সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২৩:৫৩

সিলেটের একটিসহ ২৬ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সতর্কতা

সিলেটের একটিসহ দেশের ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইউজিসি এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ইউজিসির ওয়েবসাইটে এটি দেওয়া হয়েছে, যাতে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

সিলেটের বিশ্ববিদ্যালয়টি হচ্ছে- সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে ইউজিসি বলছে, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের অনুমোদন নেই, এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

উচ্চশিক্ষায় দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি শুধুমাত্র সরকার এবং ইউজিসির অনুমোদিত ক্যাম্পাস ও প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।

ইউজিসি জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০, কমিশনের নিয়ম-নীতি ও নির্দেশনা উপেক্ষা করে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত/অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার সতর্ক ও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা- শিরোনামে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য প্রদর্শিত রয়েছে। নিয়মানুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার সকলেই নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি রয়েছে ৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রো-ভিসি রয়েছে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ট্রেজারার রয়েছে ৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে কোন ব্যক্তি নিয়োজিত নেই।

কমিশনের ওয়েবসাইটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যাবলি শিরোনামের সেবাবক্সে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে সঠিক তথ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং এর ফলে পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হলে অথবা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হওয়ার কারণে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ওপর বর্তাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অভিভাবক/শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী কমিশন অনুমোদিত প্রোগ্রাম অনুমোদন পত্র প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিধায় ভর্তির সময় তা দেখে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য আরও জানানো যাচ্ছে যে, বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া নামে বা স্বনামধন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে অবৈধভাবে ওয়েবসাইট বা অফিস খুলে তথাকথিত পিএইচডিসহ বিভিন্ন ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অদ্যাবধি কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা/ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টারের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন কমিশন কর্তৃক দেওয়া হয়নি। সুতরাং অননুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে বা ডিগ্রি নিয়ে প্রতারিত না হওয়ার জন্যও শিক্ষার্থী/অভিভাবকদের পরামর্শমূলক সতর্ক করা হলো।

উল্লেখ্য যে, কমিশন থেকে এ অবধি কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডি প্রোগ্রাম পরিচালনা করার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

২৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো হলো:

ইবাইস ইউনিভার্সিটি
ইবাইস ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দুই ভাগে বিভক্ত এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা চলছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আচার্য ও রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই। ইউজিসি জানিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি অবৈধভাবে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।

আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি
আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি সরকার বন্ধ করেছিল। তবে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউজিসি বলেছে, অনুমোদনের সময়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ঠিকানা ছিল বনানীতে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর ঠিকানা বারিধারা-নর্দ্দার প্রগতি সরণিতে অনুমোদন দেয়। কিন্তু ইউজিসি সরেজমিন পরিদর্শনে দেখতে পায়, এ ঠিকানায় আইনানুযায়ী জায়গা (স্পেস), শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মতো কোনোরূপ সুযোগ-সুবিধা নেই। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহউপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই।

কুইন্স ইউনিভার্সিটি
এরআগে কুইন্স ইউনিভার্সিটি সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা হয়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালে এক বছরের জন্য সাময়িক শর্ত সাপেক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার চিঠি দেয়। কিন্তু ওই নির্ধারিত সময়ে তারা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।

দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা
দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা ১৯৯৫ সালে অনুমোদন পেয়েছিল। কিন্তু আইন না মানায় ২০০৬ সালে সরকার এটি বন্ধ ঘোষণা করে। এ নিয়ে আদালতে যায় বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরে আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দুই ভাগে বিভক্ত এবং একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান অনুমোদিত ঠিকানা রাজধানীর উত্তরায়। ইউজিসি গত বছর সেখানে সরেজমিনে পরিদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অস্তিত্ব পায়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সনদ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বর্তমান বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। ইউজিসি এখনো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয়নি। এটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহউপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই।

এশিয়ান ইউনিভার্সটি বাংলাদেশ
এশিয়ান ইউনিভার্সটি বাংলাদেশের বিষয়ে ইউজিসি বলেছে বাংলায় বিএ (অনার্স) সহ কয়েকটি প্রোগ্রাম ২০২১ সালের ‘স্প্রিং সেমিস্টার’ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহউপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ পদে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।

টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
২০১৫ সালে ১০টি প্রোগ্রামের অনুমোদনসহ টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ইউজিসির অনুমোদনের আগেই বিবিএসহ কয়েকটি প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। পরে তারা ভূতাপেক্ষ অনুমোদন চায়। কিন্তু ইউজিসি জানায় তার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তারা আদালতে সরকার ও ইউজিসির বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি চলমান আছে। এ ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ফরিদপুর জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির অনুমোদিত ক্যাম্পাসের ঠিকানা হলো চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ এবং শহীদ মির্জা লেনে। আদালতের রায় অনুযায়ী, এই দুটি ক্যাম্পাস ছাড়া অন্যান্য সব ক্যাম্পাস অবৈধ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়
কয়েকটি শিক্ষা প্রোগ্রামের বিষয়ে আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় আছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়। এটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ও সহউপাচার্য নেই।

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য, সহউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যানের অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

অননুমোদিত ক্যাম্পাস
অননুমোদিত কিছু ক্যাম্পাস পরিচালনা করেছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো- ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি।

বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব
বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইবাইস ছাড়াও আছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা
অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ইন ইংলিশ প্রোগ্রাম ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া চালাচ্ছে। পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি এলএলবি (চার বছর মেয়াদি) এলএল এম (এক বছর), এলএল এম (২ বছর মেয়াদি) প্রোগ্রামে ইউজিসির অনুমোদন নেই। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের অনুমোদন নেই। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ (ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্রোগ্রাম অনুমোদিত।

ইউজিসি বলছে এই প্রোগ্রামের মধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিবিএ ইন জেনারেল, বিবিএ ইন ফিন্যান্স, বিবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, বিবিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, বিবিএ ইন মার্কেটিং, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস, বিবিএ ইন অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ ইন ইকোনমিকস, বিবিএ ইন এন্টারপিনিউশিপ এবং বিবিএ সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম চালাচ্ছে।

অনুমোদন থাকলেও ভর্তির অনুমতি নেই যাদের
ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় সরকার অনুমোদন দিলেও এখনো শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এগুলো হলো- রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয় (নারায়ণগঞ্জ), রাজশাহীর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সদ্য অনুমোদন পাওয়া কিশোরগঞ্জের শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

এছাড়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত