সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক

০৬ জুলাই, ২০১৬ ১২:৫৩

দামি হয়ে উঠছে ফিচার ফোন

ফিচার ফোনে ব্যবহূত যন্ত্রাংশের উপাদান ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চীনের অনেক প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য উত্পাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এ হ্যান্ডসেট উত্পাদনের মূল উপাদানের সরবরাহ কমেছে। এ অবস্থায় ফিচার ফোনের দাম অদূরভবিষ্যতে ৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন শিল্প বিশ্লেষকরা। খবর পিটিআই।

ভারতের হ্যান্ডসেট শিল্প সংস্থা ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যাসোসিয়েশনের (আইসিএ) তথ্য অনুযায়ী, ডিসপ্লে ও ব্যাটারির মতো মূল উপাদানের ব্যয় বৃদ্ধির সাপেক্ষে ফিচার ফোনের দাম ৩ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইসিএ ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ মোহিন্দ্রু বলেন, ফিচার ফোনের দুটো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ডিসপ্লে ও ব্যাটারি। খরচ বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্য উত্পাদন বন্ধ করে দিয়েছে অনেক চীনা কোম্পানি। ফলে এগুলোর সরবরাহ কমছে।

শিল্প বিশ্লেষকদের সূত্রে জানা গেছে, ভারতে স্মার্টফোন সরবরাহ বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রায় ৬০ শতাংশ সাবস্ক্রাইবার ফিচার ফোনের ওপর নির্ভরশীল। চলতি বছরের এপ্রিলে ভারতে ৮২ দশমিক ৬ কোটি মোবাইল সাবস্ক্রাইবার ছিল বলে জানিয়েছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)। ফিচার ফোনের দাম ৫০০ রুপি থেকে শুরু হয়। ৪ হাজার রুপির মধ্যেই মেলে উন্নত মানের ডিভাইস। এমটেক মোবাইলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিবেক আগারওয়াল বলেন, চীনের কিছু গ্লাস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে এলসিডি স্ক্রিনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

তিনি আরো বলেন, উপকরণের অপ্রাপ্যতা বাজারকে প্রভাবিত করছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য হ্যান্ডসেট উত্পাদকদের প্রয়োজনীয় উপাদানের জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। ভারতে হ্যান্ডসেট উত্পাদন বাড়ায় চীনের অর্থনীতিও প্রভাবিত হচ্ছে। চীনের অনেক কোম্পানির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ফিচার ফোন উত্পাদনে খরচ বাড়বে। এতে প্রভাব পড়বে ডিভাইসের দামে। আগারওয়ালের ভাষায়, মুনাফা সঠিক মানদণ্ডে ধরে রাখার জন্য কোম্পানিগুলোকে ফিচার ফোনের দাম ৫ শতাংশ বাড়াতেই হবে।

এমটেকের মোবাইল উত্পাদন ইউনিট রয়েছে হিমাচল প্রদেশের বাদ্দিতে। প্রতি মাসে এখানে উত্পাদন হয় তিন লাখ হ্যান্ডসেট। মোহিন্দ্রু বলেন, ফিচার ফোনের বাজার বেশ বড়। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এটি। সরবরাহ সংকটে এ বাজারের মার্জিন শূন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে। ডিসপ্লে ও ব্যাটারিই হবে দর বৃদ্ধির বিশেষ কারণ। অস্তিত্ব রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফিচার ফোনের দাম অবশ্যই ৩ থেকে ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। আইসিএর তথ্য অনুযায়ী, এলসিডির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৮ শতাংশ। পাশাপাশি ব্যাটারি ও মেমোরি কার্ডের ২ থেকে ৩ শতাংশ দাম বেড়েছে। এলসিডির সরবরাহ ঘাটতিই ফিচার ফোনের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে ফিচার ফোন নির্মাতা আইটেল মোবাইল। আইটেল মোবাইলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুধীর কুমার এ বিষয়ে বলেন, এলসিডি গ্লাসের সরবরাহ ঘাটতি বড় হয়ে উঠছে। তাই দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ রুপি পর্যন্ত। এ কারণে আইটেল গুটিকয়েক ফিচার ফোনের মডেলের দাম বাড়িয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত