২১ অক্টোবর, ২০১৫ ০২:০৩
রাস্তায় নামাজ পড়া মুসলিমদের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালের নাৎসী দখলদারিত্বের তুলনা করায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন ফ্রান্সের কট্টর-ডান পার্টির নেতা মারিন লু পে।
মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে এমন কটাক্ষ করে বৈষম্য উস্কে দেয়ার অভিযোগে এখন তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে তার পার্টির কর্মকর্তারাসহ কৌসুলির কার্যালয়ও।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে ডিসেম্বরের আঞ্চলিক নির্বাচনে লু পে ই জয় পেতে চলেছেন। ২০১১ সালে দলের নেতৃত্বে আসার পর থেকে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ন্যাশনাল ফ্রন্টের আবেদনও বাড়িয়েছেন তিনি।
২০১০ সালের একটি বৈঠকে লু পে মুসলমানদের সমালোচনা করেন। বিশেষত, মসজিদে জায়গা না হলে মুসলিমদের রাস্তায় নামাজ আদায়ের সমালোচনা করেন তিনি।
ওই বছরই লিও শহরের এক সমাবেশে তিনি বলেন, “আমি দুঃখিত, কিন্তু যারা সত্যিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে চায়, আর তা যদি হয় দখলদারিত্ব নিয়ে, তাহলে আমরা রাস্তায় নামাজ পড়ুয়াদের বিষয়টি উল্লেখ করতে পারি। কারণ, এটিও স্পষ্টতই জায়গা দখল করে রাখার মতোই ব্যাপার।”
লু পে আরো বলেন, “এটি প্রতিবেশীদের এলাকার একটি অংশ দখল করে নেয়া। যেখানে ধর্মীয় আইন প্রযোজ্য। একে দখলদারিত্ব বলা যায়। এখানে কোনো ট্যাংক বা সেনা না থাকলেও কোনো না কোনোভাবে এটি এক ধরনের দখলদারিত্ব। বিষয়টি ভেবে দেখার মতো।”
এমন মন্তব্যের জেরে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন লু পে।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হওয়াটা একটা কেলেঙ্কারি। কারণ, এতে করে অবৈধ আচরণকারী মৌলবাদীদের চেয়ে মৌলবাদীদের অবৈধ আচরণের নিন্দা জানানোদেরই মামলার মুখে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে বেশি।
আপনার মন্তব্য