বৃষ্টি আমাদের কে সিক্ত করে ভেতরে-বাইরে। আমাদের মনকে উচাটন করে। প্রগাঢ় অনুভবে স্থিত করে অন্তরের গহীনতম প্রদেশে। কখনো বা বিষণ্ণ করে স্মৃতিমেদুরতায় না পাওয়ার বেদনায়। রোমান্টিক কবির লেখনীতে এসব ভাবনা-অনুভাবনা মানবিক হয়ে ধরা পড়েছে যুগে যুগে। বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডার থেকে সেসব লেখারই সামান্য সঞ্চয় গ্রথিত হয়েছে মেঘ বলেছে বৃষ্টি হবে আবৃত্তি অ্যালবামে।

এখানে কবিতার মূল অনুষঙ্গ হিসেবে এসেছে বৃষ্টি। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে হাল আমলের বিভিন্ন কবির কবিতা,পত্র সাহিত্য,গানের বানী নির্বাচিত হয়েছে বিষয়বস্তু হিসেবে। ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে কান্ট্রিমিউজিকের পরিবেশনায় দেশব্যাপী রঙ বাংলাদেশ ও দেশীদশে পাওয়া যাচ্ছে তরুণ আবৃত্তি শিল্পী এবং  সংগঠক সুকান্ত গুপ্ত’র মেঘ বলেছে বৃষ্টি হবে আ্যালবামটি। অ্যালবামটিতে স্থান পেয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,কাজী নজরুল ইসলাম,প্রেমেন্দ্র মিত্র,অরবিন্দ গুহ,রামচন্দ্র পাল,খালেদা এদিব চৌধুরী,অমিয় চক্রবর্তী,মোফাজ্জল করিম,জয় গোস্বামী,মহাদেব সাহা,তাপস মজুমদার,দীপঙ্কর চন্দ,অসীম আচার্য,জান্নাতুন নাইম প্রীতি সহ সমসাময়িক কবির কবিতা।

সুকান্ত গুপ্ত,খুব ছোটবেলা থেকে আবৃত্তির শুরু। কাজ করেছেন নিয়মিত বিভিন্ন মঞ্চ পরিবেশনায়। জন্ম ১৯৮৪ সালে সিলেটে। বাবা সন্তোষ কুমার গুপ্ত পেশায় আইনজীবী  ছিলেন ,মা মৃদুলা গুপ্ত চাকুরী করেছেন সোনালী ব্যাংকে এখন অবসরপ্রাপ্ত। প্রকৃতির আবহে বেড়ে ওঠা সুকান্তের শৈশব কৈশোর কেটেছে সিলেট শহরে। নিয়মিত কাজ করছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে শুদ্ধ সাহিত্য সংস্কৃতির বিকাশ লক্ষে। বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্র সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আবৃত্তি,সংবাদপাঠ ও উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করছেন। সুকান্ত বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সদস্য সংগঠন শ্র“তি সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। শুদ্ধ ধারায় সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন সুকান্ত। অতি সম্প্রতি সুকান্ত তার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন “জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০১৫” সুকান্তের দ্বিতীয় অ্যালবাম এটি।

অ্যালবামে বেশ কিছু দ্বৈত আবৃত্তিতে সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন আবৃত্তি শিল্পী ফারজানা লুবনা। ভবিষ্যতে মঞ্চ,অ্যালবাম,বেতার, ইলেকট্রনিক মাধ্যম সহ প্রতিটি মাধ্যমে কাজ করে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ সুকান্ত। আবৃত্তিকে গণমানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে কাজ করছেন ।