আ স ম আবদুর রব বললেন, ‘গণতন্ত্র দিয়ে সমাজতন্ত্র হবে না। মার্কসবাদই হচ্ছে মুক্তির মতবাদ।’ কর্মীদের মাঝে স্লোগান ওঠে- ‘সামাজিক বিপ্লবের পথ ধর, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম কর।’

শুরু থেকেই জাসদ ছিল এ দেশের রাজনীতিতে পরম বিস্ময়। রহস্যঘেরা। ধূমকেতুর মতো সামাজিক বিপ্লব ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগান দিয়ে কিছু  তরুণ লম্বা লম্বা চুল বিশিষ্ট এগ্রেসিভ কথাবার্তা মার্ক নেতৃত্বের লোভে জাসদে শুরুতে দলে দলে ছুটে এসেছিল অগণিত তরুণ। কিন্তু দিন শেষে সবাই হয়েছে বিপ্লবের নামে বিভ্রান্ত, আর সংগ্রামের নামে বিপর্যস্ত, হতাশ। নেতাদের ভ্রান্তি, লক্ষ্যহীনতা আর হঠকারিতার চরম মূল্য দিতে হয়েছে জাসদের কর্মী-সমর্থকদের। কালের বিচারে বেরিয়ে এসেছে- জাসদের বিপ্লব ছিল আসলে বিপ্লবের ভ্রান্তিবিলাস।স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ছাত্রলীগের দ্বিধাবিভক্তির পর শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির পিতা’ পর্যন্ত বলতেন না এমন কি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল।বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগানও দিয়েছিলেন। এখন রাজনীতি পালটাচ্ছেন  জয় বাংলাও বলেন, বঙ্গবন্ধুও বলেন জাতির পিতাও বলছেন। এখানে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ইতিহাসের সত্যতা ছাত্রলীগের এ প্রজন্মের ছাত্রদের কাছে স্মরণ করিয়ে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন এতে এত ক্ষিপ্ত হচ্ছেন কেন? এতে লাভ হবে না অসত্যের জয় কোন দিন হয়নি হবেও না, সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য ব্যক্তিগত হউক আর দলের হউক এটা বড় বিষয় নয় দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যের গুরুত্ব অনেক।

গত বছরের ২৩ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমও বঙ্গবন্ধুর হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য জাসদকে দায়ী করেছিলেন। তখন নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক বলেছিলেন, বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত জাসদ রাজনৈতিক দল হিসেবে কী কর্মকাণ্ড করেছে, কী ভূমিকা রেখেছে, জাসদ নেতাদের কী ভূমিকা ছিল- তা পত্র-পত্রিকা ও রেডিও-টেলিভিশনে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। জাসদ সৃষ্টির পর থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিভিন্ন সময় নেয়া পদক্ষেপ ভুল ছিল না সঠিক ছিল, সেটি ইতিহাসই বিচার করবে আর ১৯৭২-৭৫ সময়ে দলের ভূমিকা নিয়ে জাসদের অন্য অংশের কার্যকরী সভাপতি মইন উদ্দিন খান বাদল তখন বলেছিলেন, তারা এখন ওই সময়ের ভুলের ‘কাফফারা’ দিচ্ছেন।তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাহেব  ইতিহাস তো ইতিহাস কারো পক্ষে থাকে আবার কারো বিপক্ষে থাকে যার আপন কর্মের ফল। একটু চোখ দিন অতিথের বাঁকে দেখেন না  ইতিহাস কি বলে  আর কাজা-কাফফারাতো দিতেই হবে মইন উদ্দিন খান বাদলতো আগেই বলেছেন। আপনি তথ্যমন্ত্রী আপনার কাছে তথ্যের ভাণ্ডার পুরনো ইতিহাস তথ্য এসব কি বলতে মানা? এখন রাজনীতি পালটাচ্ছেন  জয় বাংলাও বলেন, বঙ্গবন্ধুও বলেন জাতির পিতাও বলেন।সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ইতিহাসের সত্যতা ছাত্রলীগের এ প্রজন্মের ছাত্রদের কাছে স্মরণ করিয়ে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন এতে ক্ষিপ্ত হচ্ছেন কেন?

তাহলে এখন আবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে একাত্মতা করছেন কেন? এদেশের মানুষ ভাল করে জানে আওয়ামীলীগের মত রাজনৈতিক দলের ভিতরে অনেকেই জাসদ সহ ১৪দলের  অন্যান্য শরিক নেতাদের এমপি মন্ত্রী করার কারণে  সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনেক  নেতা কর্মীর মূল্যায়ন হচ্ছেনা বিভিন্ন আসনে আওয়ামীলীগের অনেক ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে জাসদ সহ ১৪দলের  অন্যান্য শরিক নেতাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। অথচ এক সময় এই সকল নেতারাই  আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের হত্যা খুন করেছেন এখন বেশ বদলায়ে আওয়ামীলীগের সুরে কথা বলেছেন আওয়ামীলীগের সাথে জোট বেধেছেন। ছোট ছোট দলের বড় বড় নেতাদের রাজনীতি দেখতে দেখতে ভোঁতা হয়ে গেছেন দেশের সচেতন মহল যারা সমালোচনা করছেন আয়নায় ভাল করে একবার নিজেদের অতিথ দেখে নিন, নিজেদের দৌড় কতটুকু এও কি বুঝেন না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য হজম করেন  তিনি কি একটুও ভুল বলেছেন? সাবেক এই ছাত্রলীগের এই নেতা তো সঠিক কথা বলেছেন,, তিনি তো ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন এত চ্যাতেন কেন?

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে বলেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র জাসদই করেছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জাসদ নিয়ে বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ফিরোজ রশীদ বলেছেন, সৈয়দ আশরাফ যথার্থ বলেছেন। আমরাও তার সাথে একমত-ফিরোজ রশীদ জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, আমরা ছাত্রলীগ করতাম। একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এক বিছানা থেকে উঠে এসে উনি আমাদের উদ্দেশে অস্ত্র ধরেছেন। গুনে গুনে আমাদের ২০ লাখ লোককে হত্যা করল। সেদিন যদি গণবাহিনী গঠন করে বেছে বেছে আওয়ামী লীগের  নেতা-কর্মীদের এভাবে হত্যা না করতেন, তাহলে দেশে দুর্দিন হতো না। বঙ্গবন্ধুর মতো এতবড় জাতীয়  নেতাকে আমরা হারাতাম না। সেজন্য জাতি আজ পর্যন্ত ভুগছে।’তার কথাগুলো কি মিথ্যা?

সাবেক মন্ত্রী কর্নেল  (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম বঙ্গবন্ধু হত্যার দায় জাসদ পরোক্ষভাবে এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধের পর ’৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে জাসদের সম্মেলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চূড়ান্ত অপমান করে বেইমান বলার ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে গালি দেওয়াই ছিল তাদের স্লোগান। ঢাকার মাটিতে মিটিং করে জাসদ স্লোগান দিত— ‘বাংলার বেইমান, শেখ মুজিবুর রহমান।’ সদ্য স্বাধীন দেশের জাতির জনককে বিতর্কিত করতে এর চেয়ে বড় স্পর্ধা আর কী হতে পারে। এগুলোও কি মিথ্যা? জাসদ যে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল তা-ই বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকে ত্বরান্বিত করেছে। অর্থাৎ যুদ্ধকালীন সময়ে খোন্দকার মোশতাক যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন সেই ষড়যন্ত্র স্বাধীন বাংলাদেশে ঘনীভূত হয়েছিল জাসদ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণেই।

শাহাব উদ্দিন চঞ্চল, যুক্তরাজ্য প্রবাসী রাজনীতিক ও লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ