বিনোদন ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ২৩:৫২

‘বাধ্যগত নয়’, তাই দ্বিতীয় স্ত্রীকেও তালাক দিলেন আরেফিন রুমি

ঘটা করে বিয়ে করার পর দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসাকেও ডিভোর্স দিয়েছেন শিল্পী আরেফিন রুমি।

গত ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসাকেও ডিভোর্স দেন আরেফিন রুমি। গত মঙ্গলবার রুমির আইনজীবী আবদুর রহিম কামরুন নেসার বাবাকে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর বিষয়টি অবগত করেন। প্রথম স্ত্রীকে রেখেই কামরুননেসাকে বিয়ে করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন রুমি।

ডিভোর্সের খবরটি মিডিয়ায় চাউর হতেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সমালোচনা করেন।

এর জবাবেই ফেসবুক পেজে আত্মপক্ষ সমর্থন করে একটি ভিডিওবার্তা দিয়েছেন রুমি। তিনি বলেছেন, ‘তালাক দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল, সে (কামরুন্নেসা) আম্মুকে গালাগালি করত। সে আমার বাধ্যগত ছিল না। জানি, সবার বাসায় অনেক কিছুই হয়। আমার কিছু বলার ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা, নিজে বাঁচলে তবেই তো নিঃশ্বাস নেব। আসুন কথা বলি আমরা ক্যারিয়ার নিয়ে। কারণ এর জন্যই সবকিছু।’

কামরুন নেসা কাজেও বাধা দিতেন উল্লেখ করে বলেন, ‘কাজ যদি না করতাম, সবাই বলত- বেকার। কাজ করছি। কাজেও সে  বাধা হয়। তালাকের এটাও একটা কারণ। একজন গায়ক যদি লাইট হয়। আর সে লাইটকেই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তো হলো না। সে স্টুডিওতে পর্যন্ত কাজ করতে দিত না। এটাই আসলে বড় কারণ। আমি আমার বেবি ও কামরুন্নেসা দুজনকেই মিস করি। অনেক। কিন্তু সে আমার কথা বুঝল না। আর কী করা! পৃথিবাটা অনেক বড়। আর একটা কথা আমি টাকা উপার্জন করে আনি অথচ আমার বাধ্যগত যদি না থাকে তাহলে আমি তাদের জন্য কেন করব? সত্যিই কিছু করার ছিল না।’

তালাকপ্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী অনন্যার ঘরের ছেলে আরিয়ানকে কাছে আনতে দিত না বলেও রুমির অভিযোগ।
 
তবে এ ব্যাপারে রুমির মা নাসিমা আক্তার বলেন, কামরুন নেসার আরেক স্বামী আছে যিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি নিয়মিত সেই স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটিয়ে আসতেন। কিন্তু বিয়ের আগে রুমিরা জানতেন কামরুন নেসা তালাকপ্রাপ্তা।

নাসিমা আক্তার বলছেন, ‘রুমি জানতো কামরুন নেসা তালাক প্রাপ্তা। কিন্তু বছরখানেক আগে জানা গেল কামরুন নেসার আরেক স্বামী আছে। তার নাম সোহাগ আলী। থাকে নিউইয়র্কে। রুমির চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিনই তার সঙ্গে কথা বলতো কামরুনন্নেসা। একদিন তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে রুমি। রুমির কথা হলো, একজন নারীর একসঙ্গে দুইটা স্বামী থাকতে পারে না। কিন্তু কামরুন্নেসা বিষয়টা মাথায় নেয়নি। ছয়মাস রুমির কাছে থাকে আর বাকি ছয়মাস আমেরিকায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে কাটায়। এসব বলতে গেলে কামরুন্নেসা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত