প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
সাব্বির খান | ০৬ জুলাই, ২০১৬
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঢাকার গুলশান-২ এ যে জঙ্গিহামলা, তা সারা দেশকেই নাড়া দিয়ে গেছে। এর আগে বছর দেড়েক ধরে বিচ্ছিন্নভাবেও ঘটেছে জঙ্গি তৎপরতা। খুন হয়েছে ব্লগার সহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ, বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা।
ইতিপূর্বে ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেখেছি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিভিন্ন রায় ঘোষণার পরে সারাদেশ জুড়ে হরতাল-অবরোধের নামে দিনের পর দিন দানবীয় হত্যাকাণ্ড, বোমাবাজি, তাণ্ডব। খালেদার ৯০ দিনের অবরোধের কথা বোধকরি বাংলাদেশের মানুষ আজও ভোলেনি। মানুষ পুড়িয়ে মারার যে উৎসব তখন শুরু হয়েছিল, তা সত্যিই ছিল তুলনাহীন। খোলা রাস্তায় পুলিশের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়া, যাত্রীভর্তি বাসে প্যাট্রল ঢেলে মানুষগুলোকে কয়লা বানিয়ে ফেলা, চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে বগীকে বিচ্ছিন্ন করে মানুষ হত্যা, সরকারী, আধাসরকারী ও বেসরকারি অফিস, আদালত, দোকানপাট ভাঙচুর করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া দেখেছি এই বাংলাদেশেই।
তারও পূর্বে দেখেছি বাংলাভাইয়ের নৃশংসতা, সারাদেশ জুড়ে সন্ত্রাসের, একই সাথে ৬৪ জেলায় বোমাবিস্ফোরণ। এক এক করে সন্ত্রাসবাদের প্রায় সব ধরনগুলোরই অনুশীলন হতে দেখেছি এই বাংলাদেশে। শেষে যোগ হয়ে আরো একটি ধরন, যা ১ জুলাই ঘটে যেতে দেখলাম রাজধানীর বুকে। এই ঘটনায় শুধু বাংলাদেশ নয়, কাপিয়ে দিল সারা বিশ্বকে। দেশী-বিদেশী অনেক মানুষকে একটা পাবলিক প্লেসে জিম্মি করে একের পর এক হত্যা করা হয়েছিল সেদিন। বাংলার মানুষ এই নতুনত্বে স্তম্ভিত হয়েছে, দিশেহারা হয়েছে, ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বরাবরই ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ এবং বিভিন্ন জঙ্গি মৌলবাদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছেন। এই নীতির প্রয়োগে সরকারের বিবিধ ভুল যে নাই, তা বলা যাবে না। কিন্তু আন্তরিকতার প্রশ্নে আমি এই সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইনা। এই সরকারকে একই সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে বিভিন্ন ফ্রন্টে। একাধারে দেশকে আধুনিকীকরণ, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, অর্থনীতির ভিতকে অধিকতর মজবুত করা, ডিজিটেলাইজেশনের মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার কাজগুলো বাংলাদেশের মত একটা অনুন্নত দেশের সরকারের জন্য কতটা কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর পাশাপাশি সবচেয়ে কঠিন কাজটি এই সরকার ২০১০ সাল থেকে করে আসছে, তা হলো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। এই বিচার করতে গিয়ে সরকারকে অনেক মাশুল দিতে হয়েছে এবং হচ্ছে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শত চক্রান্ত এবং বাঁধা মোকাবেলা করে এগোতে হচ্ছে তারপরেও। দেশের ভিতরে গড়ে ওঠা একটা সিন্ডিকেট বিভিন্ন পরিচয়ের আড়ালে সরকারের উন্নয়নে শুধু বাধাই দিচ্ছে না, একই সাথে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে এক অন্ধকারে, যে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লেবানন, ইরাক, লিবিয়া।
সাম্প্রতিক বিশ্বে জঙ্গিবাদের কিছু ধরন আছে। সংঘবদ্ধ এবং যথেষ্ট সামরিক শক্তিতে পারদর্শী না হলে এই সন্ত্রাসবাদের আগুন ছড়ানো যায়না। মৌলবাদের রাজনৈতিক সন্ত্রাসবাদ দেখেছি বিশ্বে বিভিন্ন দেশে। জিম্মি করে হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম বাংলাদেশে। সব সন্ত্রাসবাদের নিজস্ব কিছু ধরন থাকে। ধর্মীয় রাজনীতিতেও থাকে সুনির্দিষ্ট কিছু আদর্শ। সে আদর্শকে রাষ্ট্রের শীর্ষক্ষমতায় প্রতিষ্ঠা দিতেই আশ্রয় নেয়া হয় বিভিন্ন কৌশলের, যার একটির নাম ‘সমরনীতি’। এব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা ও ধর্মগুরু মাওলানা মওদূদীর বয়ানেই আছে, “জামায়েতে ইসলামী হলো খোদার সেনাদল, ক্ষমতা দখল করা ছাড়া যাদের আর কোনো পথ নাই”!
বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যাদের রয়েছে একটা সুনির্দিষ্ট সমরনীতি এবং এই নীতির ব্যাপারে তাঁরা অত্যন্ত যত্নশীল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মত জামায়াতও তাদের জঙ্গিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ট্রেনিং নেয়ার জন্য দলের খরচে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুডের এক ও অভিন্ন দর্শন হচ্ছে, ‘ধর্মের নামে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে কোনো ধরনের হত্যা, নির্যাতন ও সন্ত্রাস ইসলামসম্মত’। মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি জঙ্গি সংগঠন, যার বলয় মিসর পেরিয়ে সারাবিশ্বেই বিস্তৃত। নামে ভিন্নতা থাকলেও আদর্শগত মিলের কারণে বিশ্বের তাবৎ জঙ্গি মৌলবাদী দলগুলোর সঙ্গেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান। সেই অর্থে জামায়াতের সাথে আন্তর্জাতিক সব ধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সৌহাদ্যপূর্ণ যোগাযোগ স্বাভাবিকই শুধু নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা প্রমাণিতও।
তাহলে বিষয়টি দাঁড়াল এমন যে, ব্রাদারহুডের জ্ঞাতিভাই যদি হয় আল-কায়েদা, তাহলে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ যে আল-কায়েদার বাংলাদেশী অপারেটর, তা না বোঝার কোন কারণ নেই। অন্যদিকে যেহেতু ব্রাদারহুডের দর্শন এবং ভাবধারা জামায়াত ধারণ ও লালন করে, সেহেতু বাংলাদেশের আনসারুল্লাহর পৃষ্ঠপোষক অবশ্যই জামায়াত হতে বাধ্য। অর্থাৎ জামায়াতের সাথে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ হচ্ছে আদর্শিক।
জামায়াত বিশ্বাস করে, ‘ধর্মের নামে ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকার জন্য যে কোনো ধরনের হত্যা, নির্যাতন ও সন্ত্রাস ইসলামসম্মত’, যা একই সাথে আল-কায়েদা, ব্রাদারহুড, এবং আনসারুল্লাহও বিশ্বাস করে। ঠিক একই ভাবে আল কায়েদার সাথে পথের বিভেদ থাকলেও লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক হওয়াতে ইসলামিক স্টেটও (আইএস) ভাড়ায় খাটা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জ্ঞাতিভাই।
জামায়াতে ইসলামী কখনো আইএস, কখনো আনসারুল্লাহ, কখনো আল কায়েদা, আবার কখনো জেএমবি নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে। নামে ভিন্নতা থাকলেও তারা যে জামায়াতেরই কৌশলগত যোদ্ধা, একই আদর্শিক দলের সদস্য এবং একই কমান্ডের অধীনে তারা অখণ্ড, গুলশান-২ এর ঘটনা থেকে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। ভিন্ন ভিন্ন নামের জন্য জামায়াতকে শুধু ভিন্ন ভিন্ন বিশেষজ্ঞ ব্রিগেড তৈরি করতে হয়েছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলোর হত্যার স্টাইল, আচার আচরণ এবং বিশেষ শব্দের প্রয়োগবিধি রপ্ত করার জন্য। এটা নিশ্চয়ই কোন কঠিন কাজ নয়।
আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, জামায়াত তাদের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডের যোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ট্রেনিং দেয়ার জন্য দলের খরচে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে থাকে। একাত্তরেও জামায়াতের বিভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন ব্রিগেড ছিল এবং রাজাকার, আলবদর, আল শামস, শান্তি কমিটি সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
গুলশানের ঘটনা থেকে জানা যায় যে, জঙ্গিদের প্রায় সবাই উচ্চবিত্ত সম্পন্ন, শিক্ষিত পরিবারের সন্তান ছিলেন। সনাতনী ধারায় মাদ্রাসাকেন্দ্রিক যে উগ্রবাদের কথা আমরা ইতিপূর্বে জানতাম, তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় চালিত হওয়া এই জঙ্গিবাদ দেখে বাংলার মানুষ স্তম্ভিত হয়েছে। ৭৫ পরবর্তীতে বাংলাদেশে একটা নব্য ধনিক শ্রেণী তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। তাদের অর্থের উৎস এবং ক্ষমতার বলয় সম্পর্কে পরিষ্কার কোন ধারনা পাওয়া যায় না। চাকুরীতে,ব্যবসায়, রাজনীতিতে, সাহিত্যতে, মিডিয়াতে প্রায় সবখানেই এসব নব্য দাড়ি গজানো ধনিক শ্রেণীর উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয়। এছাড়াও খুব সুচিন্তিত ও সূক্ষ্মভাবে এই নব্যদেরকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোতে সমবন্টন আকারে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে জামায়াতে ইসলাম।
২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত জামায়াত ও তার সহযোগী বিএনপির যে তাণ্ডব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ, তা কোন এক দৈব কারণে ইতিমধ্যেই সবাই ভুলতে বসেছে। ভুলিয়ে দেয়ার এই শৈলীটিও জামায়াতের কূটকৌশলেরই অংশ মাত্র। বর্তমানে বাংলাদেশের কোথাও জামায়াতের কোন কার্যক্রম নেই। এমনকি জামায়াতি নেতাদের ফাঁসিতেও এখন আর হরতাল বা অবরোধ হয় না। কোথাও নেই জামায়াত। যেন হাওয়া থেকে মিলিয়ে গেল একটা মহাপরাক্রমশালী দৈত্য!
প্রশ্ন করা যেতে পারে, তাহলে এই আইএস, আল কায়েদা, আনসারুল্লাহ, জেএমবি এলো কোত্থেকে! জামায়াতের অনুকরণে কেন এসব সংগঠনগুলো ধারাবাহিকভাবে সেই একই কাজ করে যাচ্ছে, যা জামায়াত-বিএনপি এতো বছর ধরে করেছে! এইসব কাজের বেনিফিশিয়ারী বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি জামায়াত-বিএনপি ছাড়া আর কেউ হতে পারে?
জামায়াতের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে দলটির জনসমর্থন একেবারে শূন্যের কোটায়। জামায়াতের ‘বি টিম’ বিএনপিও জামায়াতের সন্ত্রাসী কাজের মাশুল দিচ্ছে কড়ায় গণ্ডায়। স্বভাবতই জামায়াতের এখন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা ছাড়া উপায় থাকেনা।
জামায়াতের ধর্মগুরু মাওলানা মওদূদীর বয়ানে যেহেতু বলা আছে যে, “জামায়েতে ইসলামী হলো খোদার সেনাদল, ক্ষমতা দখল করা ছাড়া যাদের আর কোনো পথ নাই”, তাই ভিন্ন নামে এবং ভিন্ন পন্থায় একই কাজ করাই জামায়াতের রাজনীতির জন্য যৌক্তিক এবং গ্রহণযোগ্য। সেই থেকে শুরু হয়ে গেলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় গুলশান-২ ঘটনা তারই একটা অংশ মাত্র।
এইতো মাত্র সেদিনের কথা, যেদিন জামায়াতের হরতাল, অবরোধ আর হত্যার ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারতো না। অথচ জামায়াত-বিএনপির সব অপকর্মই আজ ধামাচাপা পড়ে গেল। ভাসুরের মত জামায়াতের নাম আজ কেউ মুখে নেয় না।
গুলশান-২ এর মত জামায়াত-বিএনপির হত্যাগুলোও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ছিল। দুইয়ের মাঝে কোন পার্থক্যই করা যাবে না। পার্থক্য এক জায়গাতেই, “ইদানিংকার হত্যাযজ্ঞের সাথে জামায়াত-বিএনপির নাম আজ কেউ আর উচ্চারণ করেনা”। মাত্র বছর দেড়েকের মাথায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী একেবারে দুধে ধোয়া তুলসী পাতা হয়ে গেল। পাকিস্তানের আইএসআইয়ের নামগন্ধও পাওয়া যায় না কোথাও। ওহাবী-খোয়াবী-হেফাজতিরাও আর মঞ্চে নাই। সবাই উধাও!
মাঠে প্রবেশ করলো বিশ্ব কাঁপানো ভয়ংকর সব রোমান্টিক জঙ্গিবাদের নাম-আনসারুল্লাহ, আল কায়েদা, আইএস, ব্রাদারহুড, জেএমবি, আরো কত কি! জঙ্গিবাদে একধরনের হিরোইক স্টাইল আছে, সিনেমার মত সাসপেন্স আছে, বিভিন্ন চরিত্রের সংমিশ্রণে হাসি-কান্না আছে, ধর্মের সুড়সুড়ি আছে, হিজাব-কিতাবের বয়ান আছে। সবই আছে এই জঙ্গিবাদে! পাশাপাশি হরতাল-অবরোধের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলো খুব সেকেলে। তাতে জঙ্গিদের মত কিছুই নেই।
বাঙালিরা সাসপেন্স পছন্দ করে। হিরোকে ভালবাসে, ভিলেনকে ইচ্ছেমত বকা দেয়! এরচেয়ে উত্তম খোরাক বাঙালিদের জন্য আর কি হতে পারে। এসব খোরাকের কারণে জামায়াত-বিএনপির ইতিপূর্বে ঘটানো কুকীর্তিগুলো ঢেকে যায়। গুলশান-২ ঘটনার পর বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক মিডিয়াগুলো তার সাক্ষী।
আমরা যে রোমান্টিক জ্বরে ভোগা একটা জাতি, তা জামায়াতও বোঝে, শুধু আমরাই বুঝি না! বাঙালিদের বড় ভুলো মন। সবাই সবকিছু খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যায়। আইএস, আল কায়েদা, আনসারুল্লাহ, জেএমবি, হিজবুত তাহরী যা কিছু করছে, কোন কিছুর সাথেই জামায়াত বা বিএনপির কোন সংশ্লিষ্টতা নাই। গুলশান-২ এপিসোডের মঞ্চায়নটা খুব মর্মান্তিক হলেও, ‘আড়ালে তার জামায়াত হাসে’!
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য