শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৮:১৯

শাবিপ্রবির পিএইচডি শিক্ষার্থীরা পাবেন ১৮ লক্ষ টাকা গবেষণা অনুদান

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের একজন পিএইচডি গবেষক শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা গবেষণা অনুদান (স্কলারশিপ) দিবে সিলেটের স্বনামধন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়াম ফিস এন্ড এগ্রো  ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এতে একজন শিক্ষার্থীকে ৩ বছরে মোট ১৮ লক্ষ টাকা গবেষণা অনুদান দিবে প্রতিষ্ঠানটি।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর)  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর  সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রিমিয়াম ফিস এন্ড এগ্রো  ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মধ্যে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এমওইউতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন এবং প্রিমিয়াম ফিস এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম চৌধুরী স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন।

এসময় প্রিমিয়াম ফিস এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান কল্লোল আহমেদ, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। আমাদের প্রদান লক্ষ্য বিশুদ্ধ ফুডের উপর। আমরা কাজ করছি আমেরিকায় আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য, তারা যাতে বিশুদ্ধ এবং হাইজেনিক খাবার পায়। অনেক সময় আমাদের দেশ থেকে অন্য দেশে খাঁটি পণ্যটি না গিয়ে কপি করা পণ্যটি সেখানে যাচ্ছে। তাই দেশের শতভাগ খাঁটি পণ্যটি যাতে কেমিক্যালমুক্ত হয়ে বিভিন্ন দেশে তা আমাদের উদ্দেশ্যে। এই লক্ষ্যে নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য ড. কবিন হোসেন বলেন, আজকের দিনটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য একটি আনন্দের দিন। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন পিএইচডি শিক্ষার্থীকে গবেষণা অনুদান হিসেবে প্রতি মাসে ৫০ হাজার ও ৩ বছওে ১৮ লক্ষ টাকা প্রদান করবে। উন্নত বিশ্বে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালগুলোতে এমন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে আজকে ১ জন শিক্ষার্থীকে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রিমিয়াম ফিসিং এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আশাকরি সামনের দিনগুলোতে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্যও উন্মুক্ত হবে। এমন মহতী উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।  

আমাদের দেশেও এমন সহযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন উদ্যোগড়গুলো দেশকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এসময় এপ্লাইড সাইন্সেস অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, হিসাব পরিচালক, এফইটি বিভাগের শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত