দিন দিন অনলাইনের পরিসর বৃহৎ এবং বিস্তৃত হচ্ছে। নানা প্রয়োজনে প্রতিদিনই অনলাইনে অসংখ্য মানুষ প্রবেশ করছেন। এদের বেশীর ভাগেরই উদ্দেশ্য সৎ থাকলেও কিছু মানুষের উদ্দেশ্য সৎ নয়। এতে করে বিড়ম্বনারও শিকার হতে হয় অনেককে। এসব এড়িয়ে চলতে চাইলে নিজেকে অনলাইনে সুরক্ষিত রাখতে কৌশলী হতে হবে আপনাকেই।

পাসওয়ার্ড ব্যবহার

সব অ্যাকাউন্টে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। একাধিক অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে একটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড হ্যাক হলে বাকি সবগুলো অ্যাকাউন্টও হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন।

সফটওয়্যার ব্যবহার

আপনার অ্যাকাউন্টগুলোকে সার্বক্ষণিক-ভাবে নিরাপত্তা দেবে সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করার পর কোনো অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার সময় আপনি এর পাসওয়ার্ড বদল করবেন কিনা জিজ্ঞেস করবে। তার মানে এই নয় যে আপনাকে তাই করতেই হবে। বরং এতে আপনার মাথায় পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি গেঁথে যাবে। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সফটওয়্যার ইনস্টল করার পর এলোমেলো এবং জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। নিজে নিজে কোনো পাসওয়ার্ড আবিষ্কার না করে বরং এটা করলেই আপনি বেশি উপকৃত হবেন।

দুই স্তরের পাসওয়ার্ড ভেরিফিকেশন পদ্ধতি আছে ফেসবুক, গুগল, টুইটার, টাম্বলার এবং আরো বেশ কিছু সাইটে। এই পদ্ধতিতে কোনো অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হলে ফোনে প্রেরিত কোড প্রবেশ করাতে হয়। এমনকি আপনার পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে গেলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না। কারণ আপনার ফোনটাতো আপনার কাছেই থাকবে।

বেশিরভাগ সফটওয়্যারে স্বয়ংক্রিয় আপডেট ফাংশন আছে। সেটিকে ব্যবহার করুন। কেননা সফটওয়্যারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই বেশিরভাগ কম্পিউটার হ্যাক হওয়ার ঘটনা ঘটে। ফোন লক করে রাখুন। এ অবস্থায় চুরি হলে কেউ তা খুলতে পারবে না। কম্পিউটারের সবকিছু একটি বহনযোগ্য ও আলাদা হার্ডড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখুন। আর আপনার ফোনের সবকিছুও কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকা উচিত।