ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বুধবার বিকালে এ ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক শফিক উজ জামান।

সমিতির সব কয়টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেলেও ফল মেনে নিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকরা।

নির্বাচন কমিশনার জানান, শিক্ষক সমিতির এক হাজার ৯০২ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৩৬৫ জন ভোট দিয়েছেন।

সভাপতি পদে নীল দলের প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ৮৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অর্থনীতির এই অধ্যাপক বিদায়ী কমিটিরও সভাপতি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা দলের প্রার্থী মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন খান পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন নীল দলের এ এস এম মাকসুদ কামাল।  আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন কামাল পেয়েছেন ৭৬১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা দলের প্রার্থী পরিসংখ্যান, প্রাণপরিসংখ্যান ও তথ্য পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান পেয়েছেন ৫৫২ ভোট।

সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নীল দলের অধ্যাপক হাসিবুর রশিদ। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের এই অধ্যাপক পেয়েছেন ৬৬৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা দলের প্রার্থী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম পেয়েছেন ৬০৬ ভোট।

৮২৯ ভোট পেয়ে যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন নীল দলের অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া পেয়েছেন ৪৪৯ ভোট।

কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। নীল দলের এই শিক্ষক পেয়েছেন ৮৪৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা দলের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৫২ ভোট।

সমিতির সব কয়টি সদস্য পদেও নীল দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

এরা হলেন- সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভুইয়া, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাজিন আজিজ চোধুরী, ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবদুস ছামাদ, ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউর রহামান, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মুবিনা খন্দকার, আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে টানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনা শেষে বিকাল ৪টার দিকে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার শফিক।
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানান অর্থনীতির এই অধ্যাপক।

পরাজিত সভাপতি প্রার্থী সাদা দলের নেতা আখতার হোসেন বলেছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এবার নির্বাচনে তাদের এ ধরনের পরাজয় হয়েছে।

শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম পরিচালনায় নতুন কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতার ঘোষণা দেন তিনি।

পুনর্নির্বাচিত সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, “গত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারায় শিক্ষকরা এবারো আমাদের ভোট দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম চালিয়ে যাব।”

তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম