সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২০ জুন, ২০১৬ ১২:৫১

বিশ্বের সাড়ে ছয় কোটির বেশি শরণার্থী : জাতিসংঘ

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে চলমান সংঘর্ষের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বলছে, ইতিহাসে এই প্রথম এত বেশি সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে বাস্তুহারা অবস্থায় বাস করছে।

২০১৫ সালের শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সাড়ে ছয় কোটির বেশি মানুষ শরণার্থী বা উদ্বাস্তু হয়েছেন। এর অর্থ, পৃথিবীর প্রতি ১১৩ জন মানুষের মধ্যে একজন হারিয়েছেন তাঁর ঠিকানা।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার প্রধান বলেছেন, ইউরোপে বিদেশি অভিবাসীদের নিয়ে এক ধরনের আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেও অভিবাসী সংকটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে ইউরোপের অধিবাসীদের।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীতে মানুষের এত আন্তচলাচল আর ঘটেনি। বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলছে, প্রথমবারের মতো বিশ্বের নানা প্রান্ত মিলিয়ে শরণার্থীর সংখ্যা ছয় কোটি ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই এসেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, আফগানিস্তান ও সোমালিয়া থেকে।

ইউরোপের অভিবাসী সংকটের প্রতি লক্ষ রেখে জাতিসংঘ বলছে, ৮৬ শতাংশ শরণার্থী নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আশ্রিত হিসেবে বাস করতে শুরু করেছে। দেখা গেছে, শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে জার্মানিতে। কারণ হিসেবে শরণার্থী গ্রহণ করতে দেশটির আগ্রহের কথা জানিয়েছে বিবিসি। অন্যদিকে, সাগরপথ ব্যবহার করে ১০ লাখের বেশি অভিবাসী গত বছর ইউরোপে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। এ ছাড়া সড়কপথ ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ।

বেশির ভাগ শরণার্থীর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য আগের ধনী দেশ যেমন জার্মানি বা সুইডেন। এদিকে ক্রমবর্ধমান শরণার্থীর চাপে ইউরোপে বাড়ছে রাজনৈতিক জটিলতা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক সীমান্তে বসাতে হচ্ছে কাঁটাতারের বেড়া।  শরণার্থী ইস্যু নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করে রীতিমতো বিতর্কের মুখে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জাতিসংঘের অভিবাসী সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি বলেছেন, ইউরোপের নেতাদের শরণার্থীদের বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা প্রত্যাহার করা উচিত।  তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে শরণার্থী সমস্যা মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বিতর্কিত ছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত