
০৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:৩৮
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বাড়াবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার যে দলীয় ইশতেহার প্রকাশ করে কংগ্রেস, তার বৈদেশিক নীতি অংশে এ কথা বলা হয়েছে।
ইশতেহারের এ অংশে ভারতের নিকটতম প্রতিবেশীদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছে ভারতের ঐতিহ্যবাহী দলটি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এ নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন দলের দুই সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
নির্বাচনী ইশতেহারকে ‘নয়া পত্র’ নামে অভিহিত করেছে কংগ্রেস। এতে তিন ‘ডব্লিউ’র ওপর জোর দেওয়া হয়েছে : ওয়ার্ক, ওয়েলফেয়ার এবং ওয়েলথ। পাঁচটি স্তম্ভের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রতি কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করা হয়েছে: ইয়ুথ জাস্টিস, জেন্ডার জাস্টিস, ফার্মার্স জাস্টিস, ওয়ার্কার্স জাস্টিস এবং ইকুইটি জাস্টিস। ইশতেহারের ‘বৈদিশিক নীতি’ অংশে বলা হয়েছে, ভারতের নিকটতম প্রতিবেশীদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেবে কংগ্রেস।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ার দুই সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করব।’
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো সম্পর্কে এতে বলা হয়, আমরা নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্কের প্রাধান্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করব এবং নিজেদের পারস্পরিক সুবিধার জন্য তাদের শক্তিশালী করব। আমরা দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কাজ করব। আমরা শ্রীলঙ্কাকে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে (বিশেষ করে তামিলদের) সহায়তা করব। আমরা মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করব এবং মিয়ানমারের জনগণের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার রক্ষায় দেশটির সঙ্গে কাজ করব। আর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নির্ভর করবে মূলত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটাতে দেশটির সদিচ্ছা এবং ক্ষমতার ওপর।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ভারতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ঠিক করতে কাজ করবে যা বর্তমান সরকারের ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা এবং মানবাধিকার দমনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আপনার মন্তব্য