নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ আগস্ট, ২০১৫ ১২:৪৭

সিকৃবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট

আবারও কর্মবিরতি, অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষকরা।

রবিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাঁরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ও প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো পুনঃনির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতর।

ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদ ভবনের সামনে ‘মুক্তমঞ্চ’ বানিয়ে তাঁরা বিভিন্ন দাবি পেশ করেন।

তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে-স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের জন্য অবিলম্বে বেতন কমিশন গঠন, আলাদা কাঠামো হওয়ার আগ পর্যন্ত অষ্টম বেতন কাঠামোতে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষকদের বেতন ও পদমর্যাদার ‘বৈষম্য’ দূর করা এবং রাষ্ট্রীয় ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’-এ শিক্ষকদের পদমর্যাদাগত অবস্থান ও সুবিধা নিশ্চিত করা।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর হোসেন মিয়া বলেন- যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন সরকারি কর্মকর্তা গাড়ি কেনার জন্য সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। ঋণ পরিশোধ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হিসেবে পান মাসিক ৪৫ হাজার টাকা। কিন্তু চলমান বেতন কাঠামোতে একজন সহযোগী অধ্যাপকের বেতন সরকারি কর্মকর্তার এই গাড়ি সুবিধার প্রাপ্ত অর্থের বেশি নয়।

তাঁরা বলেন, জনগণের করের টাকায় সরকারি কর্মকর্তারা যদি এ সুবিধা পেতে পারেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা কেন পাবেন না?

এসময় তারা সার্কভূক্ত অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বৈষম্যের কথাও তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, সপ্তম বেতন স্কেলে সচিব, সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক ও মেজর জেনারেল এক নম্বর গ্রেডে থাকলেও প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও অধ্যাপকদের বেতন আগের তুলনায় তিন ধাপ নেমে গেছে।

সমাবেশে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর হোসেন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু, অধ্যাপক ড. মো: আবুল কাশেম, অধ্যাপক ড. পীযুষ কান্তি সরকার, অধ্যাপক ড. মো. শাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত, অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত