এম.এ. সিদ্দিকী বাপ্পী

০৫ মে, ২০১৬ ০০:৪০

‘ক্রাফটিং গার্ল’ মেট্রোপলিটনের ফারিহা!

একসময় হস্ত ও কুটিরশিল্প ছিল কম পুঁজিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যম! তবে প্রযুক্তির হাতে দিনদিন মার খেয়ে যাচ্ছে এই শিল্প। বাংলার এই ঐতিহ্য রক্ষায় এখন এগিয়ে আসছে অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণী। ফারিহা মম তেমনই একজন।

সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া মম ভার্সিটিতে পরিচিত ক্রাফটিং গার্ল হিসেবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজাতে গিয়েই এই পরিচিতি হয়েছে তাঁর।

ফারিয়া মম জানান, ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকা, ক্রাফটিং-এর প্রতি দুর্বলতা ছিল। প্রথম প্রথম বন্ধুদের জন্য কার্ড, গিফট বানানো এরমকম করতে করতেই শুরু। এখন কার্ড,  জুয়েলারি,  কলমদানি, ফুলদানি, বিভিন্ন ধরনের ফুলসহ প্রায় ৪০ ধরনের জিনিস বানাতে পারেন তিনি।



এসব জিনিসের মধ্যে কোনটি বানানো কষ্টের জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হস্তশিল্পের প্রতিটি জিনিসেই সময় বেশি লাগে, সাথে তো পরিশ্রম আছেই; আলাদা করে একটা জিনিসের নাম বলা কঠিন। এক কথায় হস্তশিল্পের কাজে প্রচুর সময় ও শ্রম দিতে হয়।’
 
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় সাজানো হয় ক্রাফটিং দিয়ে যার অধিকাংশই ফারিয়ার করা। বর্তমানে ক্রাফটিং-এর অবস্থান জানতে চাইলে মম বলেন, ‘বর্তমানে ক্রাফট এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশ। ইউটিউব থেকে আগ্রহীরা খুব সহজে শিখতে পারছে। ইন্টারনেট থেকে ডিজাইন সংগ্রহ করে অনেকেই ক্রাফট বানাচ্ছে। আবার যারা ক্রাফটিং-এ পারদর্শী তারা অনলাইন এর মাধমে তাদের জিনিস বিক্রি করছেন। ফলে ক্রাফট শিখার ঝোঁক অনেক বেড়েছে।’

ক্রাফটিং নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘ক্রাফটিং একটা শিল্প, এই শিল্পকে ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করতে চাই। এখন পর্যন্ত যা কিছু শিখেছি তা আরও নিখুঁত করব এবং নতুন নতুন আরও জিনিস বানানো শিখব। ক্রাফটিং-এর অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসই সহজলভ্য নয় সেই জিনিসগুলো যোগাড় করা কষ্টের। চেষ্টা করছি সব জিনিস নিজের স্টকে রাখার; স্টকে রাখাটা অনেক ব্যয়বহুল তাছাড়া শিখতেও অনেক সময় লাগে। তাই জিনিস বানিয়ে বিক্রি করার ইচ্ছে আছে। তবে এটা বাণিজ্যিক চিন্তায় নয় শুধুমাত্র আমাদের কাজ যেন বন্ধ না হয় সেইজন্য।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত