সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ মে, ২০২০ ১৪:৩৯

ওবামাকে জেলে পাঠানোর হুমকি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ছয় মাস বাকি। করোনাভাইরাসের কারণে নির্বাচনী প্রচার কিছুটা মন্থর হলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের মধ্যে বাগযুদ্ধ থেমে নেই। এখানে বাইডেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নামায় বারাক ওবামাও ট্রাম্পের আক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছেন না। 

বিজ্ঞাপন

বাক্যবাণ অবশ্য বেশির ভাগ আসছে ট্রাম্পের কাছ থেকে। গত সপ্তাহে তিনি বাইডেনের বিরুদ্ধে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক অপরাধ করার অভিযোগ করে তদন্তের দাবি তুলেছেন।

ট্রাম্প এমন দাবিও তুলেছেন যে, বাইডেনকে জেলে যেতে হবে। তবে তিনি ঠিক কী অপরাধ করেছেন, তা স্পষ্ট করে বলেননি ট্রাম্প।

জবাবে বাইডেন অবশ্য ট্রাম্পকে গুরুত্ব দেননি। তিনি দুর্যোগকালে জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন।

এদিকে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাইডেনের পক্ষে অলক্ষ্য নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়ায় দুই শিবিরের মধ্যে কথার যুদ্ধ আরও তেঁতে উঠেছে। তিনি পরপর দুটি ভাষণে করোনা প্রশ্নে বর্তমান প্রশাসনের অযোগ্যতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে ওবামা বলেছেন, বর্তমান সরকার যা করছে, তা কেবল দায়িত্বহীনতা নয়, রীতিমতো এক মহা বিপর্যয়।

জবাবে ট্রাম্প তার পূর্বসূরিকে আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ ও অযোগ্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাকেও জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

পরপর ১১টি টুইটে এক অজ্ঞাত 'ওবামাগেট' ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু ঠিক কোন অপরাধের কথা বলেছেন তিনি, তা খোলাসা করে বলেননি। তিনি বিচার বিভাগের কাছে দাবি তুলেছেন, ওবামা ও বাইডেন উভয়ের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে।

ট্রাম্পের এমন দাবির জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার সাফ বলে দিয়েছেন, ও পথে তিনি হাঁটছেন না। ট্রাম্পের নিকট মিত্র হিসেবে পরিচিত হলেও উইলিয়াম বার বলেছেন, তিনি বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিরুদ্ধে।

বারের এই কথা শোনার পর ট্রাম্প বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, 'এই সিদ্ধান্ত আমার হাতে থাকলে ওবামার বিরুদ্ধে অবশ্যই তদন্ত করতাম।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত