রাবি প্রতিনিধি

১২ জুলাই, ২০১৭ ১৭:২০

আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাবিতে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচি

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রতিনিধি আরাফাত রহমানকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে এবং মামলা দায়েরের তিন দিনেও আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় মুখে কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে তারা এ প্রতিবাদ জানান।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১০ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দেশ ট্রাভেলস-এর একটি বাস ভাঙচুর করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান লাবন, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় (বহিষ্কৃত), তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কানন (বহিষ্কৃত) সহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী। ওই ঘটনার ছবি তোলায় সাংবাদিক আরাফাতকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা।

ওইদিন রাতে নগরীর মতিহার থানায় সাংবাদিক আরাফাত বাদী হয়ে মাহমুদুর রহমান কানন, সাইফুল ইসলাম বিজয়, আহমেদ সজীব ও আবিদ আহসান লাবনসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার পর সোমবার রাতেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে মাহমুদুর রহমান কানন ও সাইফুল ইসলাম বিজয়কে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এছাড়াও সোমবার দুপুরে আসামী চার জনসহ ইমতিয়াজ (ইসলামের ইতিহাস, তৃতীয় বর্ষ), নয়ন রায় (ফলিত গণিত, তৃতীয় বর্ষ), সানিউর রহমান সানি’র নাম উল্লেখ করে (ভাষা বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন আরাফাত রহমান। অভিযোগপত্রের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবরও পাঠানো হয়।  

অভিযোগপত্রে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

এদিকে, ওই দিন রাতেই বাসে বেপরোয়া হামলা ও কাচ ভাঙচুর করার অভিযোগ এনে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আরাফাত রহমানের দায়ের করা মামলার আসামিদের নামেই আরেকটি মামলা দায়ের করেন বাসটির সুপার ভাইজার মো. মানিক হোসেন।

মামলার অগ্রগতির বিষয়ে নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘দুটি মামলার অভিযোগ একই। দ্রুত মামলা দুটির তদন্ত শেষে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত