জুড়ী প্রতিনিধি

০৫ আগস্ট, ২০২৩ ২০:২৫

অর্ধযুগ বন্ধ থাকার পর আবার চালু হচ্ছে জুড়ী পাবলিক লাইব্রেরি

প্রায় ৬ বছর বন্ধ থাকার পর মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অবস্থিত “জুড়ী পাবলিক লাইব্রেরী” (গণ পাঠাগার)-এর কার্যক্রম আবার চালু হচ্ছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার রাত ৮ঘটিকায় জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কুলেশ চন্দ্র চন্দ মন্টুর সভাপতিত্বে ও মঞ্জুরে আলম লাল-এর উপস্থাপনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সিরাজুল ইসলাম, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সহিদ চৌধুরী খুশী, মাহবুবুল ইসলাম কাজল, মামুনুর রশীদ সাজু, আব্দুল জলিল মাস্টার, জি এম বদরুল ইসলাম মাস্টার, আবুল হোসেন, আব্দুল আহাদ, শাহ আলম, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম, মনসুরুর রশীদ পলাশ মাস্টার, আব্দুল আজিজ মাস্টার, কবি এম রাজু আহমেদ, কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, তাপস দাশ, শাকিল আহমদ, সালমান হোসেন, মেহেদি হাসান ইমন ও ওসমান গণি প্রমুখ।

সভায় বক্তারা লাইব্রেরীর কার্যক্রম চালুর বিষয়ে একমত পোষন করেন এবং কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা কুলেশ চন্দ্র চন্দ মন্টুকে সভাপতি, মঞ্জুরে আলম লালকে সাধারণ সম্পাদক ও মনসুরুর রশীদ পলাশকে কোষাধক্ষ্য করে সর্বসম্মতিক্রমে ২১ সদস্যের কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, মাহবুবুল ইসলাম কাজল ও আব্দুল জলিল মাস্টার, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ মাস্টার, পাঠাগার সম্পাদক তাপস দাশ, সহ-পাঠাগার সম্পাদক মেহেদি হাসান ইমন ও ওসমান গণি, প্রচার সম্পাদক সালমান হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক শাকিল আহমদ, সাহিত্য সম্পাদক কবি এম রাজু আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মৃদুল ঘোষ পাপলু, সদস্য- যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সহিদ চৌধুরী খুশী, মামুনুর রশীদ সাজু, জি এম বদরুল ইসলাম মাস্টার, আবুল হোসেন, শাহ আলম ও হাবিবুর রহমান।

উল্লেখ্য- ১৯৯৫ ইংরেজির ১৪ এপ্রিল (১লা বৈশাখ ১৪০২ বাংলা) প্রস্তাবিত জুড়ী থানা এলাকার এক ঝাক শিক্ষিত তরুণের উদ্যোগে ও সুশীল সমাজ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জুড়ী পাবলিক লাইব্রেরী। শুরু থেকে এ এলাকায় বই পড়ার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করার পাশাপাশি শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, খেলাধূলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা, সাড়ম্বরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ উদযাপন, দেয়ালিকা, সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছিল। প্রতিনিয়ত গুণীদের পদচারণায় মুখরিত থাকত লাইব্রেরী কার্যালয়। প্রতিদিন শতাধিক পাঠক পড়ার জন্য লাইব্রেরী থেকে বই নিয়ে যেতেন ও জমা দিতেন। ১৯৯৯ ইংরেজির ২৪ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন লাভ করে (রেজিঃ নং- মৌলভী- ২০৬/৯৯)। সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতায় ভাড়া করা ঘরে লাইব্রেরীর কার্যক্রম চলছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে স্থানাভাবে লাইব্রেরীর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। প্রায় ৬ বছর বন্ধ থাকার আবার জুড়ী পাবলিক লাইব্রেরীর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত