আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:০১

নেতাজির ফাইল প্রকাশ : নেহেরুর চিঠি নিয়ে উত্তাল ভারত

নেতাজি যুদ্ধাপরাধী! ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলিকে লেখা চিঠিতে এমনটাই নাকি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহেরু! আর এই নথি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

কংগ্রেসের দাবি  চিঠিটি জাল! চিঠিতে নেই নেহেরুর কোনও সইও। তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনাতেই কি নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল?

পঁয়তাল্লিশের আঠারোই অগাস্টের পরও কি জীবিত ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু? বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু হয়েছে এমনটা সম্ভবত বিশ্বাস করতে পারেননি নেহেরু। আর তাই চিঠি লিখে বসেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্স এটলিকে।

নেতাজি ফাইল প্রকাশ্যে আসায় সামনে এসেছে এমনই একটি চিঠি। আর সেই চিঠি ঘিরেই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। পঁয়তাল্লিশেরই ডিসেম্বরে এটলিকে  নেহেরু লিখছেন , বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, এটলির চোখে যুদ্ধাপরাধী  সুভাষ চন্দ্র বসু কে রাশিয়ায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছেন স্টালিন।আর এ চিঠি সামনে আসতেই উঠছে একের পর এক প্রশ্ন?

প্রশ্ন ১. সহযোদ্ধা সুভাষচন্দ্র বসুকে কেন'যুদ্ধাপরাধী' বলে উল্লেখ করলেন নেহেরু?
প্রশ্ন ২. কেনই বা তিনি এ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বললেন এটলিকে?
প্রশ্ন ৩.  অগাস্টে বিমান দুর্ঘটনার খবর জানার পরেও ডিসেম্বরে নেতাজিকে নিয়ে এ চিঠি লেখার অর্থ কি?
প্রশ্ন ৪. তাহলে কি  নেহেরু বিশ্বাস করতেন নেতাজি বেঁচে আছেন?

আর এই নথিটি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নেহেরুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কংগ্রেসের দাবি পুরো চিঠিটাই জাল! পুরোটি বিজেপির নোংরা ষড়যন্ত্র।

প্রসঙ্গত নথিটিতে জওহরলাল নেহেরুর কোনও সই নেই। চিঠিটির সত্যতা নিয়ে সংশয় সুগত বসুর গলাতেও। সইছাড়া নেহেরুর এই চিঠির ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও নেতাজি ফাইল প্রকাশের পর এই নেহেরুর এই চিঠি নিয়েই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। সূত্র: জিনিউজ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত