রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদে ৫৮ শিক্ষার্থীর শতাধিক শিল্পকর্ম নিয়ে তিন দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
 
শনিবার (১৩ মে) দুপুরে অনুষদ প্রাঙ্গণে চারুকলা অনুষদের ১৯তম ব্যাচের আয়োজনে ‘১৯ কুঁড়ি’ শিরোনামের এই শিল্পকর্মের উদ্বোধন করেন ‘সাদা মনের মানুষ’ খ্যাত পলান সরকার। চারুকলা অনুষদ ভবনের গ্যালারি কক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই প্রদর্শনী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ারের সভাপতিত্বে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণিতবিদ ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার। উদ্বোধনী পর্বের শুরুতে নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় কনসার্ট।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রদর্শনীটি আগামী সোমবার (১৫ মে) পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এ প্রদর্শনী চালু থাকবে। চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা, ছাপচিত্র, ডিজাইন, কারুশিল্প, ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প ও ইনস্টলেসন আর্ট প্রভৃতি শিল্পকর্ম এতে স্থান পেয়েছে। এছাড়াও বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তিনটি ব্যান্ডের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের  আয়োজন করা হয়েছে।

মৃৎশিল্প  ও ভাস্কর্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তফা শরীফ আনোয়ারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গণিতবিদ ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ঋতেন্দ কুমার শর্মা।

অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার বলেন, শিল্পকলার প্রদর্শনী সাধারণভাবে জাতীয় উন্নয়নে পরোক্ষভাবে কাজ করে। মানুষের রুচিকে সমৃদ্ধ করে শিল্পকলা। ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এই প্রদর্শনী তারই একটি অংশ। শিল্পী হিসেবে তারা সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিক-আল-করিম বলেন, ‘সৃষ্টির শুরু থেকে শিল্পচর্চায় শিল্পীরা বিভিন্ন বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে যারা প্রকৃত শিল্পী, কোন বাঁধাই তাদের চর্চাকে দমাতে পারেনি। তারই ধারাবাহিকতায় এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সম্প্রতি শিল্পাঙ্গনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা এবং শিল্পক্ষেত্রে বিভিন্ন হুমকি আমাদের শিল্পমনা মনোভাবকে বিনষ্ট কার কিংবা শিল্পমনের ওপর কোনো বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারেনি।  ১৯ তম ব্যাচের এই প্রদর্শনী তারই প্রতিফলন স্বরুপ।’