রাজশাহী সংবাদদাতা

০৮ অক্টোবর, ২০১৬ ১৯:৫০

৫ হাজার ভর্তিচ্ছুর সাথে রুয়েটের প্রতারণার অভিযোগ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ৫  হাজার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

রুয়েট কর্তৃপক্ষ চলতি ২০১৬-১৭ সেশনের স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে ভর্তিচ্ছুদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় গণিত, রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান ও ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রাক্কলিত স্কোর ১৮ দশমিক ৫। শর্ত মেনে প্রায় ১৩ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী আবেদন করে। কিন্তু ৫ অক্টোবর রুয়েটের ভর্তি কমিটির দেয়া অপর এক নোটিশে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা পুনর্নির্ধারণ করে ২০ পয়েন্ট নির্ধারন করে বিজ্ঞপ্তি প্ররকাশ করা হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে গণিত, রসায়ন, পদার্থ ও ইংরেজিতে যাদেও মোট জিপিএ স্কোর ২০ পয়েন্ট রয়েছে তাদের ভর্তি পরীক্ষার যোগ্য ঘোষণা করা হয়। এতে প্রথম বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করেও  ৫ হাজার ১০৯ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা দিতে পারছে না। এসব ভর্তিচ্ছুর কাছ থেকে ফরমের মূল্য বাবদ ৮০০ টাকা করে আগেই নেয়া হয়েছে। ওই টাকা ফেরতও দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে ভর্তি কমিটি।


প্রশ্ন উঠেছে প্রথমেই কেন ২০ পয়েন্টের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলছেন, প্রথমেই ২০ পয়েন্টের কথা বললে তারা আবেদন করতেন না, এখন তাদের আবেদন ফি ৮০০ টাকাও ফেরত দেয়া হবে না।

সব শর্ত মেনে আবেদন করার পরও ভর্তি পরীক্ষার জন্য কেন আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল জানতে চাইলে আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান অদ্ভুত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন,  "আমরা ধারণা করিনি এত আবেদন জমা পড়বে। এবারে বহু শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে কারণে আমরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা বাড়িয়ে ২০ পয়েন্ট নির্ধারণ করেছি।"

তাহলেই শুরুতে কেন  ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে কেন ১৮ পয়েন্ট ৫ পয়েন্টের শর্ত দেয়া হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এখন আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের এত শিক্ষার্থী পরীক্ষা নেয়ার মত হল নেই।"

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার দিন অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল ব্যবহার করার প্রচলন বাংলাদেশে রয়েছে। এ ব্যাপারে সুদুত্তর দিতে পারেননি অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান।


রুয়েট সূত্রে জানা গেছে, রুয়েটের ১২টি বিভাগে আসন সংখ্যা ৮১৫টি। এই আসনের বিপরীতে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ১৩ হাজার ১২৯টি। প্রতিটি আবেদনের জন্য নেয়া হয়েছে ৮০০ টাকা। এতে মোট আয় হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৩ হাজার ২০০ টাকা। ভর্তি কমিটির স্বেচ্ছাচারিতায় বাদ পড়া ৫ হাজার ১০৯ ভর্তিচ্ছুর কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৪০ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত