রাবি প্রতিনিধি

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০২:৪৭

রাবি অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যু : চাপের মুখে সাময়িক প্রত্যাহার সাবেক স্বামীর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহান জলির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার সাবেক স্বামী ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদ চাপের মুখে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে নিজেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটিতে এমন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক নিশ্চিত করেছেন।

ওই শিক্ষক বলেন, ‘তানভীর আহমদ বিভাগের সভাপতি থাকাকালীন আকতার জাহানকে নানাভাবে গালাগালি ও হয়রানি করেছেন। এসবের জন্য আমারা তাকে অনেক নিবৃত্ত করারও চেষ্টা করেছি।’

‘আজ আমরা বিভাগের ১৭ জন শিক্ষক দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার সভার শুরুতে লিখিত আকারে বিভাগের সভাপতির কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। আমরা সভাপতিকে বলেছি তানভীরের সঙ্গে কোনো সভা কিংবা অ্যাকাডেমিক কোনো কাজ করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে তানভীর আহমেদ নিজেই অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করে নেন।

যদিও চাপের মুখে তানভীর আহমেদকে প্রত্যাহার করার বিষয়টি বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আকতার জাহানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তানভীর আহমদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিভাগের শিক্ষকদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে তানভীর আহমদ বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে নিজেকে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দেন। সভায় বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়।’

এছাড়া আকতার জাহানের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনার’ অভিযোগে মতিহার থানায় যে মামলা করা হয়েছে তা তদারকি করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিভাগের সভাপতিকে আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ, কাজী মামুন হায়দার ও আব্দুল্লাহীল বাকীকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নিয়মিতভাবে মামলার অগ্রগতি বিভাগকে অবহিত করবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, আকতার জাহানের মৃত্যু ও মৃত্যু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে বিভাগ সম্পর্কিত যেসব বিষয় উঠে এসেছে তা তদন্ত করে দেখার জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর একটি চিঠি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া আকতার জাহানের নামে বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিটির নামকরণ, বিভাগের সামনে তাঁর নামে ‘আকতার জাহান কর্নার’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বিভাগে একটি শোকবই খোলারও সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত