শাবি প্রতিনিধি

৩১ জানুয়ারি, ২০২০ ২২:৪২

‘টুরিস্ট ক্লাব সাস্ট’র রজতজয়ন্তী উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভ্রমণ-বিষয়ক সংগঠন ‘টুরিস্ট ক্লাব সাস্ট’ ২৫ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়েছে।

দিনব্যাপী নানান আয়োজনের মধ্যে ছিল সকালে আনন্দ র‌্যালি, কেক কাটা, স্মৃতিচারণ, ফানুস উড্ডয়ন ও সন্ধ্যায় সংগীতানুষ্ঠান।

উৎসবে অংশ নিতে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে সংগঠনটির সাবেক-বর্তমানরা এসে মিলিত হন। কেউ কেউ এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। আনন্দ আড্ডা আর স্মৃতি রোমন্থনের মাধ্যমে হারানো দিনগুলোতে ফিরে যান অনেকেই।

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ জেবুন্নেসা হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

নজিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ এবং আগামী প্রজন্মের বাংলাদেশ গড় তোলার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে তাল মিলিয়ে ‘টুরিস্ট ক্লাব সাস্ট’ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

‘টুরিস্ট ক্লাব’র ‘হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন’র প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই। এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর চেয়ার স্থাপন করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, টুরিস্ট ক্লাব সাস্ট শিক্ষার্থীদের সামাজিকতা শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করার পাশাপাশি দেশে ট্যুরিজম সম্প্রসারণে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করছে।

অনুষ্ঠানে ‘হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন’ এর উদ্বোধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া ‘অভিযাত্রিক’ নামক ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এরআগে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে দুপুরে র‌্যালি ও কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয়।

টুরিস্ট ক্লাবের সাস্ট’ ১৯৯৫ সালে ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে শাবিপ্রবিতে প্রথম ‘টুরিস্ট ক্লাব’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সাস্টিয়ানদের শিক্ষার পাশাপাশি ভ্রমণের চাহিদা মেটাতে শিক্ষা, শান্তি, ঐক্য, প্রগতি ও ভ্রমণ বিষয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। এর পাশাপাশি এটি সমাজসেবা, বৃক্ষরোপণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও বিভিন্ন সময়ে মেধা বৃত্তি প্রদান ও চ্যারিটি মূলক কার্যক্রম নিয়েও কাজ করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত