ব্রিটেনের সর্ববৃহৎ ঈদমেলার আয়োজন করছে টি এন্ড টি কনসালটেন্সি। অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বাংলাদেশের ব্যান্ডতারকারা। দিনব্যাপী আয়োজনে বিভিন্ন দেশের ২০ হাজার মানুষ উপভোগ করবেন এই ঈদমেলা। সঙ্গে থাকবে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টলসহ বাংলা সংস্কৃতির নানা আয়োজন।

এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন আয়োজকগণ। আগামী ৯ জুলাই ব্রিটেনের টি এন্ড টি কনসালটেন্সি ও নেক্সট স্টেইজ ইভেন্টসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হবে ব্রিটেনের সর্ববৃহৎ ও বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রথম খোলা মাঠে ঈদমেলা।

ঈদমেলার আয়োজন নিয়ে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ঈদমেলার পৃষ্ঠপোষক টি এন্ড টি কনসালটেন্সি ইউকে সিইও ইফতেখার আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক নাজিম উদ্দিন, নেক্সট স্টেইজ ইভেন্টসের সিইও আবদুল্লাহ মাহমুদ।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, বিলেতে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরার কাজে বহু সাংস্কৃতিক সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় আমাদের সংগঠন টি এন্ড টি কনসালটেন্সি এবং নেক্সট স্টেইজ ইভেন্টসও কাজ করে যাচ্ছে। গত বছর আমরা টি এন্ড টি কনসালটেন্সির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সহযোগিতায় পূর্ব লন্ডনের আকলু প্লাজায় দিনব্যাপী একটি বৈশাখীমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করতে পেরেছি। সে অনুষ্ঠানে ছিল নাচ, গান, আবৃত্তির সাথে বাংলাদেশি পণ্য প্রদর্শনী বিক্রয়, ফ্যাশন শো, বাঙালির উপাদেয় হরেক রকম খাদ্যের স্টল।

তারা জানান, কয়েক হাজার দর্শকশ্রোতা সেদিন আমাদের এ আয়োজনে উপস্থিত হয়ে কেনাকাটাসহ আনন্দ উপভোগ করেছেন। বিলেতের মাটিতে অনুষ্ঠানটি হয়েছিলে একখণ্ড বাংলাদেশের উজ্জ্বল পরিচিতি। ব্রিটিশ বাঙালি ও নতুন প্রজন্মের মাঝে সেদিন যে সাড়া পেয়েছি, আমাদের বিশ্বাস তারা নিজ শিকড়ের সাথে পরিচয় হতে পেরে উৎসাহিত হয়েছেন। আমাদের উদ্দেশ্যও তাই, নতুন প্রজন্মকে শিকড়ের সন্ধান দেওয়া। আমাদের সেই বিরল অভিজ্ঞতার পর আমরা উৎসাহিত হয়ে এবার একটি বিশাল সাংস্কৃতিক আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছি। এটাই হবে এখন পর্যন্ত বিলেতের সবচেয়ে বড় ঈদ মেলা।

এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। থাকবেন বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লোকসংগীত শিল্পী, আধুনিক ও জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পীরা আরও থাকবেন অন্যান্য থেকে থেকে আগত খ্যাতিমান শিল্পীরা। পরিবেশিত হবে ফ্যাশন শো, থাকবে হালকা খাবারের শতাধিক রকমারি স্টল। চমকে দেয়ার মত রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন মাঠকে দেবে চোখ ধাঁধানো একটি পরিবেশ। থাকবে শিশু—কিশোরদের জন্য নানা খেলাধুলার ব্যবস্থা।