এমসি কলেজ প্রতিনিধি

১০ অক্টোবর, ২০১৭ ১৭:১৯

টিন দিয়ে সংস্কার হচ্ছে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের দরজা-জানালা

দেশের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ভাঙচুর হওয়া দরজা-জানালা টিন, শীট দিয়ে সংস্কার করছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ছাত্রাবাসের ছয়টি ব্লকের মধ্যে ভাঙচুরে অধিক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শহীদ শ্রীকান্ত, ৪ ও ৫নং ব্লক। ৫নং ব্লকের ১৬টি রুমের মধ্যে ভাঙচুর হওয়া ১৪টি রুমের দরজা-জানালা টিন এবং শীট দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। চলছে এর উপর রং করার প্রস্তুতি।

বাকি ব্লক দু'টির শিক্ষার্থীরা পত্রিকা, শক্ত কাগজ দিয়ে ঢেকে রেখেছেন ভাঙা দরজা-জানালা। ব্লক দু'টির ভাঙচুর হওয়া দরজা-জানালার সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন।

ছাত্রাবাস সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রণজিৎ সরকার বলয়ের কলেজ ছাত্রলীগের টিটু ও সঞ্জয় গ্রুপের মধ্যে টিলাগড়ে সংঘর্ষ হয় ১২ জুলাই। পরদিন ১৩ জুলাই ছাত্রলীগের বিবাদমান দু'গ্রুপের মধ্যকার টিটু গ্রুপের কর্মীরা ভাঙচুর করে দেশের ঐতিহ্যবাহী আসাম প্যাটার্নের সেমি-পাকা আদলের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে। ভাঙচুর করা হয় ছাত্রাবাসের তিনটি ব্লকের ৩৯টি কক্ষের দরজা-জানালা।

১৩ জুলাই ছাত্রাবাস ভাঙচুরের ঘটনায় টিটু চৌধুরীসহ ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করেন কলেজ অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ।

ছাত্রাবাস সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রাবাস পোড়ানোর মতো ভাঙচুর মামলার আসামিদের অধিকাংশই ছাত্রাবাসের 'অবৈধ' ও বহিরাগত শিক্ষার্থী।

ছাত্রাবাস ভাঙচুরের পর জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলে ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সংস্কার না করেই ২৯ জুলাই ভাঙাচোরা ছাত্রাবাস চালু করে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ২০১২ সালের ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষেও পুড়িয়ে দেয়া হয় এ ছাত্রাবাস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত