নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ১৭:০৫

নর্থ ইস্ট ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘ভালোবাসার বিতর্ক’

প্রেমিক যুগলদের ঘুরে বেড়ানো, উপহার দেয়া-নেয়া, আড্ডা, রেস্টুরেন্টে খাওয়া- সাধারণত এসব বিষয়গুলো হয়ে থাকে ভালোবাসা দিবসে। তবে সিলেটে এবারের ভালবাসা দিবস উদযাপনে এসেছে ভিন্ন মাত্রা।

প্রকৃতির পালাবদলে গতকাল এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। ভালোবাসার আমেজে ফাগুনের রঙে মন রাঙিয়ে সিলেটে ২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছিল ভালোবাসা দিবস রম্য বিতর্ক।

গুরুগম্ভীর আর কাঠখোট্টা বিতর্ক নয়। ভালোবাসা দিবসে সবাইকে বিতর্কের রসে মাতিয়ে রাখতে বিতর্কের বিষয়েও ছিল ভালোবাসা আর হাস্যরসের ছোঁয়া।

‘এই সংসদ, বিয়ে বহির্ভুত কোন সম্পর্ককে টোনাটুনি হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না'- এ বিষয়টির উপর রম্য বিতর্কের আয়োজন করেছিল সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ইউনিভার্সিটির সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে এই রম্য বির্তকের ছায়া সংসদকে ‘ভালোবাসার সংসদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সংসদে সরকার দলের প্রতিনিধিত্ব করে সার্বজনীন সিঙ্গেল সমাজ ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব করে সর্বদলীয় প্রেমিক সমাজ। আর উপস্থিত দর্শকরা সংসদ সদস্যের ভূমিকা পালন করেন।



বির্তকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী ‘এই সংসদ, বিয়ে বহির্ভুত কোন সম্পর্ককে টোনাটুনি হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না’- এই প্রস্তাবটি ভালোবাসার সংসদে উত্থাপন করেন। পর্যায়ক্রমে দুই দলের বিতর্কে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে হলরুম।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাবের হয়ে সরকারি দলের পক্ষে বিতার্কিক ছিলেন, হৃদয় (প্রধানমন্ত্রী), মিতি (মন্ত্রী) ও মারজান (সংসদ সদস্য)। বিরোধী দলের পক্ষে ছিলেন রিফাত (বিরোধী দলীয় নেতা), ফাতেহা (বিরোধী দলীয় উপনেতা) ও শুভ (বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য)। স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ছাত্র তানভীর রেজা খান।

অপরদিকে, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটিও আয়োজন করে ‘ভালোবাসা দিবস রম্য বিতর্ক’। ‘এই সংসদ মনে করে, জীবনে প্রেম একবারই আসে।’- এ বিষয়ের ওপর বিতর্কে সরকারি দলের প্রতিনিধিত্ব করে জাতীয় প্রেম্যবাদী ঐক্য পরিষদ ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব করে সার্বজনীন প্রেমিক দল।

বুধবার বিকাল ৩টায় ইউনিভার্সিটির গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় এই ছায়া সংসদ বিতর্ক।



রম্য বিতর্ক হলেও ছায়া সংসদে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাবের আয়োজনে ছিল একটু ভিন্নতার ছোঁয়া। তাদের সংসদে দর্শকদেরও পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দেয়া হয়। যে দর্শকরা সরকারি দলের প্রস্তাবের সাথে একমত পোষন করেন, তারা সংসদের ডানপাশের দর্শকসারিতে এবং যে দর্শকরা বিরোধী দলের পক্ষে (সরকারি দলের প্রস্তাবে সমর্থন না করা) ছিলেন তারা সংসদের বামপাশের দর্শকসারিতে বসেন। এছাড়াও বিষয়ের উপর নিতান্তই দ্বিধাগ্রস্থ আমজনতার জন্য মাঝের সারিতে বসার ব্যবস্থা করা হয়। দর্শকদের এই শ্রেনীবিন্যাস বক্তাদের সাথে দর্শকদের প্রানবন্ত যোগসূত্র তৈরি করে। দুই দলের তর্ক-বির্তক আর দর্শকদের অংশগ্রহনে আরো মজাদার হয়ে ওঠে হলরুম।

নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বির্তাকিকরা হলেন, সরকারী দল: সুমন আহমেদ (প্রধানমন্ত্রী), সুমাইয়া সুলতানা মৌরি (মন্ত্রী) ও ফরহাদ হাসান (সংসদ সদস্য)। বিরোধী দলে ছিলেন মুসা আহমেদ (বিরোধী দলীয় নেতা), হাসান জোয়ার্দার (বিরোধী দলীয় উপনেতা) ও তাহমিনা শিকদার ইমা (বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য)। স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের লেকচারার শামিম আল আজিজ লেলিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত