সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জুন, ২০১৬ ২৩:৫৬

রমজানেও ফিলিস্তিনে পানি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় পানি সরবরাহকারী কোম্পানি দখলীকৃত পশ্চিম তীরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। রমজান মাসে পানির প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ায় ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

ইসরায়েলের পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেকোরত ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় জেনিন শহর, নাবলুস ও তার আশেপাশের গ্রাম এবং সালফিত ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) প্যালেস্টিনিয়ান হাইড্রোলজি গ্রুপ-এর নির্বাহী পরিচালক আইমান রাবি জানান, কিছু কিছু এলাকার অধিবাসীরা ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে পানি পাচ্ছেন না।

তিনি বলেন, ‘এসব এলাকার জনগণ পানি সরবরাহকারী ট্রাক থেকে পানি কেনা এবং স্থানীয় জলাধার এবং কুয়োর পানি পান করছেন।’ কিছু উপদ্রুত এলাকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রত্যেক পরিবারকে দুই, তিন বা দশ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।’

জেনিন শহরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বাস করেন। জানা গেছে, সেখানকার পানি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। গ্রীষ্মকালের খরতাপে পানি সরববরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় কোনও বিপর্যয় ঘটলে, সেজন্য মেকোরত দায়ী থাকবে বলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মেকোরত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তারা আলজাজিরার সঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি।

জাতিসংঘের মতে, স্বাভাবিক অবস্থায় একজন সাধারণ মানুষের প্রতিদিন ন্যূনতম সাড়ে সাত লিটার পানি দরকার। কিন্তু ফিলিস্তিনের কিছু কিছু এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি, সেখানকার মানুষদের পানির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি হবে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যে পানি সরবরাহ করতো, তাতে পশ্চিমতীরের একজন ফিলিস্তিনি গড়ে ৬০ লিটার পানি পেতেন। যেখানে পশ্চিমতীরের একজন ইসরায়েলি সেটেলারকে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ লিটার পানি সরবরাহ করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর এবং গাজা দখল করার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের পানি সরবরাহের জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
সূত্র: আলজাজিরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত