বিনোদন ডেস্ক

২৭ নভেম্বর, ২০১৫ ১১:০৪

এবার আমির খানের পাশে পরিচালক ফারহা খান

ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বিতর্কে এবার আমির খানের পাশে দাঁড়ালেন পরিচালক ফারহা খান। তাঁর মন্তব্য, দেশে বাড়তে থাকা অসহিষ্ণুতা নিয়ে নিজের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন মাত্র আমির খান। তাঁর অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাক স্বাধীনতা প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। সেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হলে, তাঁকে সবাইমিলে আক্রমণ করলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই রাষ্ট্রে সহিষ্ণুতার কোনও অস্তিত্ব আছে কিনা তাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে কোনও ব্যক্তি যদি পুরস্কার ফেরান সেটাও তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মন্তব্য পরিচালকের। এপ্রসঙ্গে তিনি গাঁধীজীর কথা টেনে এনে বলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় অহিংসার পথেও যে প্রতিবাদ করা যায় তা তিনিই দেখিয়েছিলেন।

পরিচালকের কাছে জানতে চাওয়া হয় অসহিষ্ণুতা প্রসঙ্গে কি বলিউড দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। ফারহা জানান, বলিউড কেন, সারা দেশই এবিষয় দুভাগে বিভক্ত। তিনি মনে করেন কোনও একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক হলে, স্বাভাবিক ভাবেই পক্ষে ও বিপক্ষে দুধরণের মত থাকবে। দুধরণের মতকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিলে, তাহলেই বাস্তবে সহিষ্ণুতার প্রমাণ দেওয়া যায়, মত ফারহার।

বলিউডে কমেডিয়ান বলে খ্যাত জনি লিভারও এই বিতর্কে মিস্টার পারফেকশনিস্টের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর মত আমির ও তাঁর স্ত্রী কিরণ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মনের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন মাত্র। আমির নিজেই যেখানে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করেননি, সেখানে আমি তাঁর মন্তব্যের ওপর কী মতপ্রকাশ করব, বক্তব্য জনির?

তবে অসহিষ্ণুতা নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন বলিউডের আর এক অভিনেতা বিবেক ওবেরয়। তিনি মনে করেন, সহিষ্ণুতার প্রতীক হল ভারতবর্ষ। হাজার বছর ধরে ভারত সারা বিশ্বকে শিখিয়েছে সহিষ্ণু হতে। সেখানে ভারতে অসহিষ্ণুতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দেশকেই অপমান করা হয়। তিনি ভারতীয় হিসেবে গর্বিতবোধ করেন। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া কথা কোনও পরিস্থিতিতেই কখনওই ভাবেন না বলে জানিয়েছেন বিবেক। তিনি এখানেই জন্মেছেন, এখানেই মারা যাবেন, দাবি বিবেকের।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত