শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

২৭ জুলাই, ২০২২ ২১:১৫

বুলবুলের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি

ছুরিকাঘাতে নিহত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। তার মৃত্যুতে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৭ জুলাই) বিকালে বুলবুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে ও ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লক্ষ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা

বিক্ষোভ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম আকাশ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বুলবুলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা মনে করি তা বুলবুলে পরিবারের জন্য যথেষ্ট না। তাই তার পরিবারকে এককালীন ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও প্রতি মাসে ৫০ হজার টাকা করে দিতে হবে।

এর আগে সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহদেম সাংবাদিকদের বলেন, বুলবুলের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বিশ্বকিদ্যালয় প্রশাসন তার পবিরারের সাথে সবসময় থাকবে। এছাড়া বুলবুলের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবো।

এদিকে বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে এসএমপির জালালাবাদ থানায় এসএমপির উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বুলবুলের ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হলেও হত্যাকান্ডে সরাসরি ৩ জনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলেও জানান তিনি। বাকী দুই জণের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা নেই।  কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া অপর দু’জন হলেন- আবুল হোসেন (১৯) ও  মো. হাসান (১৯)। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। এছাড়া বুলবুলের চিন্তাইকৃত মোবাইল ও তাকে খুন করা ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বান্ধবীর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত গাজী কালুর টিলায় ঘুরতে যায় বুলবুল। পরে সেখানে অবস্থানকালীন সময়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে বুলবুল মাটিতে লুটে পড়ে। পরে শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, বুলবুল আহমেদ শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় (২০১৮-১৯ সেশন) বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে ২২৮ নম্বর রুমে থাকতেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি নরসিংদী সদরের চিনিশপুরম থানার নন্দিপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা মো. ওহাব মিয়ার ছেলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত