ডেস্ক রিপোর্ট

১৬ আগস্ট, ২০১৫ ২২:২৪

ঘুপচি ঘর থেকে গুগলের সিইও

দুই কামরার ছোট্ট ফ্ল্যাটে আলাদা ঘর পেত না ছেলেটা। রাতে ভাইকে নিয়ে শুয়ে পড়তেন বসার ঘরেই। ঘুমের মধ্যেও ঘুরে ঘুরে আসত স্বপ্ন । বড় হওয়ার স্বপ্ন । প্রযুক্তি নিয়ে পড়ার স্বপ্ন । যে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন বাবা । বলেছিলেন‚ মন দিয়ে পড়াশোনার কোনও বিকল্প নেই। তাতে অবশ্য ছেদ পড়ত না ক্রিকেট খেলায়। চেন্নাইয়ে নিজের স্কুলকে জেলা স্তরে চ্যাম্পিয়নও করেছিলেন তিনি। ছিলেন অধিনায়ক। সেই ছাত্র এখন ৪৩’র যুবক। তার কাঁধে এখনও গুরু দায়িত্ব। স্কুল টিমের বদলে এখন চ্যাম্পিয়নের জায়গায় বসাতে হবে গুগলকে। নিজের সংস্থার সঙ্গে দেশকেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সারথি পিচাই সুন্দররাজন । বিশ্ব যাকে চেনে সুন্দর পিচাই নামে ।

ভারতের চেন্নাইয়ের স্কুল থেকে পাশের পরে খড়গপুর আইআইটি( IIT) থেকে মেটালার্জিক্যাল শাখায় ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন সুন্দর। সুযোগ আসে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার। করেননি তিনি। একই প্রতিষ্ঠানে এমএস করেন। এরপর এমবিএ সম্পূর্ণ করেন পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যেখানে তিনি ছিলেন সিয়েবেল এবং পামার স্কলার।

দুটি সংস্থায় চাকরির পরে ২০০৪-এ গুগল-এ যোগ দেন সুন্দর । প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এগার বছরে উল্কাবেগে উত্থানের পরে আজ সুন্দর গুগলের সিইও।

ছোটবেলায় ছেলের ফোন নম্বর মনে রাখার স্মৃতিশক্তি দেখে মুগ্ধ হতেন সুন্দরের বাবা রঘুনাথ পিচাই। এখনও সুন্দরের বিনম্র স্বভাব‚ ডাউন টু আর্থ মানসিকতা দেখে অবাক হয় তার আশপাশের মানুষেরা। আসলে সুন্দর ভুলতে পারেন না তার অতীত ‚ যেখানে গ্রথিত আছে তার শিকড় । গুগলের সিইও ভুলে যাননি ছোটবেলায় তার বাড়িতে টেলিভিশন সেট ছিল না। গাড়ি তো দূর অস্ত । সুন্দরের প্রথমবার বিদেশযাত্রার টিকিটের যা দাম ছিল‚ তার বাবার বার্ষিক আয় ছিল তার থেকেও কম। সেই জমিনের উপর পা রেখেই মাথা তুলেছেন সুন্দর ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত