ডেস্ক রিপোর্ট

২০ মার্চ, ২০১৫ ২১:৪৪

অভিজিৎ হত্যার বিচার দাবিতে নিউইয়র্কে প্রদর্শনী

লেখক, গবেষক, ব্লগার ড. অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের প্রবাসীরা। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে এক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ শিরোনামে এই ‘ইনস্টলেশন’ প্রদর্শনীর আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উত্তর আমেরিকা শাখা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিজিৎ রায়সহ সব লেখক-ব্লগার হত্যার বিচার দ্রুত করার দাবি জানান।

একুশে বইমেলার মাঝামাঝি সময়ে দেশে এসে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রকৌশলী অভিজিৎ। হামলায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছেন তিনি।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির অপতৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এবং উগ্র ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানান।

সাতটি স্তম্ভের এই স্থাপনাশিল্পের সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে উগ্র ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদবিরোধী পোস্টার এবং চিত্রাঙ্কণ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অসাম্প্রদায়িক চেতনার সাত জন কবি-সাহিত্যিকের সাতটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়।

পুরো অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা এবং তত্ত্বাবধানে ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উত্তর আমেরিকা শাখার প্রধান মিথুন আহমেদ।

ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিজ্ঞানমনষ্ক মুক্তচিন্তা বিকাশের প্রতি জোর দেন তিনি।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন- সেলিনা মোমেন, ড. প্রদীপ কর, মোর্শেদা জামান, রানু ফেরদৌস, ফকির ইলিয়াস, টমাস দুলু রায়, শরাফ সরকার, নিনি ওয়াহিদ, বেদারুল ইসলাম বাবলু, জাকারিয়া চৌধুরী, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, তৈয়বুর রহমান টনি, জলি কর ও শিবলী সাদিক।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এ কে এ মোমেনসহ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন হুসাইন কবীর, লেখক হাসান ফেরদৌস, কম্যুনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শিতাংশু গুহ, লুৎফুন্নাহার লতা ও লেখিকা সামসাদ হুশাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নিউইয়র্ক, আটলান্টা, ক্যালিফোর্নিয়া, বস্টন, মায়ামী, শিকাগো, টেক্সাস, ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকায় মানববন্ধনেরও আয়োজন করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত