শাবি প্রতিনিধি

২৫ আগস্ট, ২০১৫ ১৮:৫২

শাবির বাজেট প্রত্যাখ্যান প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ঘোষিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা। বাজেটে গতবারের তুলনায় শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বাবদ বরাদ্ধ বাড়লেও গবেষনা খাতে মাত্র ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের বাজেটে গাবেষণা খাতে কম বরাদ্দ দেওয়াকে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও বেসরকারীকরণ প্রয়াস হিসেবে দেখছেন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে এ কথা জানান সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন এবং জাতীয় ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শাবি শাখার আহ্বায়ক অনীক ধর ও সাধারণ সম্পাদক অপু দাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা অত্যন্ত হতাশাজনক। মোট বাজেটের মাত্র ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে যা বাজেটের মাত্র ০.১৭%। উপরন্তু গবেষণার জন্য বিভিন্ন স্থান হতে অনুদানকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণার মতো ক্ষেত্রে নিজস্ব বরাদ্দ ব্যতিরেকে বাইরের অনুদান নির্ভরতা স্পষ্টতই পিপিপি-হেপেপ তথা উচ্চ শিক্ষার বেসরকারিকরণের ধারাবাহিকতা। নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবি জানান।

জাতীয় ছাত্রদলের সভাপতি সৈকত শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন এক বিবৃতিতে জানান, শাবি দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও বরাবরের ন্যায় এবারও গবেষণা খাতে অল্প বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ফলে গবেষনার জন্য বিশ্বব্যংক, পিপিপি,হেকেপ এর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।যার ফলে মানসম্পন্ন গবেষনা হচ্ছে না। গবেষনা খাতকে উপেক্ষা করে শাবি প্রশাসন যে বাজেট ঘোষনা করেছে তা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট হতে পারে না। তাই অনতিবিলম্বে বাজেট সংশোধন করে গবেষনা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্ধ দেওয়ার দাবী জানান তারা।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, আমরা এই লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টিকারী বাজেট এর তীব্র বিরোধীতা করি। ভবিষ্যৎে এই ধরনের বাজেট দেওয়া হলে ছাত্র ইউনিয়ন শাবি শাখা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার শাবির ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য ৫৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়। বাজেটে গবেষণা খাতে মাত্র ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত