সিকৃবি সংবাদদাতা

১৬ মার্চ, ২০১৬ ২০:৫৩

শিক্ষক ও কর্মকর্তার দ্বন্দ্বের জেরে সিকৃবিতে ৫৫ শিক্ষকের পদত্যাগ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের জেরে  ৫৫ শিক্ষক ও ১২ কর্মচারী একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রগুলো জমা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহি আলম। তবে পদত্যাগী শিক্ষকরা শিক্ষকতা চালিয়ে যাবেন। তারা কেবল তাদের উপর থাকা অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন।

বুধবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থানে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। এর জের ধরেই বুধবার উপাচার্য বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ শিক্ষক ও ১২ কর্মচারী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আব্দুল বাসেত ও রেজিস্টার বদরুল ইসলাম শোয়েবের মধ্যে বাকবিতণ্ডার জের ধরে রাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষক সমিতি প্রক্টর ও অফিসার্স এসোসিয়েশন রেজিস্টারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ  এবং পদত্যাগ দাবি করেছিলেন।

এ কারণে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত অন্যদিকে, প্রশাসনিক কার্যক্রমেও বিরত থাকেন কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থবিরতা বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, সিকৃবিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। নিজের পছন্দের শিক্ষক নিয়োগ না পাওয়ায় প্রক্টর বাসেত রেজিস্টার শোয়েবকে দোষারোপ করেন।

এ খবর রেজিস্টার জানার পর মঙ্গলবার রাতে প্রক্টরকে পেয়ে বিষয়টি জানতে চান। এসময় উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, এমনকি ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। বিষয়টি অবগত হলে শিক্ষক সমিতি প্রক্টরের পক্ষ নিয়ে রাতেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপর চড়াও হন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সিকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর নূর হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, সিলেটের আঞ্চলিক এবং নন- সিলেটি দ্বন্দ্বে এ ঘটনার সূত্রপাত।

শিক্ষক সমিতির অধিকাংশ নেতা সিলেটের বাইরের হওয়ায় তারা প্রক্টরের পক্ষ নিয়ে রেজিস্টারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। অন্যথায়, তারা ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

অন্যদিকে, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তারাও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত