শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৬:৩০

শাবিপ্রবিতে বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন

বার্ষিক প্রতিবেদন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিচ্ছবি বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের-১ এর সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২৩ সেশনের মোড়ক উন্মোচনকালে এ মন্তব্য করেন উপাচার্য। ২০১৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এ পর্যন্ত ৯টি বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।

মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বার্ষিক প্রতিবেদন হচ্ছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত বছরের শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামো, প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ কি কি কাজ হয়েছে, কোন কাজগুলো চলমান রয়েছে সবকিছু উল্লেখ করা থাকে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০১৭ সালের আগে মাত্র ২টি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনগুলোতে ব্যক্তির নাম ছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কোনকিছুই ছিল না!

তবে আমি আসার পর থেকে এখন নিয়মিত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কি কাজ হচ্ছে, শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন চলছে, শিক্ষকরা কি কি গবেষণা করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরণের উন্নয়নমূলক কাজসহ সবকিছু বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। একটি প্রতিবেদন হাতে নিলেই বুঝা যাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বর্তমানে কেমন। তাই প্রতিবেদন কমিটি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।

উপাচার্য বলেন, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্যের পাশাপাশি বিরাজমান সমস্যা ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। ফলে আগামীতে কি কাজ করতে হবে তা জানা যায়। বছর ভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমকে গতিশীল রাখা সম্ভব হবে, তবেই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম, অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে। সবাই এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ, অনুকরণ করে। এখানের শিক্ষা, গবেষণা, অবকাঠামো সবকিছু সমান্তরালে চলছে। এখন বিভিন্ন র‍্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম দুই-তিনের মধ্যে থাকছে। সকলের কাজগুলো ঠিকঠাক মতো করলে আগামীতে আমরা প্রথমে অবস্থান করবো। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানুষ যা প্রত্যাশা করে তার সবকিছুই করতে। আশাকরি সামনে আমরা আরও সফল হব। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে ২০২২-২৩ সেশনের প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা যায়, এবারের প্রতিবেদনটি অন্যান্য বারের তুলনায় আরও তথ্য সমৃদ্ধ করে তৈরি করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, রেজিস্ট্রার দপ্তর, হিসাব দপ্তর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর, বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হলগুলো পরিচিতি, কার্যক্রম, শিক্ষকদের গবেষণা, সভা, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড খেলাধুলাসহ সবকিছু বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

মোড়ক উন্মোচনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরিতে ওয়েবসাইটে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কিত সকল তথ্য আপডেট করার প্রতি পরামর্শ দেন প্রতিবেদন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম।

মোড়ক উন্মোচনকালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন।

অন্যদিকে প্রতিবেদন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল হাকিম, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত হিসাব পরিচালক সোহেল উদ্দিন আহমেদ, সম্পাদনা কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. এ. এম সালাউদ্দিন, সদস্য প্রিন্সিপাল ইন্সট্রুমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ড. খন্দকার মো. মমিনুল হক, উপ রেজিস্টার আ ফ ম মিফতাউল হক, কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত