নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২০:৪০

‘হিমাংশু বিশ্বাসের কণ্ঠে লোকায়ত বাংলা খেলা করে’

কবি তুষার কর বললেন, 'একরাতে কবি শামসুর রাহমান অতিথি হয়েছিলেন হিমাংশু বিশ্বাসের। সে রাতে হিমাংশু দার গান শুনে কবি এতোটাই আপ্লুত হয়েছিলেন যে মন্তব্য খাতায় লিখেছিলেন- 'হিমাংশু বিশ্বাসের কণ্ঠে লোকায়ত বাংলা খেলা করে।'

সাবেক পৌরসভা চেয়রম্যান বাবরুল হোসেন বাবুল বললেন, 'হিমাংশুকে সকলে বড় শিল্পী বলেন। কিন্তু আমার কাছে সে এখনো ছেলেবেলার বন্ধু। কলেজে ঢুকেই যাকে গান গাইতে বলতাম আর আমি ডেস্কে তাল দিতাম।'

রাজনীবিদ বাদল কর বললেন, 'একবার তরুণ বয়সে বন্যার্থদের সাহায্যার্থে আমরা ত্রাণ সংগ্রহে বেড়িয়েছিলাম। সেবার হিমাংশু বিশ্বাসের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে এক ভিখিরিও তার সবটুকু আয় আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।'

আইনজীবী তবারক হোসেন বলেন, হিমাংশু বিশ্বাস ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু অচীরেই রাজনীতি ছাপিয়ে তার শিল্পী পরিচয়টাই মূখ্য হয়ে ওঠে। তিনি সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন।

বন্ধু, শুভার্থী, গুণমুদ্ধ আর শিল্পসঙ্গীদের এমন হৃদয়জ শুভেচ্ছায় সংবর্ধিত হলেন শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস। সিলেটের এই বরণ্যে কন্ঠশিল্পী হিমাংশু বিশ্বাসের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন বিশিষ্টজনেরা।

রোববার সন্ধ্যায় নগরীর রিকাবীবাজারে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিমাংশু বিশ্বাসের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন পর্ষদ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ভাষা সৈনিক শিক্ষাবিদ প্রফেসর এমিরিটাস মো. আব্দুল আজিজ।

উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক অধ্যাপক সুনির্মল কুমার দেব মীনের সভাপতিত্বে এবং সংস্কৃতি কর্মী সামসুল বাসিত শেরো ও রজতকান্তি গুপ্তের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম। স্বাগত বক্তব্য দেন, উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব শামসুল আলম সেলিম।

আলোচনা পর্ব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন সিলেটের বিভিন্ন শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত