শাবিপ্রবি প্রতিনিধি 

১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৮:২৮

শাবিপ্রবিতে ৩ তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত শ্রমিক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কাজ করতে গিয়ে ৩ তলা থেকে মাচা ভেঙে পড়ে গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে এক নির্মাণ (রং) শ্রমিক। বর্তমানে তাকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে ৩ তলা থেকে মাচা ভেঙে পড়ে যান নাঈম আহমেদ (১৯) নামের এ শ্রমিক।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে রং লাগানোর কাজ করছিলেন নাঈম আহমেদসহ ৪জন। বিকালে (আনুমানিক সাডে ৩টা) ৩ তলার বাইরের দেয়ালের কার্নিশে রং করতে গিয়ে হঠাৎ বাঁশ ভেঙে পড়ে যায় সে। মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তার নাক-মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাগীব রাবেয়া মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান উপস্থিত শ্রমিকরা।

ঘটনা সম্পর্কে নাঈম আহমেদের মিস্ত্রি ফজলুর রহমান বলেন, আমি যখন কাজ করতে ভবনের ৩ তলায় বালতি নিয়ে উঠি, পরে হঠাৎ করে একটা শব্দ শুনি, নিচে তাকাই দেখি নাঈম পড়ে গেছে। তার রক্তক্ষরণ ও আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে তাকে ধরাধরি করে মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমরা আজ সকাল থেকে এখানে রংয়ের কাজ করতে এসেছি। ঠিকাকারকে বলেছি, আমরা রশি বেয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত, আমরা বাঁশের মাচায় দাঁড়িয়ে কাজ করতে পানি না, বাঁশে আমরা কাজ করব না। ঠিকাদার বলছে, ভাই বাঁশের মাঝেই কাজ করলে ভালো, বাঁশে করেন। পরে আমরা কাজ শুরু করলেও আমাদের কোন ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ( ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমান বলেন, আমরা শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতে গিয়ে একজন রংমিস্ত্রি আহত হয়েছে। আগে তাকে বাঁচানো আমাদের উচিৎ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যা করণীয় বিধি মোতাবেক যথাসময়ে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনো কারও সাথে কার্পণ্য করেনি, করনেও না।

প্রসঙ্গত, মো. নাঈম আহমেদ (২০) সিলেটের জালালাবাদ থানার ইন্নাতাবাদ গ্রামের মোঃ ওয়াতির আলির ছেলে। বর্তমানে তাকে আসিইউতে ভর্তি করা হইছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত